শুক্রবার ১৫ নভেম্বর ২০২৪
১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
কোনো কিছু না খাওয়ার কসম করার পর খেয়ে ফেললে করণীয়
প্রকাশ: শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪, ১:৩৮ এএম |


বিভিন্ন বিষয়ে অনেককে কসম করতে দেখা যায়। কসম করলে তা পালন করতে হয়। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রয়োজনে শপথ করা জায়েজ। তবে অপ্রয়োজনে বা  কথায় কথায় কসম করা মাকরুহ। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘যে অধিক শপথ করে, যে লাঞ্ছিত, আপনি তার আনুগত্য করবেন না।’ (সুরা: কলম, আয়াত ১০)
আল্লাহ তায়ালার নাম ব্যতীত অন্য কোনো জিনিসের কসম করা নাজায়েজ। এমনকি কোরআনের কসম করাও জায়েজ নয়, আল্লাহ তায়ালা তার সৃষ্টির মধ্য থেকে যার নামে ইচ্ছা কসম করতে পারেন। কিন্তু সৃষ্টির জন্য আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে কসম করা জায়েজ নেই। তা সত্ত্বেও অনেক মানুষের মুখেই নির্বিবাদে গায়রুল্লাহর নামে কসম উচ্চারিত হয়। কসম মূলত এক প্রকার সম্মান, যা আল্লাহ ছাড়া অন্য কেউ পাওয়ার যোগ্য নয়। 
রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, সাবধান! নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদেরকে তোমাদের পিতৃপুরুষের নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। কারো যদি শপথ করতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামে শপথ করে অথবা চুপ থাকে। (বুখারি, মুসলিম, মিশকাত, হাদিস : ৩৪০৭)।
অন্য হাদিসে রাসূল সা. বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নামে কসম করল, সে শিরক করল।’ (আবু দাউদ, তিরমিজি, মিশকাত, হাদিস ৩৪১৯)। 
তবে কেউ কোনো বিষয়ে বা কোনো ফলমূল বা খাবার না খাওয়ার কসম করলে তা পূরণ করা আবশ্যক। কেউ যদি কমস করে আমি এই জিনিসটি খাবো না। তাহলে তার জন্য কসমের কারণে তা না খাওয়া আবশ্যক। আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) থেকে বর্ণিত-
তিনি বলেন, হালাল কিছুকে নিজের ওপর হারাম করা কসমের অন্তর্ভুক্ত। এরপর সেই কাজ করলে কাফফারা দিতে হবে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ১৪৭৩)
তাই এমন কথা বলার কারণে যা না খাওয়ার কসম করা হয়েছে তা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। কিন্তু কসম করার পরেও যদি কেউ কসমকৃত বস্তু খেয়ে ফেলে তাহলে তার জন্য একটি কাফফারা আদায় করা ওয়াজিব হবে। 
তাই কসমকারী নিজের পরিবারকে নিয়ে মধ্যম ধরনের যে খাবার গ্রহণ করে থাকেন, ১০ জন মিসকিনকে দুই বেলা সে রকম খাবার খাওয়াবে। অথবা দুই জোড়া কাপড় দেবে।
স্বাভাবিকভাবে, সদকায়ে ফিতির পরিমাণ টাকাকে একদিনের খরচ ধরা হবে। সেই হিসেবে সদকায়ে ফিতর পরিমাণকে দশ দিয়ে গুণ দিলে যত টাকা হয়,তাই হবে কসমের কাফফারা। যেমন কোনো রমজানে সদকায়ে ফিতির সর্বনিম্ন ৭০ টাকা থাকলে সেই হিসেবে ৭০০ টাকা হবে কসমের কাফফারা। লক্ষণীয যে, এটি পরিবর্তিত হতে পারে।
যদি টাকা দিয়ে কাফফারা আদায় করতে সক্ষমতা না থাকে, তাহলে তিনটি রোজা রাখার মাধ্যমে কাফফারা আদায় করতে হবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, বর্ণনা ১৮৪৯৬; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৯২)













সর্বশেষ সংবাদ
সাড়ে ২১ হাজার আবেদনে ফল পরিবর্তন ৩৩১ জনের
হয়রানি করতে মামলা করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
কুবিতে পিএইচডি ও এমফিল চালুর সিদ্ধান্ত
বরুড়ায় সম্পর্কের জেরে পালিয়ে যাচ্ছে কিশোর কিশোরীরা
চৌদ্দগ্রামে বাস পুড়িয়ে ৮ যাত্রী হত্যা সাবেক রেলমন্ত্রীর ভাতিজা তোফায়েল গ্রেফতার
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
তিতাসে কিশোর গ্যাংকে চাঁদা না দেয়ায় গণপিটুনি
ডায়াবেটিসের রোগীদের হাতের এবং পায়ের যত্ন জরুরী........ডা. মজিবুর রহমান
চাঁদাবাজির অভিযোগে হাতিসহ দুইজন আটক
সাবেক আইজিপি শহিদুল হকসহ ৩ জন ফের দুই দিনের রিমান্ডে
মনোহরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের রুকন সম্মেলন
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২