কুমিল্লার লালমাইয়ে সৌদিপ্রবাসী দুই সহোদরের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা প্রবাসীদের পিতাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে এবং মা ও ভাইকে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে। এ সময় ঘরের আলমারিতে থাকা তিন লাখ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট করেছে ডাকাতদলের সদস্যরা। গুরুতর আহত হাবিবুর রহমানের অবস্থা আশংকাজনক।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার পর উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের দত্তপুর পশ্চিমপাড়ার হাবিবুর রহমানের দুই প্রবাসী ছেলে মিনহাজ উদ্দিন সবুজ ও সালমান জাহান সজিবের তিনতলা ভবনের নিচতলায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রবাসী সবুজের স্ত্রী ফাতেমা ইসলাম বলেন, ‘আমি বাবার বাড়িতে ছিলাম। ডাকাতির খবর পেয়ে ভোরে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখি, আমার শ্বশুর হাবিবুর রহমান (৬০) অজ্ঞান অবস্থায়। মাথাসহ পুরো শরীরে ব্যান্ডেজ লাগানো। আমার শাশুড়ি শাহানারা বেগম (৪৫) ও দেবর মেহেদী হাসান সামী (১৬) অনেক অসুস্থ।
কুমিল্লা মেডিক্যালের চিকিৎসকরা উন্নত চিকিৎসার জন্য আমার শ্বশুরকে ঢাকায় রেফার করেছেন। তিনি এখন ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। আমার শাশুড়ি ও দেবরকেও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘হাসপাতালে আমার শাশুড়ি থেকে শুনেছি, ডাকাতরা প্রথমে আমার শ্বশুরকে কুপিয়ে জখম করলে তিনি অজ্ঞান হড়ে পড়েন।
এরপর আমার দেবরকে টয়লেটে নিয়ে জবাই করতে চাইলে আমার শাশুড়ি চিৎকার করে ডাকাতদের পায়ে ধরে ছেলেকে প্রাণে রক্ষা করেন। ওই সময় ডাকাতরা আমার শাশুড়িকেও মারধর করেন। সকালে বাড়িতে এসে দেখি, ঘরের প্রতিটি রুমের মেজেতে আমার শ্বশুরের রক্ত লেগে আছে। ডাকাতরা আমার কক্ষের তালা ভেঙে সব তছনছ করে ফেলছে।
লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ভোরেই ঘটনাস্থলে যাই। ডাকাতরা টাকাসহ স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। প্রবাসীদের পিতাকে কুপিয়ে জখম করেছে এবং মা ও ভাইকে মারধর করেছে।’তিনি আরো বলেন, ‘প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় চিকিৎসাধীন। তাই এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি। তবে আমরা ডাকাতদের চিহ্নিত করতে আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছি। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া একটি ক্লু ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।’