ফসলি
জমিতে গড়ে উঠেছে ইটভাটা। কুমিল্লার লালমাই উপজেলার আলীশ্বর কুমিল্লা -
নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের পাশে মেসার্স এমরান ব্রিকস ফিল্ডে বিএসটিআই এর
লাইসেন্স না থাকায় ও পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকা, ফসলি জমিতে ইট
তৈরি করার অপরাধে মঙ্গলবার ১২ নভেম্বর ভাটার মালিককে ৭৫০০০/( পঁচাত্তর
হাজার) টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ
ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ।
ইটভাটার কোন কাগজপত্র না থাকায় বিভিন্ন সময়ে
জরিমানা দেওয়ার পরও ভাটার মালিক পক্ষ প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে ভাটায় ইট
তৈরির কার্যক্রম এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইটভাটার
পাশে ফসলি জমি। এসব জমিতে চাষ করা হয় ধান, আলু, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল।
ইটভাটার কারণে আশপাশের জমির ফসল উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
কুমিল্লা-
নোয়াখালী আঞ্চলিক সড়কের পাশেই রাখা হয়েছে ভাটার মাটি ও কয়লার স্তূপ। যন্ত্র
দিয়ে কয়লা ভাঙার সময় ধুলাবালুতে আচ্ছন্ন হয়ে যায় এলাকা। এতে পথচারী
যানবাহনের চালক, যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন।
ভাটার আশেপাশে কৃষকরা
ক্ষোভের সঙ্গে বলেন,এই ইটভাটার জন্য আমাদের ক্ষতি হচ্ছে । আমরা চাই এটি
বন্ধ হোক। কিন্তু মালিকের কাছে অসহায়। আমাদের কথার কোনো দাম নাই। তারা আরও
বলেন শুনেছি এই ভাটার পাশে আরেকটি ইটভাটা করার তোড়জোড় চলছে।
উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এহসান মুরাদ বলেন, আঞ্চলিক সড়কের পাশে ফসলি জমি
নষ্ট করে ইটভাটা করা, কোন কাগজপত্র না থাকায় এমরান ব্রিকসের মালিককে ৭৫
হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, ফসলি জমির মাটির টপসয়েল যারাই
নষ্ট করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে
বলে তিনি জানান।