লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ফুটবলের আঙিনায় না থাকলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই প্রীতি ম্যাচ নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মালদ্বীপ কোচ আলি সুজেইন।
মালদ্বীপ
সবশেষ সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিল গত বছর ১৭ অক্টোবরে, বাংলাদেশের
বিপক্ষে। এক বছরেরও বেশি সময় পর বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই
আন্তর্জাতিক আঙিনায় ফিরছে দলটি। খেলাও সেই একই ভেন্যু, বসুন্ধরা কিংস
অ্যারেনায়। সবশেষ ম্যাচের স্মৃতি সুখকর না হলেও এবার মালদ্বীপ কোচ আলি
সুজেইন আত্মবিশ্বাসী কণ্ঠে বললেন, প্রস্তুত তার দল।
বুধবার বিকাল ৬টায়
প্রথম প্রীতি ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল। কিংস অ্যারেনাতেই সবশেষে
মুখোমুখি লড়াইয়ে মালদ্বীপকে ২-১ গোলে হারিয়েছিল বাংলাদেশ।
স্বাগতিকদের
ওই জয়ের দুই গোলদাতা রাকিব হোসেন ও ফয়সাল আহমেদ ফাহিম আছেন বর্তমান দলেও।
ব্যবধান কমানো একমাত্র গোলটি করা আইসাম ইব্রাহিমকে পাচ্ছে না মালদ্বীপ। তবে
সুজেইন বাকিদের নিয়ে আত্মবিশ্বাসী। প্রতিপক্ষের মাঠে খেলা বলে খুব একটা
চিন্তিতও নন তিনি।
“আমাদের লক্ষ্য জেতা। আপনিও বললেন, বাংলাদেশে সেই একই
দল গত নভেম্বরে যাদের বিপক্ষে খেলেছিলাম, সেখান থেকে একটা বা দুইটা
পরিবর্তন হতে পারে। আমাদের দলের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় আইসাম ইব্রাহিম দলের
সঙ্গে নেই, তবে হামজা মোহাম্মদ, ফাসির আলিসহ অন্য সবাই আছে। আমরাও ভালো
দল।”
“এই মাঠ বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের যেমন পরিচিত, এখানে তারা যেমন
শক্তিশালী, এই মাঠ আমাদের খেলোয়াড়দের জন্যও একেবারে অপরিচিত নয়। কারণ,
মাজিয়া এফসির হয়ে এখানে অনেকেই খেলেছে, ভালো মাঠ, পিচ ভালো, পাসিং ফুটবল
খেলা সম্ভব, যেটা আমাদের আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সহযোগিতা করবে।”
লম্বা সময় আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফেরার সুযোগ কাজে লাগানোর দিকেই এখন মনোযোগী সুজেইন।
“বাফুফেকে
ধন্যবাদ আমাদের এই সুযোগটা দেওয়ার জন্য, কেননা গত বছর অক্টোবর থেকে আমরা
খেলার মধ্যে নেই। তো এটা আমাদের জন্য খুব ভালো একটা সুযোগ আন্তর্জাতিক
মঞ্চে পথচলা শুরু করার। আমাদের দলের প্রস্তুতি খুব ভালো নয়, তবে দলের প্রতি
আত্মবিশ্বাস আছে। কেননা, অধিকাংশ খেলোয়াড় মাজিয়ার হয়ে খেলেছে এএফসি
চ্যালেঞ্জ লিগে, বাকিরা আমার সাথে সেপ্টেম্বরের শেষ দিক থেকে অনুশীলন
করেছে।”
“আমি মনে করি, ছেলেরা মানসিকভাবে শক্তিশালী এবং তারা এখানে
এসেছে মালদ্বীপের ফুটবলের উন্নতির জন্য নিজেদের মেলে ধরতে। আপনারা জানেন,
গত বছর অক্টোবর থেকে কোনো ফুটবল ছিল না, এখন আমাদের খেলোয়াড়দের জন্য এটা
সুযোগ, তারা যে কোনো কিছু করতে প্রস্তুত মালদ্বীপের ফুটবলের জন্য। ছেলেরা
এই ম্যাচগুলো নিয়ে খুবই অনুপ্রাণিত।”
স্থানীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্টগুলোয় খেলার সুযোগ পেয়েছেন মালদ্বীপের খেলোয়াড়েরা। এই দিকটি সুজেইনকে আত্মবিশ্বাসী করছে আরও।
“গত
বছর অক্টোবর থেকে আন্তর্জাতিক খেলায় ছিলাম না আমরা, সেটা যেমন সত্যি, তবে
মালদ্বীপের স্থানীয় পর্যায়ে অনেক টুর্নামেন্ট হয়, ১৫-১৬টা টুর্নামেন্ট
হয়েছে, সেখানে খেলোয়াড়রা ব্যস্ত ছিল, তারা খেলেছে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের
বিপক্ষে ম্যাচের জন্য ছেলেরা প্রস্তুত।