কুমিল্লার
মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ বদিউল আলম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান
শিক্ষক নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের
অপসারণ ও বিচারের দাবিতে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভসহ বিভিন্ন বিভিন্ন কর্মসূচি
পালন করে শিক্ষার্থীরা। এর আগে গণস্বাক্ষর কর্মসূচিও পালন করে। এতে ১৫০ জন
শিক্ষার্থী স্বাক্ষর দেন।
এ দিকে আন্দোলনের খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী
কর্মকর্তা আবদুর রহমান পুলিশ নিয়ে বিদ্যালয়ে ছুটে যান। তিনি শিক্ষকদের নিয়ে
শিক্ষার্থীদের শান্ত করে ক্লাসে ফিরিয়ে নেয়। এ সময় তিনি অভিযুক্ত সহকারী
প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিনকে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করতে বলেন।
শিক্ষার্থীদের
অভিযোগ, সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের যৌন
হয়রানির করে যাচ্ছেন। এ ছাড়া তিনি ছাত্রীদের সঙ্গে অসদাচরণ ও অশ্লীল ভাষায়
কথা বলতেন। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার প্রধান শিক্ষকের কাছে অভিযোগ করা হলেও
ওই শিক্ষকের আচরণ পরিবর্তন হয়নি। নারী শিক্ষকরাও তাঁর দ্বারা হয়রানির শিকার
হচ্ছেন। মানসম্মান হারানোর ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলছে না।
এ বিষয়ে
অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আণীত
অভিযোগ সঠিক নয়। কাউকে যৌন হয়রানি করার প্রশ্নই ওঠে না। একটি মহল আমার
বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মফিজ
উদ্দিন আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে তাকে কয়েকবার সতর্ক
করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাঁকে অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন। তাদের
বুঝিয়ে ক্লাসে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ইউএনও স্যার সুষ্ঠু সমাধানের কথা বলে
ওই শিক্ষকসহ খন্ডকালীন একজনকে ১৫ দিনের ছুটির আবেদন করতে বলেছেন।
মুরাদনগর
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা
হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে। আপাতত ওই শিক্ষককে ১৫ দিনের ছুটিতে যেতে বলা হয়েছে।