ময়মনসিংহ সদরে জুয়ার আসর থেকে আইনজীবী ও সাবেক কাউন্সিলরসহ নয়জনকে আটক করেছে যৌথ বাহিনী।
এ ছাড়া ঘটনাস্থল থেকে জুয়ারিদের বহনকারী একটি পাজেরো, দুটি প্রাইভেটকার ও জুয়ার সামগ্রী জব্দ করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মো. সফিকুল ইসলাম খান।
সোমবার
রাতে জেলা সদর উপজেলা এবং গৌরীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাচারি বাজারের
পাশে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর থেকে তাদের আটক করা হয় বলে জানান তিনি।
আটকরা
হলেন- ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী কায়কোবাদ হোসনে (৪৯), জামালপুর পৌরসভার ৮
নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাসুদ করিম (৫৫), মর্তুজা রেজা (৬৭), অরুন
খান (৪৫), মোজাম্মেল (৫৫), মফিজুর রহমান (৫২), রুহুল আমিন (৫২), মোফাজ্জল
হোসনে (৬০) এবং রতন মণ্ডল (৩২)।
তবে অভিযানের সময় জুয়ার আসর থেকে
গৌরীপুর উপজেলার ৯ নম্বর ভাংনামারী ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো.
মোজাম্মেল হোসেন পালিয়ে গেছেন। যাকে জুয়ার আসরের মালিক বলে দাবি পুলিশের।
ওসি
সফিকুল ইসলাম খান বলেন, “গৌরীপুর উপজেলা তাঁতী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মফিদুল
ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী নদী সংলগ্ন একটি এলাকায়
জুয়ার আসর চালিয়ে আসছিলেন। ৫ অগাস্টের পর মফিদুল ভারতে পালিয়ে যাওয়ায়
বর্তমানে তার বড় ভাই কৃষক দলের নেতা মোজাম্মেল হোসেন জুয়ার আসরটি পরিচালনা
করে আসছিলেন।
“এ নিয়ে এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ
একাধিকবার অভিযান চালালেও বন্ধ হয়নি জুয়ার আসর। সোমবার যৌথবাহিনী অভিযান
চালিয়ে সেখান থেকে নয়জনকে আটকের পাশাপাশি তিনটি গাড়ি জব্দ করা হয়।”
এ ঘটনায় জুয়ার আসরের মালিক মোজাম্মেলসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১০ থেকে ১৫ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।
এর মধ্যে আটক নয়জনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে; বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান ওসি সফিকুল ইসলাম।