বৈষম্যবিরোধী
ছাত্রআন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, ৩১ ডিসেম্বর
শহীদ মিনার থেকে প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশন ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল।
যেহেতু সরকার দায়িত্ব নিয়েছে যে- জাতীয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে এটির ঘোষণা করা
হবে। সে জায়গা থেকে আমরা গণমানুষের আকাঙ্খা তুলে ধরার জন্য মানুষের কাছে
ছুটে যাচ্ছি। প্রান্তিক জনপথ থেকে যারা ২৪-এর গণআন্দোলনে নেমে এসেছিল;
সমাজের প্রত্যেকটি স্তুরের মানুষের কাছে ছুটে যেতে চেষ্টা করছি। তাদের সাথে
কথা বলার চেষ্টা করছি, পরবর্তী বাংলাদেশ বিনিমার্ণের ক্ষেত্রে তাদের যে
আশা আকাঙ্খা এই জুলাই গণঅভ্যুত্থনের ঘোষণাপত্রে প্রতিফলিত হয়।
অন্তঃবর্তীকালীন
সরকারের উদ্দেশ্যে হাসনাত বলেছেন, আমি আশা করছি, সরকার আগামী ১৫ জানুয়ারি
মধ্যে প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশন ঘোষণা করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ হাতে
নিবেন। প্রোক্লেমেশন অব জুলাই রেভুলেশনের ঘোষণাপত্রে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে
হাসনাত বলেন, ১৯৪৭ থেকে ১৯৭১ এর পথযাত্রা এবং ১৯৭১ থেকে ২০২৪ এর পথযাত্রা
সেটি সুস্পষ্ট সেখানে বর্ণনা থাকতে হবে। ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই
এবং সংগ্রামের দীর্ঘ সময়ের যে ইতিহাস রয়েছে সে ইতিহাসের স্বীকৃতি থাকতে
হবে। আওয়ামী জাহিলিয়াতের সময় খুন, গুম, হত্যা নির্যাতন, নিপীরণসহ আওয়ামীলীগ
প্রণোয়ন করেছে সেটারও বর্ণানা থাকতে হবে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি)
বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় জুলাই বিপ্লবের ঘোষণা পত্রের সমর্থনে
জনমতের লক্ষ্যে প্রচারপত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। পরে
তিনি উপজেলা সদর এলাকায় বিভিন্ন দোকান ও পথচারীদের মাঝে প্রচারপত্র বিতরণ
করেন। এসময় দেবিদ্বার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের বিভিন্ন পর্যায়ের
নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, একাত্তরের লড়াই ছিল পাকিস্তানি
অত্যাচার, নির্যাতন ও শোষনের বিরুদ্ধে, ঠিক একই ভাবে চব্বিশের লড়াইটিও ছিল
আওয়ামী জাহেলিয়াত ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে। এই দুটি লড়াই ছিল বাঙালি জাতির
ইতিহাসের লড়াই সুতরাং একটিকে দিয়ে আরেকটি মুছে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে-
বিষয়টি এমন নয়, এই দুটি লড়াই থেকে আমাদের শিক্ষা রয়েছে।