নিজস্ব প্রতিবেদক: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্ত দিয়ে গত শনিবার অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বিজিবি কতৃর্ক আটক যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে বিজিবি’র পক্ষ থেকে ১৯৭৩ সনের পাসপোর্ট আইনে মামলা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে পল্টন থানায় দায়েরকৃত হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আজ রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে কসবা থানা পুলিশ।
আটক হওয়া এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার জাতীয় সংসদের প্রাক্তন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী এর অধীনে জয়েন্ট সেক্রেটারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার কোমরকড়া গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিন আহাম্মদ মজুমদারের ছেলে।
বিজিবি’র প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সীমান্ত ঘেঁষা পুটিয়া এলাকায় শুন্য রেখার ২০৫০/৮—এস হতে ৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার ভারতে অনুপ্রবেশের জন্য সীমান্ত এলাকায় ঘোরাঘুরি করছিলেন। এ সময় সালদানদী বিওপির টহল দল তাকে আটক করেন।
বিজিবির ৬০ ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক (সিও) লে. কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেন, গত শনিবার দুপুরে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাসপোর্টবিহীন অবৈধভাবে বাংলাদেশ হতে ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করার দায়ে সালদা বিওপি’র নায়েক সুবেদার শফিউর রহমান বাদি হয়ে কসবা থানায় মামলা রুজু করেছেন।
এ বিষয়ে কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. জহিরুল হক কবির জানান, আটককৃত যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদারকে দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে ১৯৭৩ সনের পাসপোর্ট আইনে মামলা করা হয়েছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার অপরাধে পল্টন থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। ওই দুটি মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।