জাতীয়
ঐক্যমতের ভিত্তিতে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ‘ঘোষণাপত্র’ তৈরি করতে
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ গ্রহণের কথা বলেছেন প্রধান
উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। সোমবার রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার
সামনে তিনি সাংবাদিকদের সরকারের এ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন।
শেখ হাসিনার
সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন মঙ্গলবার শহীদ মিনার
প্রাঙ্গণে জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ দেওয়ার কর্মসূচি
দিয়েছে।
এতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে ‘নাৎসি বাহিনীর’ মত ‘অপ্রাসঙ্গিক’
ঘোষণা এবং ১৯৭২ সালের সংবিধানকে ‘কবর’ রচনা করার ঘোষণার কথা বলেছেন
সংগঠনটির আহ্ববায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রোববার বাংলামোটরে সংগঠনটির
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন। এর আগে সংগঠনটির
সমন্বয়কসহ সংশ্লিষ্টরা এবং নাগরিক কমিটির নেতারা ফেইসবুকে এ নিয়ে পোস্ট
দেন।
এ ঘোষণাপত্রের সঙ্গে অন্তর্র্বতী সরকারের সম্পর্ক নেই বলে রোববার বলেছিলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এর
একদিন পর সোমবার প্রেস বিফ্রিংয়ে শফিকুল সরকারের পক্ষে থেকে ঘোষণাপত্র
তৈরির কথা তুলে ধরেন। বলেন, “জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা
জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে
সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে।
”গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব
দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক
দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই
গণঅভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত
হবে।''
তিনি বলেন, ''আমরা আশা করছি, সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের
মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে
উপস্থাপন করা হবে।''