দুদলের
ফর্ম বিবেচনায় অ্যানফিল্ডের রোববারের রাতের ফলাফল দেখলে ফুটবল ভক্তদের চোখ
কিছুটা হলেও বড় হবে। কারণ, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের টেবিলটপার লিভারপুলের
বিপক্ষে খেলাটি ছিল বাজে ফর্মে থাকা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। ফলাফল ছিল
ড্র।
খেলা শুরুর আগেই নিশ্চয় কোনো কোনো সমর্থক লিভারপুলকে জিতিয়ে
দিয়েছেন। ম্যানইউর পক্ষে বাজি ধরার লোক বোধহয় খুব বেশি ছিল না। তবে যে কজন
ছিলেন, তাদের সম্মানেই বোধহয় রোববার অন্যতম সেরা খেলাটি খেলেছে ম্যানইউ।
লিভারপুলের
ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ড থেকে রোববার এক পয়েন্ট নিয়ে ফিরেছে ম্যানইউ। ২-২ গোলে
ড্র করেছে রুবেন অ্যামোরিমের শিষ্যরা। ফুটবল ভক্তদের কাছে যা রীতিমতো চমক।
ভালো
খেললেও একটা সময় মনে হয়েছিল খালি হাতেই ফিরতে হবে ম্যানইউকে। কেননা ৮০
মিনিট পর্যন্ত ২-১ গোলে পিছিয়ে ছিল রেড ডেভিলরা। কিন্তু ম্যানইউর
ভক্ত-সমর্থকদের হতাশ হতে দেননি আমাদ। দুর্দান্ত গোলে দলকে সমতা ফিরিয়ে
সমর্থকদের জয়ের মতোই অনুভূতি এনে দেন তিনি।
লিগে টানা তিন ম্যাচের হারের
পর অবশেষে ড্র করলো ম্যানইউ। লিভারপুলের পরিসংখ্যান অনেকটা ব্পিরীত। অল
রেডরা টানা তিন ম্যাচের পর জয়ের পর এবার পয়েন্ট খোয়ালো।
অ্যানফিল্ডে
রোববার শুরুতে গোল করে ম্যানইউ। ৫২ মিনিটে লিসান্দ্রো মার্টিনেজের গোলের
১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় সফরকারীরা। এই গোল শোধ করতে লিভারপুল সময় নেয় মাত্র
৭ মিনিট।
৫৯ মিনিটে লিভারপুলের হয়ে গোল করেন নেদারল্যান্ডস তারকা কোডি
গাকফো (১-১)। ৭০ মিনিটে মিশরীয় ফরোয়ার্ড মোহাম্মদ সালাহর পেনাল্টিতে ২-১
গোলে এগিয়ে যায় লিভারপুল। এরপর সেই আমাদের গোলে ২-২ সমতায় ফেরে ম্যানইউ।
শেষ
দিকে গোল করার আরেকটি সুযোগ পান আমাদ। তবে দারুণ সুযোগটি কাজে লাগাতে
পারেননি আইভরি কোস্টের উইঙ্গার। আমাদের করা হেড চলে যায় গোলবারের বাইরে
দিয়ে।
১৯ ম্যাচে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে বরাবরের মতোই শীর্ষে আছে লিভারপুল। ২০
ম্যাচে ৪০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে আর্সেনাল। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে ১৩তম
অবস্থানে আছে ম্যানইউ।