নিজস্ব
প্রতিবেদক।। মশক নিধনে গতি না থাকায় কুমিল্লা নগরীতে বেড়েছে মশার উপদ্রব।
মশার কামড়ে অতিষ্ট নগরবাসী। বাসাবাড়ি কিংবা উন্মুক্ত স্থান সব জায়গাতেই
মশার উপদ্রব বাড়লেও বাড়েনি মশক নিধনে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের
কার্যক্রম।
নগর ভবনের উদাসীনতার সুযোগে প্রতিনিয়ত বংশ বিস্তার করছে এডিস মশা। ফলে হাসপাতালগুলোতে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা।
কুমিল্লা
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য মতে, ইতোমধ্যে কুমিল্লা নগরীতে বেড়েছে
ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ। চলতি বছর ভাইরাসজনিত এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪৯
জন বাসিন্দা। তারমধ্যে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন
সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি ছিলেন ৪৯ জন।
নগর
বাসিন্দারা জানান, দিনের তুলনায় সন্ধ্যা নামতেই মশার উপদ্রব বাড়ে কয়েকগুণ।
কয়েল কিংবা স্প্রে ব্যবহার ছাড়া মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ট হয়ে পড়ে জনজীবন।
প্রতিনিয়ত এভাবে মশার উপদ্রব বাড়ায় চিন্তিত তারা। সিটি কর্পোরেশন থেকে যে
মশার ওষুধ দেয়া হয় তা নিয়ে আছে বিস্তর অভিযোগও।
তারা বলছেন, নগরীতে
মশার ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম চোখে পড়ছে না কারও। মাঝে মাঝে মশক নিধন
কার্যক্রমের নামে মহড়া দিয়ে যান কর্পোরেশনের কিছু লোকজন। সেটি ফলপ্রসূ কোন
ফল পাইনি বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার কুমিল্লা নগরীর ১০ নাম্বার ওয়ার্ডের
বিভিন্ন এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রম চালায় সিটি কর্পোরেশন। কুমিল্লা নগরীর
পুলিশ লাইন থেকে বাগিচাগাঁও এবং ঝাউতলা, বাদুরতলা, ধর্মসাগর পশ্চিমপাড়
এলাকায় এ কার্যক্রম চালায় তারা।
এসময় বেশকিছু বাসিন্দা জানান, মশার
ওষুধ ছিটানো হচ্ছিল না দীর্ঘদিন। বেশ কয়েকমাস পর আজ ওষুধ ছিটাতে এসেছে।
মাঝে ওষুধ ছিটানোর কার্যক্রম বন্ধ থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে। বিকাল নামতেই
কয়েল ছাড়া বাসায় বসা যায় না। মশা কমছে না, দিন দিন বাড়ছে।
তারা বলেন,
মশা নিধনে সিটি করপোরেশন সম্পূর্ণ ব্যর্থ এব উদাসীন। প্রতি বছর মশা নিধনের
নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। কোনও সুফল মিলছে না। নগরজুড়ে পর্যাপ্ত
স্প্রে-ম্যান থাকলেও তারা ঠিকভাবে ওষুধ ছিটাচ্ছে না।
কুমিল্লার ডেপুটি
সিভিল সার্জন রেজা মোঃ সরোয়ার আকবর বলছেন, ডেঙ্গু মশাবাহিত রোগ। এই রোগ
থেকে রক্ষা পেতে হলে মশার কামড় থেকে বাঁচতে হবে। সিটি কর্পোরেশনকে বাড়াতে
হবে মশা নিধন কার্যক্রম।
নগরজুড়ে মশার উপদ্রব বেড়েছে স্বীকার করে
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মোঃ নাজিম উদ্দিন বলেন,
মশক নিধন কার্যক্রম স্বাভাবিক গতিতেই চলছে। মশা নিধন কার্যক্রম পরিচালনায়
জনবল ও যন্ত্রাংশ সংক্রান্ত রয়েছে। তারপরেও প্রতিদিন দুই একটি করে মশক নিধন
কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।
এদিকে তিনি আরো বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে
সর্বপ্রথম নগরবাসীকে সচেতন হতে হবে। লিফলেট বিতরণ এবং মাইকিং করাসহ এডিস
মশা নিধনে বিশেষ অভিযান চালাবে সিটি কর্পোরেশন।