দুর্গাপূজা
উপলক্ষে টানা চারদিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বেড়েছে
যানবাহন ও যাত্রীর চাপ। এর ফলে সকাল থেকে মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলা অংশে
তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে
যাত্রীদের।
বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর
বাসস্ট্যান্ড থেকে ঢাকাগামী দাউদকান্দি টোলপ্লাজা পর্ষন্ত প্রায় ৮
কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়। হাইওয়ে পুলিশ আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে
দুপুরে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। অপরদিকে মহাসড়কের মেঘনা সেতু এলাকা থেকে
চট্টগ্রামগামী গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড পর্ষন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ
যানজট সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন ঘরমুখো মানুষ।
তীব্র যানজটে
আটকে অনেক যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন। একই স্থানে কয়েক ঘন্টা ধরে যানবাহনগুলো
থেমে ছিলো। সারাদিনই ধীরগতিতে এসব যান চলাচল করতে দেখা যায়। দীর্ঘ যানজটের
কারণে যাত্রীরা সঠিক সময়ে পৌঁছাতে পারেনি তাদের গন্তব্যস্থানে। সবমিলিয়ে
যাত্রীদের দুর্ভোগের ছিলো সীমাহীন।
যাত্রীরা অভিযোগ করেন, সড়কের ওপর
অবৈধভাবে গাড়ি পার্কিং, যাত্রী উঠানামা, সড়কের পাশ ঘেঁষে অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা
দোকান-পাট, বাসস্ট্যান্ড, এবং মহাসড়কে থ্রি হুইলার চলাচলের কারণে সৃষ্টি
হচ্ছে যানজট।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)
শাহীনূর ইসলাম বলেন, টানা কয়েক দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে মহাসড়কে
মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ ও
জেলা পুলিশের বিপুল সংখ্যক সদস্য কাজ করছেন।
এদিকে যানজট নিরশনে হাইওয়ে
পুলিশের পাশাপাশি কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি
সার্কেল) ফয়সাল তানভীর, গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুল
ইসলাম, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর সফিকুল ইসলাম সহ বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য সড়কে
যানজট নিরশনে কাজ করেন। রাত ৭ টায় যান চলাচল স্বাভাবিক পর্যায়ে ফিরে আসে।