“ফসলের
মাঠ বলে দেবে কুমিল্লার কোথায় শুরু আর কোথায় শেষ”। গরীব দুঃখী মেহনতী
মানুষের প্রাণের কথা ৮৬ সালের সংসদে বলেছিলেন কুমিল্লার গণমানুষের নেতা
মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার। সাবেক সংসদ সদস্য ও কুমিল্লা জেলা
আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা
অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ৩১ আগষ্ট
বৃহস্পতিবার সকালে লালমাই উপজেলার বাগমারা মহিলা কলেজ সংলগ্ন মরহুমের
সমাধীস্থলে সীমিত আকারে আলোচনা, কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মরহুম
কালাম মজুমদার পেশায় ছিলেন একজন শিক্ষক। অবহেলিত জনপদে শিক্ষার আলো ছড়াতে
গড়ে তুলেছিলেন অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৪ সালের ৩১ অক্টোবর তিনি এই
পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে যান পরপারে।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের
অধিকারী এই মানুষটি ১৯৪৫ সালের ২৫ আগস্ট জন্ম গ্রহণ করেন বর্তমান লালমাই
উপজেলার মেহেরকুল দৌলতপুর গ্রামে। বাবা মৌলভী মিয়াজান মজুমদার ছিলেন আইয়ূব
খান আমলে বাগমারা ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। মাতা আতরের নেছা ছিলেন একজন
গৃহিণী। ৭ ভাই বোনের মধ্যে তিনি ৬ষ্ঠ। ছোটবেলায় তাঁকে সবাই আবু বলে ডাকতেন।
তবে অনেকটা নীরবেই এবছর পালিত হয়েছে এই গুণী মানুষটির মৃত্যু বার্ষিকী।
ভ্রাতুষ্পুত্র এমদাদুল হক মজুমদারের তত্বাবধানে মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন
মাওলানা মাসুদুল করিম। এসময় উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল হক
আমিন, নুরুল ইসলাম, হাসান প্রমুখ। এছাড়া তাহার প্রতিষ্ঠিত লালমাই সরকারি
কলেজ, বাগমারা মহিলা কলেজ, বাগমারা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, দৌলতপুর উচ্চ
বিদ্যালয়ে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।