মঙ্গলবার ৭ জানুয়ারি ২০২৫
২৪ পৌষ ১৪৩১
সংকটে অর্থনীতি
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:২৭ এএম |

সংকটে অর্থনীতি
যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি নির্ভর করে শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর। অনেক সময় বিনিয়োগকে প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হয়। বিনিয়োগ ব্যক্তি খাতে যেমন হতে পারে, তেমনি হয় রাষ্ট্রীয় খাতে। যেকোনো দেশে ব্যক্তি বা বেসরকারি বিনিয়োগ বড় একটা দিক।
বাংলাদেশে বেসরকারি বিনিয়োগ, বেসরকারি ব্যবসা-শিল্প বিশেষ অবদান রাখছে। সাম্প্রতিক বাস্তবতা হচ্ছে, মূল্যস্ফীতির চাপে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি, বিক্রি হ্রাস, সুদের উচ্চ হার, শ্রম অসন্তোষ, পরিবহন ও কারিগরি সমস্যা, ডলার সংকটে কাঁচামালের ঘাটতি, বৈশ্বিক যুদ্ধ ও আকস্মিক বন্যার বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করছে ব্যবসা-উদ্যোগ। পাশাপাশি রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কিছু কম্পানির ব্যবসা করার সুযোগ সীমিত হয়ে গেছে। ব্যবসার জন্য কিছু শর্তপূরণ প্রয়োজন।
প্রথমত, পরিবেশ লাগবে। ব্যবসার জন্য পরিবেশ দরকার। ব্যবসার আবহের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করে। সার্বিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থা এবং দেশের অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থা কেমন-এটি বিবেচ্য বিষয়।
পত্রিকান্তরে প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা, শিল্পে শ্রম অসন্তোষ, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নেতিবাচক ধারা, বিপুল খেলাপি ঋণ, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ডলারের বাজারে অস্থিরতার মতো পুরনো কিছু সংকট নতুন বছরেও অর্থনীতিকে ভোগাবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকরা। ব্যাপকভাবে আমদানি নিয়ন্ত্রণের ফলে শিল্প খাতের সংকট হবে আরো প্রকট, চড়া মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের ফলে বাজারে টাকার প্রবাহ আরো কমবে, বাড়বে ঋণের সুদহার, বাধাগ্রস্ত হবে বিনিয়োগ, কমবে নতুন কর্মসংস্থানের গতি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত দু-তিন বছরে অর্থনীতি যে পরিমাণ অবনমিত হয়েছে, তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। অর্থনৈতিক পরিস্থিতি যতটা খারাপ অবস্থায় গেছে, সেটি টেনে তুলতে সময় লাগবে।
প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, অন্যদিকে খেলাপি ঋণ ও পাচারের টাকা উদ্ধারে টার্গেট করা হয়েছে দেশের শীর্ষ ১০টি গ্রুপকে।
শিল্প বাঁচিয়ে টাকা আদায়ের কৌশল না নিয়ে বরং ত্বরিতগতিতে প্রবল চাপ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১০টি ব্যাংককে টেনে তোলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপে অন্য সবল ব্যাংক থেকে সাময়িক ধারে অর্থ সহায়তা দেওয়া হলেও উৎপাদন, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে নিয়োজিত ১০টি গ্রুপকে টিকিয়ে রাখার বদলে বরং বন্ধের আয়োজন করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ১০ ব্যাংক ধ্বংস করার পর একই চক্রান্তে ১০ ব্যবসায়ী গ্রুপকে ধ্বংস করার নীলনকশা চলছে। এরই মধ্যে দেশের রপ্তানিবাজার হুমকির মুখে পড়েছে। বিদেশি অর্ডার চলে যাচ্ছে প্রতিবেশী দেশে। চক্রটি এমন সুকৌশলে ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে যে এতে দেশের বেসরকারি খাত ও শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে। ক্রমেই ব্যবসা-বিনিয়োগ চলে যাবে ভিন্ন দেশে। আর মানুষ হারাবে কাজের সুযোগ। অর্থনীতি হবে নড়বড়ে।
দেশের অর্থনীতি নানা রকম চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে। ছোট-বড় সব ব্যবসার ক্ষেত্রেই নানা ধরনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। শিল্প, ব্যবসা, বিনিয়োগ-সব কিছুই যেন তার স্বাভাবিক গতি হারিয়ে ফেলছে। দেশের অর্থনীতির সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য সরাসরি সম্পৃক্ত। তাই ব্যবসা টিকিয়ে রাখার স্বার্থে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের প্রত্যাশা, বিদ্যমান সব বাধা দূর করে ব্যবসার পরিবেশ নিরাপদ করা হবে।












সর্বশেষ সংবাদ
প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখার পরামর্শ
চৌদ্দগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযানে সন্ত্রাসী আটক,অস্ত্রউদ্ধার
এককভাবে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি ফ্যাসিস্ট হবে
মোবাইলে গেমস্ খেলার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে কিশোরের মৃত্যু
ছোটরা পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের নতুন কমিটি
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
বেদখল হয়ে আছে কুমিল্লার সড়ক-মহাসড়কের যাত্রীছাউনি
বাপে-মেয়ে মিল্লা পালাইছে কোথায় বাহার-লোটাস
কুমিল্লা মহানগরীর ৪ওয়ার্ডে বিএনপি’র কমিটি
কুমিল্লায় ফসলের মাঠজুড়ে সাদা বকের মিলন মেলা
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের দায়ে দুই ভারতীয় নাগরিক আটক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২