কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে সালিশ-বৈঠকে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত বাবুল মিয়ার পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজালা রানী চাকমা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার সাতেশ্বর গ্রামে বাবুলের বাড়িতে যান তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার উজালা রানী চাকমা নিহত বাবুলের পরিবারের লোকজনের খোঁজখবর নেন এবং শোকাহত পরিবারকে সমবেদনা জানান। তিনি নিহত বাবুলের গর্ভবতী স্ত্রী ও আড়াই বছর বয়সী শিশু তামিমের জন্যও দুঃখ প্রকাশ করেন এবং সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন। নির্বাহী অফিসার বলেন, বাবুল হত্যার ঘটনা খুব দুঃখজনক। এমন হত্যাকান্ড কারো কাম্য নয়। তাই সবাই সচেতন থাকবেন সমাজে এ ধরণের ঘটনার যেন পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এসময় উপস্থিত ছিলেন মনোহরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে সহ প্রশাসনিক ও স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, নিহত বাবুল মিয়া উপজেলার সাতেশ্বর গ্রামের সোলেমানের ছেলে। তিনি দিনমজুরের কাজ করতেন। 

গত রোববার (১৩ অক্টোবর) সাতেশ্বর গ্রামে একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে সালিশ-বৈঠক বসে। ওই সালিশ-বৈঠকে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এক পর্যায়ে বাবুলসহ স্থানীয়রা সংঘর্ষ থামাতে গেলে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাবুলকে চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।