চন্ডিকা
হাথুরুসিংহকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে বরখাস্ত করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট
বোর্ড (বিসিবি)। জাতীয় দলের কোচের প্রথম দফার মতো এবারও মেয়াদ শেষ হওয়ার
আগেই বাংলাদেশের অধ্যায়ের ইতি হলো।
প্রথমবার নিজ থেকে ইস্তফা দিয়ে চলে
গিয়েছিলেন হাথুরুসিংহে। এবার তাকে অব্যাহতি দিলো বিসিবি। বিসিবি সভাপতি
জানান, মূলত অসদাচরণের জন্যই হাথুরুসিংহেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া
হয়েছে। বিসিবি প্রধান কোচও নিয়োগ দিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাবেক ক্রিকেটার ও
কোচ ফিল সিমন্সকে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত নিয়োগ দিয়েছে বিসিবি।
দক্ষিণ
আফ্রিকা সিরিজে কাজ শুরুর পর হিসেব অনুযায়ী ১০০ দিনের কাজ করার সুযোগ
পাচ্ছেন সিমন্স। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের কোচ হতে আগ্রহ দেখিয়ে সাক্ষাৎকার
দিতে এসেছিলেন তিনি। সেবার নাজমুল হাসান পাপনের বোর্ড তাকে নিয়োগ দেয়নি।
এবার ফারুক আহমেদ সিমন্সকে নিয়োগ দিলো।
বিসিবি প্রধান আস্থা রাখছেন
স্থানীয় কোচদের উপর। সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সিমন্সের সহকারী হিসেবে স্থানীয়
একজন কোচকে নিয়োগ দেবেন। কথাবার্তাও প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে। কোচ মোহাম্মদ
সালাউদ্দিনকে নিয়োগ দেওয়ার কথা এগিয়ে যাচ্ছে। বিসিবির বিশ্বস্ত সূত্র
রাইজিংবিডিকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
পরবর্তীতে বোর্ড সভাপতি ফারুক
আহমেদও এমন কিছুর আভাস দিয়েছেন, ‘হ্যাঁ আমার খুব ইচ্ছে আছে সহকারী কোচ
হিসেবে একজনকে নিয়োগ দেওয়ার।’ সালাউদ্দিনের নাম সরাসরি বলা হলে ফারুক আহমেদ
নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি, ‘কথা চলছে। খুব শিগগিরিই এটাও জানানো হবে।’
২০২৩
সালে হাথুরুসিংহের সহকারী হিসেবে নিয়োগ পান নিক পোথাস। হাথুরুসিংহের
সুপারিশেই এই দক্ষিণ আফ্রিকানকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। এর আগেও
হাথুরুসিংহে-পোথাস জুটি একসঙ্গে কাজ করেছেন শ্রীলঙ্কায়। বিসিবি পোথাসের কাজ
নিয়ে খুশি নয়। যেকোনো মুহূর্তে ছাঁটাই হতে পারেন পোথাসও। তাতে স্থানীয়
কোচের সহকারীর দায়িত্ব নেওয়ার পথ পরিস্কার হয়ে যাবে।
জাতীয় দলের সাবেক
অধিনায়ক তামিম ইকবাল স্থানীয় কোচদের জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে কোচিং
প্যানেলে দেখতে চেয়েছিলেন। ফারুক আহমেদ সেই পদক্ষেপই নিতে যাচ্ছেন। সবকিছু
ঠিকঠাক থাকলে ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের সহকারী কোচ এবং ২০০৮
থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ফিল্ডিং কোচের দায়িত্বে থাকা সালাউদ্দিন হতে পারেন
সহকারী কোচ।