রোববার ৫ জানুয়ারি ২০২৫
২২ পৌষ ১৪৩১
‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ পড়ার গুরুত্ব ও ফজিলত
প্রকাশ: শুক্রবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৪, ১২:২৪ এএম |





কোরআন শরিফে সুরা আল-বাকারার ১৫৬ নম্বর আয়াতের শেষ অংশে রয়েছে ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। এর অর্থ: (তারাই ধৈর্যশীল) যারা তাদের ওপর কোনো বিপদ এলে বলে, ‘আমরা তো আল্লাহরই আর নিশ্চিতভাবে আমরা তারই দিকে ফিরে যাবো।’
কারো মৃত্যুসংবাদ শুনলে এটা পড়া হয়ে থাকে। অনেকে মনে করেন, মানুষের মৃত্যুসংবাদ পেলে এটা পড়তে হয়। বিষয়টি এমন নয়। বরং ইন্না লিল্লাহ পড়ার অনেক কারণ ও গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত রয়েছে।
এ আয়াতের আগের অংশে ধৈর্যশীলদের সুসংবাদ দেওয়ার কথা বলা আছে। আর ধৈর্যশীলরা বিপদে পড়লে এটা পড়ে। অর্থাৎ যেকোনো বিপদ-আপদ এলেই আল্লাহ তাআলাকে স্মরণ করতে হবে। ভাবতে হবে একদিন তো আমাকে আল্লাহ তাআলার কাছেই ফিরে যেতে হবে। তাহলে এই দুনিয়ার মায়া-মহব্বত ও ভোগ বিলাসের জন্য কেন এত কান্নাকাটি করছি।
সুরা আল-বাকারার ১৫৫ থেকে ১৫৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নিশ্চয় আমি তোমাদেরকে (কাউকে) ভয় ও ক্ষুধা দিয়ে, আর (কাউকে) ধনে-প্রাণে বা ফল-ফসলের ক্ষয়ক্ষতি দিয়ে পরীক্ষা করবো। আর যারা ধৈর্য ধরে, তাদের তুমি সুখবর দাও। (তারাই ধৈর্যশীল) যারা তাদের ওপর কোনো বিপদ এলে বলে, ‘ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন’ অর্থাৎ আমরা তো আল্লাহ তাআলার জন্যে আর নিশ্চিতভাবে আমরা তারই দিকে ফিরে যাবো। ’ এসব লোকের প্রতি তাদের প্রতিপালকের কাছ থেকে আশীর্বাদ ও দয়া বর্ষিত হয়, আর এরাই সৎ পথপ্রাপ্ত।
হজরত উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমি রসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কোনো মুসলিমের ওপর বিপদ এলে যদি সে বলে, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন (অর্থাৎ আমরা আল্লাহরই জন্য এবং তারই কাছে ফিরে যাবো) এবং এই দোয়া পড়ে, আল্লাহুম্মা আজিরনি ফি মুসিবাতি ওয়া আখলিফলি খাইরাম মিনহা ইল্লা আখলাফাল্ল হুলাহ খয়রাম মিনহা (অর্থাৎ হে আল্লাহ, আমাকে আমার মুসিবতে সওয়াব দান করো এবং এর বিনিময়ে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করো) তবে মহান আল্লাহ তাকে এর চেয়ে উত্তম বস্তু দান করে থাকেন।
উম্মে সালামা (রা.) আরো বলেন, ‘আবু সালামা যখন ইন্তেকাল করেন, আমি মনে মনে ভাবলাম, আবু সালামা থেকে উত্তম মুসলিম আর পাব না। এরপর আমি দোয়া পড়লাম। এরপর মহান আল্লাহ আবু সালামার স্থলে রাসুল (সা.)-এর মতো স্বামী দান করেছেন।
উম্মে সালামা (রা.) বলেন, আমার কাছে রসুলুল্লাহ (সা.) বিয়ের পয়গাম দেওয়ার জন্য হাতিব ইবনে আবু বালতা (রা.)-কে পাঠালেন। আমি বললাম, আমার একটা মেয়ে আছে আর আমার জিদ বেশি। তখন রসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, তার মেয়ে সম্পর্কে আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করবো, যাতে তিনি তাকে তার মেয়ের দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেন। আর (তার সম্পর্কে) দোয়া করবো যেন আল্লাহ তার জিদ দূর করে দেন। (মুসলিম: ৯১৮)













সর্বশেষ সংবাদ
কেন ভাঙলো কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ?
কুমিল্লায় শীতে কাবু শিশুরা
অবিলম্বে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা ও কুমিল্লা-৯ নির্বাচনী এলাকা পুনর্বহালের দাবীতে জনসভা আজ
এড. নাজমুস সা’দাত বাংলাদেশ জাতীয় সমবায় ইউনিয়নের সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত
কুমিল্লা জেলা ব্রেড, বিস্কুট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
হঠাৎ আসিফ আকবরের বাসায় কুমিল্লার সাবেক মেয়র সাক্কু
কেন ভাঙলো কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির কমিটি ?
শহরে আবারো কিশোর গ্যাং গ্রুপের অস্ত্রসহ মহড়া
কুমিল্লা মহানগর ১১ নং ওয়ার্ড বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন
কুমিল্লায় মাদক পরিবহনে বাড়ছে নারীদের সম্পৃক্ততা
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২