ব্যাটিং
উইকেট। ব্যাটাররা এমনিতেই উইকেট থেকে সহায়তা পায়। জহুর আহমেদ চৌধুরী
স্টেডিয়ামের উইকেটে বল ব্যাটে আসে সহজে। বাউন্স বেশি না থাকলেও শেরে বাংলার
চেয়ে বল একটু ওপরেই থাকে। সব মিলে ব্যাটাররা স্বচ্ছন্দে খেলতে পারেন। রানও
ওঠে।
সাগরিকার ইতিহাস ও পরিসংখ্যান এমনই বলে। আজ মঙ্গলবার শুরু হওয়া
দ্বিতীয় টেস্টেও তাই দেখা গেল। একদম নির্ভেজাল ব্যাটিং পিচ। তার পুরো
সদ্ব্যবহার করে টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে প্রথম দিনই ২ উইকেটে ৩০৭ রান করে
ফেলেছে মার্করামের দক্ষিণ আফ্রিকা।
কয়েকটি ক্যাচ আউটের সুযোগ আসলেও
টাইগার ফিল্ডাররা তা ধরে রাখতে পারেননি। তাই সারা দিনে মাত্র ২টি উইকেটের
পতন ঘটাতে পেরেছেন বাংলাদেশের বোলাররা। এমন পরিস্থিতিতে সবার মুখে একটাই
প্রশ্ন, এই ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচে কেন ৮ ব্যাটার নিয়ে একাদশ সাজানো হলো?
কী কারনে ঢাকার মিরপুরের মতো ৪ বোলার নিয়েই দল গড়তে হলো?
প্রথম দিনের
খেলা শেষে গণমাধ্যমে কথা বলতে এসে সে প্রশ্নেরই মুখোমুখি হলেন বাংলাদেশের
হেড কোচ ফিল সিমন্স। জবাব দিতে গিয়ে এ ক্যারিবিয়ানও জানালেন, তাদের মাথায়ও ৫
বোলার খেলানোর চিন্তা ছিল। তবে তিনি বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, ব্যাটিং
নিয়ে ভাবনাটাই বেশি ছিল। তাই তারা একজন বোলার কমিয়ে ব্যাটার বেশি খেলানোর
সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
সিমন্স বলেন, ‘পাঁচ বোলার নিয়ে আমি আগেও প্রশ্নের
উত্তর দিয়েছি। আমি আবারও বলব আমরা বেশ কিছু জিনিস বিবেচনায় নিয়েছি এবং
তারপর আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি কীভাবে আমাদের এই ম্যাচে মাঠে নামতে হবে।’
বাংলাদেশ
কোচ স্বীকার করেছেন, শেষ পর্যন্ত ৪ বোলার নিয়ে মাঠে নামলেও তাদের মাথায়ও ৫
বোলার খেলানোর চিন্তা ছিল। তাই মুখে এ কথা, ‘পঞ্চম বোলার নিয়ে আমাদের
চিন্তা ছিল। কখনও কখনও আপনি যখন ব্যাটিং করবেন, সেটা নিয়েও ভাবতে হবে। কারণ
আপনি টেস্ট ম্যাচ জিততে চাইবেন। প্রথমত আপনি এমন কোনো পরিস্থিতিতে যেতে
চাইবেন না যেখান থেকে জিততে পারবেন না। এরপর আপনাকে অবশ্যই ম্যাচ বাঁচাতে
হবে। এত সহজে টেস্ট ম্যাচ ছেড়ে দেওয়া যাবে না। যখন আমাদের এই সমীকরণ
দাঁড়িয়েছে, তখন আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’.