বাংলাদেশের
প্রথম দল হিসেবে গ্লোবাল সুপার লিগে খেলতে গিয়েছে রংপুর রাইডার্স। তাদের
প্রত্যাশা ছিল ফাইনালে খেলা। তবে প্রথম দুই ম্যাচে হ্যাম্পশায়ার হকস ও
অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ার কাছে হেরে ফাইনালে ওঠার পথ কঠিন হয়ে যায়। অবশেষে
গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে জিততেই হবে সমীকরণে জয় তুলে টিকে রইলো
নুরুল হাসান সোহানের দল। গায়ানাকে ১৫ রানে হারিয়েছে রংপুর।
বাংলাদেশ
সময় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে গায়ানার মুখোমুখি হয় রংপুর। টস জিতে
ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই গায়ানার পেসারদের তোপের মুখে পড়ে বাংলাদেশের দলটি।
গায়ানার দুই পেসার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস ও তানজিম হাসান সাকিবের তোপে ১৪
রানেই ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলে।
রংপুরের ইনিংসের প্রথম ৩ উইকেটই নেন
প্রিটোরিয়াস। এরপর সৌম্য সরকারকে (২) বোল্ড করেন তানজিম। সপ্তম ওভারে শেখ
মেহেদী হাসানকে ফেরান ইমরান তাহির। তাতে ২৭ রানেই সাজঘরে রংপুরের ৫
ব্যাটার। দলের অবস্থা তখন এলোমেলো।
সেখান থেকে ৬১ রানের জুটি গড়েন
খুশদিল শাহ ও নুরুল হাসান। দুজন মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। এই জুটি ভাঙেন
তানজিম। খুশদিলকে উইকেটকিপারের ক্যাচ বানিয়ে বিদায় করেন। ৪৭ বলে ২ চার ও ৪
ছক্কায় সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন খুশদিল। নুরুল ২৬ বলে করেন ১৫ রান। তাতে
পুঁজি দাঁড়ায় ২০ ওভারে ১১৭ রান।
গায়ানার পক্ষে ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে
তানজিম নেন ২ উইকেট। প্রিটোরিয়াস নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। এছাড়া ২টি করে
উইকেট নেন ইমরান তাহির ও গুদাকেশ মোতি। ১টি উইকেট নেন রোমারিও শেফার্ড।
রান
তাড়ায় নেমে গায়ানাও রংপুরের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে। তারাও ২৭ রানে হারায়
প্রথম ৫ উইকেট। কেউ হাল ধরতে না পারায় আর জেতা হয়নি গায়ানার। দলটি শেষ
পর্যন্ত ১৯.১ ওভারে ১০২ রান করতে সক্ষম হয়। ৪৪ বলে ৩৫ রান করে দলটি
সর্বোচ্চ স্কোরার শাই হোপ।
রংপুরের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নিয়েছেন কামরুল ইসলাম রাব্বি। হারমিত সিং নিয়েছেন ৩ উইকেট। রিশাদ পেয়েছেন ১ উইকেট।
শুক্রবার
সকালে লাহোর কালান্দার্সকে হারালে ফাইনালে উঠেও যেতে পারে রংপুর রাইডার্স।
তবে সমীকরণ বেশ কঠিন। ম্যাচ তো জিততেই হবে, সেই সঙ্গে নেট রান রেটের
হিসেবেও এগিয়ে থাকতে হবে। সেই সঙ্গে লিগ পর্বের বাকি দুটি ম্যাচেও জিতলেই
তবে ভালো সম্ভাবনা থাকবে। কোনো দলেরই ফাইনালে ওঠা নিশ্চিত হয়নি, সম্ভাবনা
টিকে আছে পাঁচ দলেরই।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
রংপুর রাইডার্স: ২০ ওভারে ১১৭ (খুশদিল ৫৮, নুরুল ১৫; প্রিটোরিয়াস ৩/১৫, মোতি ২/১৭, তানজিম ২/২১, তাহির ২/২৪)।
গায়ানা: ১৯.১ ওভারে ১০২ (হোপ ৩৫, পল ১৮; কামরুল ৪/১৩, হারমিত ৩/১২, মেহেদী ১/১৫, রিশাদ ১/২২)।
ফল: রংপুর রাইডার্স ১৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: খুশদিল শাহ।