কুমিল্লার লালমাইয়ে দাফনের ৪ মাস ১ দিন পর আদালতের নির্দেশে কৃষক খোরশেদ আলম (৫৫) এর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
নিহত খোরশেদ আলম উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের মৃত তরাব আলী কবিরাজের ছেলে।
শুক্রবার
(৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার ও
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল নূর আশেক এর উপস্থিতিতে পুলিশ লাশটি
উত্তোলন করে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের
পালপাড়া গ্রামের খোরশেদ আলম ও জসিম উদ্দিনের সাথে জমি বিক্রয় নিয়ে পূর্ব
থেকে বিরোধ চলে আসছিল একই গ্রামের সাব্বির আহমেদের। গত ৫ আগষ্ট বিকেলে
দেশব্যাপী অস্থিতিশীলতার সুযোগে সাব্বির আহমেদ তার সঙ্গীয়দের নিয়ে দেশীয়
তৈরি অস্ত্র দিয়ে খোরশেদ আলম ও জসিম উদ্দিনের উপর হামলা করে। হামলাকারীরা
খোলশেদ আলমকে কুপিয়ে রক্তাক্ত পরে পানিতে চুবিয়ে ধরলে ঘটনাস্থলেই তার
মৃত্যু হয়। ঘটনার পর পুলিশি সহায়তা না পাওয়ায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ দাফন
করে নিহতের পরিবার।
গত ২৯ আগষ্ট কুমিল্লার বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল
ম্যাজিস্ট্রেট ৯নং আমলী আদালতে এজাহারভুক্ত ৪জনসহ ১৪জনের বিরুদ্ধে হত্যার
অপরাধে অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ছেলে কলেজ শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন (২২)।
আদালতের নির্দেশে গত ২২ অক্টোবর লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মামলাটি
এফআইআর করেন এবং তদন্তের উদ্যোগ নেন। মামলার এজারহারভুক্ত আসামীরা হলেন:
পালপাড়া গ্রামের মৃত মাওলানা ছালামত উল্যাহ একরামির ছেলে সাব্বির আহমেদ
(৫৫), তার ছেলে ফাহিম (২৮), মৃত মোস্তফার ছেলে সালাউদ্দিন (৩৩) ও আবদুর
রহিমের ছেলে আলমগীর হোসেন (২৪)। এই মামলার এজাহার ভুক্ত আসামি ফাহিম জেল
হাজতে আছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, লালমাই থানার উপ-পরিদর্শক
শাহাদাত সিরাজী বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে নির্বাহী
ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে শুক্রবার বিকেলে লাশটি উত্তোলন করে কুমিল্লা
মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।