হয়
‘হাইব্রিড’ মডেলে রাজি হও, নয়ত চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের স্বপ্ন ছাড়ো!
আইসিসির পক্ষ থেকে আপাতত পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি এই বার্তাই দেয়া
হয়েছে। ভারত পাকিস্তানে যেতে রাজি নয়, এমন খবরের পর বেশ কড়া বার্তাই
দিয়েছিলেন পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান মহসিন নাকভি। হাইব্রিড
মডেলেও পিসিবি প্রধান ছিলেন নারাজ। এবার খবর বেরিয়েছে, হাইব্রিড মডেল না
মানলে পাকিস্তান থেকে সাউথ আফ্রিকায় সরানো হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি।
ভারত-পাকিস্তানের
রাজনৈতিক বিরোধের কারণে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বন্ধ আছে বেশ অনেকটা দিন আগে
থেকেই। তবে বৈশ্বিক আসরের স্বার্থে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর সবশেষ
২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপেও ভারতের মাটিতে খেলে এসেছে পাকিস্তান। যদিও ভারত সেই
পথে হাঁটেনি। তাদের আপত্তিতেই এশিয়া কাপ হয়েছিল হাইব্রিড মডেলে।
কিন্তু
সেটা ছিল এসিসি সূচি। অনেকেরই ধারণা ছিল, আইসিসি সূচিতে অন্তত ভারত যাবে
পাকিস্তানে। এমন অবস্থায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের অংশগ্রহণের ব্যাপারে
বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কাছে লিখিত উত্তর
চেয়েছে পিসিবি।
ক্রিকইনফো জানিয়েছে, পিসিবির চাওয়া অনুযায়ী লিখিত উত্তর
দিয়েছে ভারত। যেখানে আইসিসির পাশাপাশি পাকিস্তানকেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে পাশের দেশে যাবেন না বিরাট কোহলিরা। মূলত ভারত
সরকারের অনুমতি না পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে বিসিসিআইকে। এমন
অবস্থায় আবারও হাইব্রিড মডেল চেয়েছিল ভারত।
এই প্রস্তাবে নাকভি সাফ
জানিয়ে দিয়েছে তারা হাইব্রিড মডেলের পক্ষে নয়। তাদের এমন কড়া বার্তার পর
এতে যুক্ত হয়েছে আইসিসি। ভারতের গণমাধ্যম টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার প্রকাশিত খবর
অনুযায়ী, পিসিবিকে হাইব্রিড মডেল মেনে নিতে চাপ দিচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের
নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আর হাইব্রিড মডেল না মানলে সাউথ আফ্রিকায়
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সরিয়ে নেয়ার কথা বলছে তারা।
প্রস্তাবিত সূচি
অনুযায়ী, ৮ দলের টুর্নামেন্ট মাঠে গড়ানোর কথা ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। ৯
মার্চ লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল। দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে
দলগুলো। যেখানে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ভারত, পাকিস্তান ও
নিউজিল্যান্ড। ‘বি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী ইংল্যান্ড, সাউথ আফ্রিকা ও
আফগানিস্তান।