চ্যাম্পিয়নস লিগের
চলতি আসরে প্রথম ম্যাচ হারের পর ধরেই নেওয়া হয়েছিল, আগের মৌসুমের
পুনরাবৃত্তি করতে যাচ্ছে বার্সেলোনা। তবে পরের তিন ম্যাচ জিতে সমর্থকদের মন
থেকে সকল শঙ্কা দূর করে দিলো স্প্যানিশ ক্লাবটি। টানা তৃতীয় জয় তুলে নিলেও
তারা। সবশেষ ম্যাচে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে হ্যান্সি
ফ্লিকের দল।
বুধবার (৬ নভেম্বর) রাতে দলের জয়ে জোড়া গোল করেন
লেভানডোভস্কি। একবার করে জালের দেখা পান রাফিনহা, ইনিগো মার্টিনেজ ও ফেরমিন
লোপেজ। প্রতিপক্ষের হয়ে দুটি গোল শোধ করেন সিলাস ও মিলসন।
প্রতিপক্ষের
মাঠে ম্যাচের শুরুতেই অবশ্য পিছিয়ে পড়তে যাচ্ছিলো বার্সেলোনা। তবে দলকে
রক্ষা করেন রক্ষণের খেলোয়াড়রা। বার্সার হাইলাইন ডিফেন্সের ফাঁদে পড়ে পঞ্চম
মিনিটেই গোলবঞ্চিত হয় বেলগ্রেড। এরপর অষ্টম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ
পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি লামিনে ইয়ামাল।
বার্সা এগিয়ে যায় ম্যাচের
ত্রয়োদশ মিনিটে। রাফিনহার ফ্রি-কিকে দূরের পোস্টে দারুণ হেডে ঠিকানা খুঁজে
নেন মার্টিনেজ। ২০তম মিনিটে মিস করেন রাফিনহা। চার মিনিট পর ভালো একটি
সুযোগ পেয়েও উড়িয়ে মারেন এই ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড।
২৭তম মিনিটে সমতায়
ফেরে বেলগ্রেড। সতীর্থের পাস প্রথম স্পর্শে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্সে ঢুকে
এগিয়ে আসা গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কঙ্গোর ফরোয়ার্ড সিলাস। বার্সেলোনা এগিয়ে
যায় ৪৩তম মিনিটে। রাফিনিহার শট ফিরে এলে ফিরতি শটে জাল খুঁজে নেন
লেভানডোভস্কি।
দ্বিতীয়ার্ধেও আক্রমণ ধরে রেখে খেলতে থাকে বার্সেলোনা।
৫৩তম মিনিটে আরও এগিয়ে যায় তারা। এবারও দৃশ্যপটে লেভানডোভস্কি। ডান দিক
থেকে কুন্দের পাস দূরের পোস্টে পেয়ে জালে ঠেলে দেন তিনি। চলতি আসরে চার
ম্যাচে পোলিশ তারকার গোল হলো ৫টি। এই মৌসুমে সব মিলিয়ে ১৬ ম্যাচে ১৯টি গোল
হলো তার।
৫৫তম মিনিটে স্কোরলাইন ৪-১ করে ফেলেন রাফিনহা। কুন্দের পাস
পেয়ে বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। এ
নিয়ে সবশেষ ৬ ম্যাচে ৮ গোল হলো রাফিনহার। গোলের পর রাফিনহাকে তুলে নেন কোচ।
তার বদলি হিসেবে নেমে ৭৬তম মিনিটে জালের দেখা পান লোপেজ।
৮৪তম মিনিটে
ব্যবধান কমান বেলগ্রেডের মিলসন। পরের মিনিটে ফের্মিনের শট লাগে ক্রসবারে।
এরপর আর গোল পায়নি কোনো দল। এই জয়ে চার ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে
উঠেছে বার্সেলোনা। সব ম্যাচ হেরে ৩৬ দলের মধ্যে ৩৫ নম্বরে আছে বেলগ্রেড।