শুক্রবার ১৮ অক্টোবর ২০২৪
২ কার্তিক ১৪৩১
চিন্তানায়ক বাট্রান্ড রাসেল
জুলফিকার নিউটন
প্রকাশ: বুধবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৪, ১২:১০ এএম |

 চিন্তানায়ক বাট্রান্ড রাসেল
সংশয় থেকে যাত্রা করে সত্য জ্ঞানে পৌঁছানো যায় কি না, এই ছিল ফরাসি দার্শনিক ডেকার্টের সমস্যা। আর অবিশ্বাস থেকে শুরু করে আনন্দে পৌঁছানোর পথ খুঁজেছেন সারাজীবন, এ যুগের মহান চিন্তাবিদ বার্ট্রান্ড রাসেল। 
বার্ট্রান্ড রাসেলের এই দীর্ঘ অন্বেষণের মূলে শুধু দার্শনিক কৌতূহল নয়, বরং তাঁর জীবনের একটি অতি ঘনিষ্ঠ সমস্যা জড়িত ছিল। শৈশব থেকে তিনি ছিলেন অসুখী। যৌবনে বহুবার আত্মহত্যার চিন্তা তাঁর মনে উঁকি দিয়েছে। এমনকি তিনি যখন বিবাহিত, সন্তানের পিতা এবং ব্যক্তিগত জীবনে বাহ্যত সুখী, তখনও তাঁর মনের গভীরে একটা বিপুল নৈর্ব্যক্তিক নৈরাশ্য অনড় বোঝার মতো চেপে বসে ছিল। তাঁর বয়স যখন প্রায় ষাট তখন তিনি লিখেছেন: I become for the first time deeply convinced that Puritanism does not make for human happiness. Throught the spectacle of death I acquired a new love for what is living. I became convinced that most human beings are possessed by a profound unhappiness venting itself in destructive rages, and that only through a diffusion of instinctive yoy can a good world be brouhgt into being.” ” (ঔঁহব ১১, ১৯৩১). ১৯৩১ সালে তাঁর অসুখের অন্যতম কারণ ছিল পৃথিবী সম্বন্ধে, গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে, হতাশা। কিন্তু এর অতিরিক্ত, আরও গভীর, কিছু কিছু ছিল না? 
প্রথম যৌবনের সংশয় ও বেদনা থেকে বার্ট্রান্ড রাসেল আত্মরক্ষা করেছিলেন গণিত শাস্ত্রকে আঁকড়ে ধরে। কিন্তু ১৯১৪-১৮ সালের মহাযুদ্ধ আবারও তাঁর মনে একটা প্রচণ্ড তোলপাড় সৃষ্টি করল। সমাজ ও সভ্যতার সমস্যা তাঁকে অত্যন্ত গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলল। বিপর্যয়ের শুরুতেই মানব প্রকৃতি সম্বন্ধে তাঁর ধারণা ভয়নাকভাবে পালটে গেল। তিনি লিখেছেন : I had supposed that most people licked moeny better than anything else, but I discovered that the liæked destruction even better”
অর্থাৎ অধিকাংশ ইংরেজ যুক্তিবাদীর মতো বার্ট্রান্ড রাসেলও পূর্বে বিশ্বাস করতেন যে, সাধারণ মানুষ সবচেয়ে ভালোবাসে টাকা অথবা সাংসারিক স্বাচ্ছন্দ্য; কিন্তু স্তম্ভিত হয়ে তিনি আবিষ্কার করলেন যে, টাকার চেয়েও মানুষকে বেশি টানে বিশুদ্ধ ধ্বংসের উন্মাদনা। কেন এমন হয়, কি করে মানুষকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা যায়, এটাই হয়ে উঠল রাসেলের প্রধান চিন্তা। 
গভীর চিন্তার পর বার্ট্রান্ড রাসেল কয়েকটি সরল প্রত্যয়ে এসে পৌঁছলেন। তিনি লিখলেন : I become for the first time deeply convinced that Puritanism does not make for human happiness. Throught the spectacle of death I acquired a new love for what is living. I became convinced that most human beings are possessed by a profound unhappiness venting itself in destructive rages, and that only through a diffusion of instinctive yoy can a good world be brought into being.” বার্ট্রান্ড রাসেল এই সিদ্ধান্তে এলেন যে, প্রবৃত্তিকে পীড়ন করে মানুষকে সমাজে বাঁচতে হয়। প্রবৃত্তির এই পীড়নের ফলে মানুষ অসুখী; আর এই অসুখই মানুষকে হন্যে করে তোলে, অপরকে পীড়নের ভিতর মানুষ সুখ খোঁজে। এই সময় তিনি Principles of Social Reconstruction নামে একটি বই লেখেন। মানুষের মনের ঝোঁকগুলোকে এখানে সৃজনধর্মী (creative) ও সংরক্ষণধমী (possessive) এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মানুষ যখন স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভালোবাসে, শিল্পে নিজেকে প্রকাশ করে, অথবা কৌতূহলের বশবর্তী হয়ে জ্ঞানের অন্বেষণ করে, তখন তার ভিতর সৃজনধর্মিতার প্রাধান্য। আবার মানুষ যখন স্বধন রক্ষায় চিন্তিত কিংবা নিজের অথবা অপরের নিগ্রহে নিযুক্ত, তখন তাঁর মন সংরক্ষণধর্মী। সেই সমাজই ভাবে যেখানে মানুষের মন স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দে নিজেকে প্রকাশ করার স্বাধীনতা থেকে বঞ্চিত নয়, যেখানে জ্ঞান মুক্ত, আর প্রেম মানুষে মানুষে নির্ভয় বন্ধনের সেতু। 
তাঁর আত্মজীবনীতে তিনি নিজেই লিখেছেন : I have imagined myself in turn a liberal, a socialist, or a pacifist, but have never been any of these things.”  আসলে তাঁর মতের গায়ে কোনো রাজনীতিক তকমা চাপানোর চেষ্টা করাই ভুল। তিনি কী ভেবেছিলেন সেটাই প্রধান কথা। মূলত বার্ট্রান্ড রাসেল চেয়েছিলেন মানুষ যেন নির্ভয়ে জ্ঞানের অন্বেষণ করতে পারে আর আনন্দের ভিতর দিয়ে মানুষের সঙ্গে যুক্ত হতে পারে। 
শিক্ষা সম্বন্ধে আলোচনায় বার্ট্রান্ড রাসেল লিখেছেন : It is reverence towarts others that is lacking in those who advocate machine-made cast-iron systems.” ব্যক্তিত্বের প্রতি যাঁদের শ্রদ্ধা নেই তাঁরাই ছাঁচে-ঢালা মানুষ তৈরি করতে চান। খানিকটা বাধ্যবাধকতা ও নিয়মকানুন ছাড়া শিক্ষাব্যবস্থা সম্পূর্ণ হতে পারে না, একথা বার্ট্রান্ড রাসেল জানতেন। কিন্তু একথাটার ওপর তিনি জোর দিতে চাননি।Principles of Social Reconstruction নামে বইটিতে পাই তাঁর অনবদ্য গদ্যের আরও একটি উদাহরণ : The man who has reverence will not think it his duty to mould’ the young. He feels in all that lives, and most of all in children, something sacted, indefinable, unlimited, something individual and strangely precious, the growing principle of life, and embodied fragment of the dumb striving of the world.” মানুষের, বিশেষত শিশুর, বিকাশোন্মুখ মনের প্রতি শ্রদ্ধাকে বার্ট্রান্ড রাসেল শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাধান্য দিতে চেয়েছিলেন। 
বার্ট্রান্ড রাসেল শুধু প্রচলিত আচারবিচারের বিরোধী একজন সমাজসংস্কারকই ছিলেন না। তিনি ছিলেন দার্শনিক। সমাজের বহিরঙ্গে কিছু পরিবর্তন ঘটাতে পারলেই মানুষ দুঃখ থেকে মুক্তি পাবে, মানুষ সম্বন্ধে এমন অগভীর ধারণা রাসেলের নিশ্চয়ই ছিল না। তাঁর ব্যক্তিগত হতাশা ও বেদনার ভিত্তি ছিল অস্তিত্বের আরও গভীরে। সমাজকে ছেড়ে মানুষের চলে না; কিন্তু মানুষের একটা দিক আছে যেখানে সে নিঃসঙ্গ। মানুষ সামাজিক হয়েও সমাজসর্বস্ব নয়। অন্তত বার্ট্রান্ড রাসেল ছিলেন না। 
জীবনে বহুবার বার্ট্রান্ড রাসেল নিজেকে অনেক মানুষের ভিতর একাকার করে দেওয়ার আগ্রহ বোধ করেছেন; কিন্তু তাঁর সংশয়ধর্মী বৃদ্ধি ও ব্যক্তিত্বসচেতন মন তাঁকে ওই মাতলামিতে ডুবতে দেয়নি। বার্ট্রান্ড রাসেল লিখেছেন : Throughout my life I have longed to feel that oneness with large bodies of human beings that is experienced by the members of enthusiastic crowds... Always the sceptical intellect, when I have most wished it silent, has whispered doubts to me, has cut me off from the facyiæl e enthusiasms of others, and has transported me into a desolate solitude.”
মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার সঙ্গে জগতের কোনো নিগূঢ় আত্মিক সম্পর্ক নেই জেনেও স্পিনোজা নিরাসক্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে এমন একটি বিশ্বজোড়া সমন্বয়ের সন্ধান পেয়েছিলেন যে তাতেই তাঁর বৃদ্ধি ও আত্মা তৃপ্ত হয়েছিল। কিন্তু যে সমম্বয়দৃষ্টি স্পিনোজাকে শান্তি দিয়েছিল তাও রাসেলের কাছে গ্রহণীয় হলো না। তিনি লিখেছেন : What Spinoza calls the intellectual love of God” has seemed to me the thing to live by, but I have not had ieven the somewhat absiract God that Spinoza allowed himself to whom to attach my intellectual love.”  এ বিষয়ে রাসেলের দ্বিধার কারণ তিনি স্পষ্টভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন। পাশ্চাত্য দর্শনের ইতিহাস বিষয়ে তাঁর বৃহৎ গ্রন্থে তিনি লিখেছেন : Spinoza thinks that if you see your misfortunes as they are in reality, as part of the concatenation of causes stretching from the beginning of time to the end, you will see that they are only misfortunes to you, not to the universe, to which they are merely passing discords heightening and ultimate harmony. I cannot accept this; I think the particular events are what they are, and do not become different by absorption into a whole. Each act of cruelty is eternally a part of the universe; nothing that happens later...can confer perfection on the whole of which it is a part.”  নিজের দুঃখকে যদি-বা উপেক্ষা করা যায়, অন্যের প্রতি অন্যায় কোনো বিশ্বদৃষ্টিতেই মেনে নেওয়া যায় না। এই মুহূর্তের একটি অমার্জনীয় অবিচার অনাগত ভবিষ্যতের কোনো সুবিচারের ফলে তার স্বতন্ত্র অস্তিত্ব হারায় না। প্রতিটি অন্যায় নিষ্ঠুরতা ইতিহাসের বুকে কাঁটার মতো জেগে থাকে। বিশ্ব জগতে এমন কোনো সমন্বয় নেই যাতে হৃদয় মুগ্ধ হয়। স্পিনোজার বিরুদ্ধে রাসেলের সমালোচনার বঙ্গানুবাদ না হলেও এটাই মর্মার্থ। 
বার্ট্রান্ড রাসেলের সমস্যা তা হলে এই। আনন্দ তাঁর জীবনের লক্ষ্য, তিনি মুগ্ধ হতেই ব্যাকুল। অথচ তিনি অবিশ্বাসী, তাঁর যুক্তি তাঁকে সংশয়বাদী করেছে। অবিশ্বাস থেকে শুরু করে কি আনন্দে পৌঁছানোর কোনো পথ আছে? জনতার ভিতর তিনি নিজেকে হারাতে পারলেন না; ঈশ্বরে তিনি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারলেন না; বিশ্বব্রহ্মাণ্ডেও তিনি কোনো পরম সুন্দরের মহিমা খুঁজে পেলেন না। তবে তিনি কী নিয়ে বাঁচবেন?
বার্ট্রান্ড রাসেলের জীবনদর্শন কি আত্মবিরোধী নয়? স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দের ভিত্তিতে তিনি জীবনকে স্থাপন করতে চেয়েছেন। কিন্তু এই বিশাল বিশ্ব মানুষের মহত্তম আদর্শ এবং আশা-আকাক্সক্ষার প্রতি নিষ্করণ একথা জানার পর কি জীবনকে কোনো সরল, সহজ আনন্দের সুরে বাঁধা যায়? সহজ আনন্দের দুটি স্তর আছে; প্রথমত, শিশুর মন, আর দ্বিতীয়ত, সাধকের দৃষ্টি। যে বিশ্লেষণী বুদ্ধি জগতে অসংগতি খুঁজে পায়, যে ন্যায়- অন্যায় চেতনা এই অসংগতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে, তা তো আমাদের শিশুর স্বর্গ থেকে নির্বাসিত করে, আবার সাধকের জগতেও প্রবেশাধিকার দেয় না। এই সংশয় বুদ্ধির প্রতি যদি আমাদের বিশ্বস্ত থাকতে হয় তো তার মূল্য হিসেবে অশান্তিকে মেনে নেওয়াই কি সংগত নয়? আর এই বুদ্ধিতে যদি আমরা উত্তীর্ণ হই, তারপরও কি কালহীন বিশ্বে কোনো বিকট অসামঞ্জস্য বার্ট্রান্ড রাসেলের অভ্যস্ত বেদনার্ত অট্টহাস্যের মতো অনন্ত শূন্যকে ব্যাপ্ত করে ধ্বনিত হতে থাকে? বার্ট্রান্ড রাসেল যুক্তিবাদী, এই দুই বিকল্পের কোনো একটিকে বেছে নেওয়াই কি যুক্তির কথা নয়? 
কিন্তু বার্ট্রান্ড রাসেল একটি তৃতীয় পথ অনুসরণ করলেন। সেটি করুণার পথ। 
পৃথিবীতে ন্যায় নেই; বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মানুষের প্রতি করুণা নেই; মানুষের মহত্তম সাধনায় সাফল্যের কোনো নির্ভরযোগ্য প্রতিশ্রতি নেই। ব্রহ্মাণ্ডের এই নির্মমতার বিরুদ্ধে মানুষের দৃপ্ত বিদ্রোহের পতাকা হবে, মানুষের প্রতি মানুষের করুণা। A Free man’s Worship  শীর্ষক তাঁর বিখ্যাত প্রবেন্ধ বার্ট্রান্ড রাসেল লিখেছেন : United with his fellow men by the strongest of all ties, the tie of a common doom, the free man finds that a new vision is with him always, shedding over every dailly task the light of love ....One by one as they march, our comrades vanish from our sight, seized by the silent orders of omnipotent Death....Be it ours to feel that, where they suffered, where they failed, no deed of ours was the cuse.” বার্ট্রান্ড রাসেল জানতেন যে, মৃত্যু যতদিন আছে দুঃখ ততদিন অনিবার্য। জগতের নিয়মে মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী। কাজেই অমরতা তিনিও দাবি করেননি। তিনি চেয়েছিলেন দুঃখে ক্লিষ্ট মানুষের দুঃখ লাঘব করতে। 
‘গৌতম’ বুদ্ধ ঈশ্বর সম্বন্ধে মৌন ছিলেন। বার্ট্রান্ড রাসেলও করুণাকে তাঁর পথ এবং পাথেয় বলে গ্রহণ করলেন। 
এ পথের শেষে কি তিনি আনন্দে পৌঁছেছিলেন? জানি না; শুধু জানি যে, জীবনের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে তিনি এমন কয়েকটি বাক্য উচ্চারণ করেছিলেন, অপার্থিব আনন্দ ও করুণতম বেদনার সংমিশ্রণে যা অবিস্মরণীয়। চুরানব্বই বছরের বৃদ্ধ বার্ট্রান্ড রাসেল তাঁর আত্মজীবনী মুখবন্ধে লিখেছেন: Three passions, simple but overwhelmingly strong, have governed my life; the longing for love, the search for knowledge, and undbarable pity for the suffering of mankind... I have sought (love) because in the union of love I have seen, in a mystic miniature, the prefiguring vision of the heaven that saints and poets have imagined. This is what I sought, and this is what – at last – I have found .... With equal passion I have souht knowledge... A little of this, but not much, I have achieved...Love and knowledge, so far as they were possible, led upward to ward the heavens. But always pity brought me back to earth. Echoes of pain reverberate in my heart... I long to alleviate the evil, but I cannot, and I too suffer.” কথা শুনে চমকে উঠতে হয়। বার্ট্রান্ড রাসেল বলছেন যে, জীবনের শেষপ্রান্তে এসে তিনি অবশেষে সেই অলৌকিককে লাভ করেছেন যে অধরা শুধু কবি ও সাধকের কল্পনায় ধরা দেয়। প্রেম ও জ্ঞানের হাত ধরে তিনি স্বর্গের দিকে এগিয়ে গেছেন। কিন্তু পৃথিবীতে মানুষের আর্তনাদ তাঁকে সেই স্বর্গে স্থির থাকতে দেয়নি। বেদনায় বিদ্ধ হয়ে তিনি সংসারে ফিরে এসেছেন। 
বার্ট্রান্ড রাসেল, যুক্তিবাদী বার্ট্রান্ড রাসেল-আনন্দের স্বর্গে পৌঁছেছিলেন, একথা কি সত্য অবিশ্বাস্য। কিন্তু বার্ট্রান্ড রাসেল মিথ্যা বলেছেন, এও তো বিশ্বাস করা যায় না।













সর্বশেষ সংবাদ
বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধে বিপর্যস্ত জনজীবন
ডেভেলপমেন্ট ফর সোসাইটি’র উদ্যোগে দুস্থ পরিবারের মাঝে বিনামূল্যে গাভী বিতরণ
এইচএসসিতে শশীদল আলহাজ্ব মুহাম্মদ আবু তাহের কলেজের শতভাগ সাফল্য
শমসের মবিন চৌধুরী আটক
৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের আভাস
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন, কুমিল্লা জুড়ে গ্রাহকদের ভোগান্তি
কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৩ বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে কর্মবিরতি পালন
কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতা চন্দন কুমার
আমাকে নিয়ে খেলবেন না, ভিডিও বার্তায় সাকিব
কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে বাখরাবাদের আবুল খায়ের গ্রেফতার
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২