কুমিল্লা
নগরীর টমসম ব্রিজে বাইক চালকের মারপিটে অটো রিক্সা চালকের মৃত্যুর ঘটনা
এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। বাইকে অটোরিকশা লাগিয়ে দেয়ার মত তুচ্ছ
ঘটনায় হাতাহাতিতে ওই অটোরিক্সা চালকের মৃত্যু হয়েছে বলে ফেসবুকে জানাচ্ছেন
অনেকেই। দরিদ্র অটোচালকের হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচার ও শাস্তি দাবী করছেন
তারা।
তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা- টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে
অন্তর্দন্দ্বে এই হত্যাকান্ড। এরা সকলেই একটি প্রতারক চক্রের সদস্য। অটো
রিক্সা চালক আজাদের বিরুদ্ধে এর আগেও ৬টি মামলা রয়েছে, তবে খুনের ঘটনায়
জড়িতদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে তারা।
নিহত আজাদ মিয়ার বাড়ি কুমিল্লা শহরের দৌলতপুরের পশ্চিম পাড়ায়।
সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া সিসিটিভির একটি ফুটেজ ও ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন
ফেসবুক লাইভে দেখা গেছে, কুমিল্লা শহরমুখী রাস্তায় আজাদের অটো রিক্সাটি
ড্রেনের লাগোয়া দেয়ালের পাশ দিয়েই আসছিলো। এর উল্টো পাশ থেকে ধীর গতিতে
একটি বাইকে দুই ব্যাক্তি অটো রিকশাটির সামনে এসে দাঁড়ায়। এরপরেই জড়ো হয়ে
আরো কয়েকজন। তবে সিসি ফুটেজে হাতাহাতির ঘটনা স্পষ্ট নয়।
কুমিল্লা জেলা
পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান জানিয়েছেন, আজাদের বিরুদ্ধে যেসব মামলা আছে
সেগুলো পর্যালোচনা করে দেখা গেছে সে নিজেও প্রতারক চক্রের সদস্য। তবে খুন
যারাই করেছে তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায়ন হবে।
কুমিল্লার অতিরিক্ত
পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর টমছম ব্রিজ
এলাকায় এই ঘটনা ঘটায় মোট পাঁচ ছয় জন লোক। তার স্ত্রী বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর
দক্ষিণ থানায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার সময়কার
সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে, এক আসামিকে সনাক্ত করা হয়েছে। জড়িতদের
ধরতে পুলিশ কাজ করছে। নিহত আজাদের বিরুদ্ধে ছয়টি মামলা আদালতে বিচারাধীন
রয়েছে। এর মধ্যে ধর্ষণ, ছিনতাই ও প্রতারণার মামলাও রয়েছে।
এদিকে দিনে
দুপুরে প্রকাশ্যে এমন হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও শাস্তি দাবী
করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিচ্ছেন অনেকেই। ফেসবুকের সেসব পোস্টে
বলা হচ্ছে, বাইকে অটো রিক্সা লাগিয়ে দেয়ায় এই হত্যাকান্ড। মানবিক দৃষ্টিকোণ
থেকে এই ঘটনার প্রতিবাদ ও সোচ্চার হবার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।