এখন আমি অস্ট্রেলিয়ায়।
৮০০০ মাইল দূর থেকে বর্তমান ‘উদীচী, কুমিল্লা’র সভাপতি, কেন্দ্রীয় ‘উদীচী’র
সদস্য এবং চট্টগ্রাম বিভাগের আহ্বায়ক শেখ ফরিদের টেলিফোন পেয়ে শরীরটা
শিরশির করে উঠলো। ‘উদীচী’ নামের শিল্পবৃক্ষের শেকড়ের রসের টানে আমি আজ দেশ
ছাড়িয়ে নাট্য জগতে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েিেছ। ভাবতে
ভালো লাগে, আমি এখন কুমিল্লা কালচারাল কমপ্লেক্সের নির্বাচিত সহ-সভাপতি আর
শেখ ফরিদ সাধারণ সম্পাদক, জেলা প্রশাসক সভাপতি। ফরিদ ও আমি দু’জনই ‘উদীচী’র
প্রোডাক্ট।
ফিরে দেখা :
৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬২’র আন্দোলন, ৬৬ পেরিয়ে
যখন স্বাধীনতার এক দফা দাবীতে বাঙালি সোচ্চার সেই সময় প্রগতিশীল রাজনৈতিক
ধারার সত্যেন সেন, রনেশ দাশগুপ্ত’র হাত ধরে ২৯ অক্টোবর ১৯৬৮ সালে ঢাকায়
প্রতিষ্ঠা লাভ করে ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।’ ৬৯’র গণঅভ্যুত্থানে ‘উদীচী’র
সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ৭০’র নির্বাচনকে প্রভাবিত করে। সেই সময় ‘উদীচী’তে যোগ
দিলেন বাংলাদেশের গণসংগীতের রাজা কুমিল্লার সুখেন্দু চক্রবর্তী। ৭১’র
মুক্তিযুদ্ধে ‘উদীচী’র শিল্পীরা শব্দ সৈনিকের ভূমিকা পালন করে। সুখেন্দু
চক্রবর্তী ক্যাপ্টেন সুজাত আলীর সহযোগিতায় গড়ে তোলেন ‘স্বাধীন বাংলা
মুক্তিযোদ্ধা সাংস্কৃতিক সংসদ।’ স্বাধীনতাত্তোর দেশের বিভিন্ন জেলায় গড়ে
ওঠে বাংলাদেশ ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।’ সারা বাংলাদেশে ‘উদীচী’র জয়-জয়কার। তখন
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ছিল না। বামধারার ‘উদীচী’ নিয়ন্ত্রণ করতো
সাংস্কৃতিক আন্দোলন। তারই ধারাবাহিকতায় কুমিল্লার বামধারার কিছু তরুণ, যার
মাঝে মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আহমাদ বাকের, এহসানুর রহমান, মিন্টু সিনহা, নিজাম
উদ্দিন আহমদ খসরু, আলী হোমেন চৌধুরী, প্রেমাশিস চৌধুরী প্রমুখ মিলে মুজিব
নগর সরকারের মটিবেটর দেবব্রত দত্তগুপ্তকে আহ্বায়ক ও এহসানুর রহমানকে সদস্য
সচিব করে ৭৪’র সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী’ কুমিল্লা
শাখা প্রতিষ্ঠা করেন। শুরু হয় কুমিল্লায় ‘উদীচী’র কার্যক্রম। রামঘাটলায়
নীলিমাদিদের বাসায় শুরু হলো মহড়া। ৭৪’র নভেম্বর মাসে ভিক্টোরিয়া কলেজের
বাংলা বিভাগের অধ্যাপক চাঁপাপুরের নুরুল ইসলাম স্যারকে সভাপতি ও এহসাানুর
রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে ‘উদীচী কুমিল্লা’ শাখার যাত্রা শুরু হয়।
উপদেষ্টা হিসেবে ছিলেন দেবব্রত দত্তগুপ্ত, সেলিনা বানু (মুক্তিযোদ্ধা শিরিন
বানু মিথিলের মা), বিশিষ্ট সংগীতজ্ঞ মিন্টু সিংহ, ধর্মরক্ষিত মহেথেরো
(মুক্তিযোদ্ধা), সুখেন্দু চক্রবর্তী (মুক্তিযোদ্ধা), কুলেন্দু দাস
(মুক্তিযোদ্ধা), শেফাল রায়, মিলন রায় (মুক্তিযোদ্ধা), সঞ্জীবন রায়
(মুক্তিযোদ্ধা), অধ্যাপিকা সায়রা বেগম, বাণী দত্ত, নাছির আহমেদ, সুজিত গুহ
চাঁন, অজয় চক্রবর্তী, তপন সাহা, বিষ্ণুপদ সিনহা (মুক্তিযোদ্ধা), রতন কিশোর
সাহা, নৃপেন্দ্র চক্রবর্তী, কিরিট বিক্রম সিংহ, মিঠু সিনহা, নীলিমা পাল,
ফেরদৌস হোসেন ভুঁইয়া, সমীর মজুমদার, আ.ফ.ম শাহজাহান, ভূদেব সাহা, বুদ্ধ
সিংহ, গোলাম ফারুক প্রমুখ। আমরা জুনিয়ররা ছিলাম ‘উদীচী’র প্রাণশক্তি। আমি,
ফখরুল ইসলাম রচি, পরিমল, নাহিদ সুলতানা, সায়রা বেগম জলি, পাপড়ি বসু,
রঞ্জীত, লুৎফুল আমিন মুরাদ, স্বপন কর, স্বপন ঘোষ, শিল্পী দত্ত, তৃপ্তি
চক্রবর্তী, দীপা সিনহা, লাভলী সিনহা-সহ আরও অনেকে। যাঁদের নাম মনে করতে
পারছি তাঁদের ক্ষমা প্রার্থী।
‘বাংলাদেশ উদীচী শিল্পিীগোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠা
হওয়ার পেছনে কারণগুলোর মধ্যে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার ও তাদের তাবেদার
বাঙালি, বাংলা ভাষা ও বাঙালি সংস্কৃতিকে অবহেলাকারী কিছু বুদ্ধিজীবীর
পরোক্ষ ভূমিকা ছিল। তারা একসময় রবীন্দ্র সংগীতকে নিষিদ্ধ করার দাবী তোলে।
১৯৬৫ এর পাক-ভারত যুদ্ধের পর পাকিস্তান সরকার রেডিও-টেলিভিশনে ও মঞ্চে
রবীন্দ্র সংগীত ও রবীন্দ্রনাথ বিষয়ে সবকিছু নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এই ঘোষণার
বিরুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তানের বাংলা সংস্কৃতির বিবেকবান অধিকাংশ বুদ্ধিজীবী ও
বাঙালি সংস্কৃতি সচেতন মানুষ প্রতিবাদ করে এবং সরাসরি বিরোধিতা আগ্রাহ্য
করে রবীন্দ্র চর্চা অব্যাহত রাখে। ১৯৬৭ সালে জগন্নাথ কলেজে বসন্ত উৎসব
অনুষ্ঠিত হয় শুধু রবীন্দ্রনাথের গান দিয়ে। পরিচালনায় ছিলেন কুমিল্লার
সুখেন্দু চক্রবর্তী। শিল্পীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন জাহেদুর রহমান, ফ্লোরা
আহমেদ, বুলবুল মহালানবীশ প্রমুখ। জগন্নাথ কলেজের মাঠে প্রায় ১০ হাজার লোকের
সমাবেশ হয়েছিল সেদিন। কুমিল্লায় একবার কথায় কথায় খোকাদা (সুখেন্দু
চক্রবর্তী) বলেছিলেন, জগন্নাথ কলেজের অধ্যক্ষ সাইদুর রহমান ছিলেন বঙ্গন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের সরাসরি শিক্ষক। মুজিবের অনুরোধে তিনি এই অনুষ্ঠান
করেছিলেন এবং এর প্রেক্ষিতেই প্রতিষ্ঠা লাভ করে ছায়ানট। প্রগতিশীল লোকজন
বুঝে যায় সাংস্কৃতিক মুক্তি না হলে বাঙালি তার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবে না
এবং ১৯৬৮ সালে ভারতীয় গণনাট্য সংস্থার আদলে সত্যেন সেন ও রনেশ দাশগুপ্ত গড়ে
তোলেন ‘উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।’
১৯৭৪ সালের সেপ্টেম্বরে ‘কুমিল্লা উদীচী’
প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর ৬ জানুয়ারি ১৯৭৫ সালে টাউন হল মঞ্চে সংগঠনের সদস্য তপন
কুমার সাহা রচিত গণসংগীত, নাট্য, নৃত্য সহযোগে মঞ্চস্থ হয় ‘বিনীত প্রয়াস।’
‘কুমিল্লা উদীচী’র যাত্রা হলো শুরু। ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, ১ মে শ্রম
দিবসে ‘উদীচী’র গণসংগীত কার্যক্রম শুধু কুমিল্লায় নয় কেন্দ্রে ঢাকায়ও
প্রশংশিত হয়।
‘কুমিল্লা উদীচী’ মূলত গণসংগীত নির্ভর দল হলেও সংস্কৃতির
সকল শাখায় কাজ করতে থাকে। উদীচী’র গানগুলো সে কালে জনপ্রাণে সাড়া
জাগিয়েছিল। কিছু জনপ্রিয় গানের উল্লেখ করছি, ‘ফুলের মতো ফুটলো ভোর / ভাঙলো
মাঝির ঘুমের ঘোর’, ‘যাত্রা শুরু, যাত্রা শুরু হলো এবার’। কুমিল্লার ফেরদৌস
হোসেন ভুঁইয়া রচিত ও কুমিল্লার সুখেন্দু চক্রবর্তী সুরারোপিত ‘ডিম পাড়ে
হাঁসে / খায় বাগডাঁশে’ গানটি ছিল আমাদের মুখে মুখে। উদীচী’র আরও যেসব গান
জনপ্রিয় হয়েছিলো সেগুলো হলো, ‘দুনিয়ার মজদুর ভাইসব, তোরা এক সারিতে দাঁড়া’,
‘ হেই সামালো ধান হো / কাস্তেতে দাও শান হো’, ‘শ্রমিক আর কিষাণে হলো আজ
মৈত্রী / হাতুড়ি কাস্তে লাঙলে।’
সুখেন্দু চক্রবর্তী ঢাকা থেকে প্রায়
প্রতি সপ্তাহে কুমিল্লা এসে ধর্মসাগর পাড় চারুকলায় অথবা রামঘাটলায় নীলিমা
দি ও অনিমাদের বাসায় উদীচী’র সদস্যদের গান শেখাতেন। এদিকে অনুষ্ঠানাদি হলে
মিন্টু সিনহা, বিষ্ণুদার বউ লাভলী বৌদি, কুলেন্দু দাস, নাছির আহমেদ এরা
মহড়া দিতেন। লাভলী বৌদির মুকুন্দ দাসের ‘ভয় কি মরণে রাখিতে সন্তানে,
মাতঙ্গী মেতেছে আজ সমর রঙ্গে’ গানটির কথা মনে হলে এখনও গা শিরশির করে।
কুমিল্লা
উদীচী মূলত গণসংগীত নির্ভর দল হলেও নাটক ছিল তার প্রাণশক্তি। কুমিল্লা
উদীচী আধুনিক নাট্যকারদের মাধ্যমে নাট্য আন্দোলন শুরু করে। ৭৪ এর
সেপ্টেম্বরে প্রতিষ্ঠার পর ১৯৭৫ এর ৬ জানুয়ারি তপন সাহা রচিত ‘বিনীত
প্রয়াস’, হাবিব হাসান রচিত ‘তরুণ ও রহমান ক্ষত’ প্রভৃতি নাটক মঞ্চায়ন করে
এবং আমাকে উদীচীর নাট্য বিভাগের দায়িত্ব দেন। এখানে উল্লেখ করতে হয়,
উদীচী’র নাটক কুমিল্লায় গ্রুপ থিয়েটার ভাবধারার নাটকের অগ্রপথিক। ১৯৭৫
সালের ২৩ জুন গ্রুপ থিয়েটার ভাবধারার প্রতিষ্ঠা হয় এবং কুমিল্লায়
প্রতিষ্ঠিত যাত্রিক নাট্যগোষ্ঠী এবং এ বছর হবে যাত্রিকের ৫০ বছর। কুমিল্লা
উদীচীর হবে ৫১ বছর। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর দেশ ও সংস্কৃতি অঙ্গনে একটা ধাক্কা লাগে। ১৯৭৬ এ
উদীচী মঞ্চস্থ করে চট্টগামের নাট্যকার রবিউল হাসানের নাটক ‘জননীর মুত্যু
চাই’, ‘ প্রেক্ষিত শাহজাহান ও একাল’, মমতাজ উদ্দিন আহমেদের ‘ফলাফল
নিম্নচাপ’ ও ‘স্পার্টাকাস বিষয়ক জটিলতা’ প্রভৃতি নাটক। প্রতিটি নাটকের
প্রায় ৪/৫টি প্রদর্শনী হতো। ৭৭ এ ফেরদৌস হোসেনর ‘ময়নামতি’ নৃত্যনাট্য, বাদল
সরকারের ‘শনিবার’ ও ‘যাত্রা বদল’ নাটক। নাটক নিয়ে কুমিল্লা উদীচী রংপুর
শিখা সংসদ আয়োজিত নাট্য উৎসবে যোগ দেয়।
পথিকৃত কুমিল্লা নাট্যোৎসবে ৭৮ এ
উদীচীর নাটক মোহাম্মদ এহসান উল্লাহ রচিত ‘কিংশুক যে মরুতে’ নাটকে মূল
চরিত্রে অভিনয় করে আমি শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার পাই। ‘উদীচী’তে একে একে
মঞ্চস্থ হতে থাকে বিভূতিভূষণের ‘সমুদ্র সাওয়ার’ রবিউল হোসাইনের ‘সমাপ্তি
অন্যরকম’। এ সময়ে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী থেকে মোহাম্মদ সেলিম রচিত
‘ইতিহাস কথা কয়’ নৃত্যনাটকটি মঞ্চস্থ হয়। ইতোমধ্যে গ্রুপ থিয়েটার ভাবধারায়
বেশকিছু নাট্য সংগঠন গঠিত হয়। যেমন ১৯৭৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ রেঁনেসা
নাট্য সম্প্রদায়’, ১৯৭৮ সালে জনান্তিক নাট্য সম্প্রদায়, ১৯৮০ সালে কুমিল্লা
থিয়েটার, ১৯৮৩ সালে অভিনয় নাট্য সম্প্রদায়, ১৯৮৬ সালে প্রতিবিম্ব নাট্য
সম্প্রদায় (থিয়েটার)। আমি সরাসরি নাট্যদলে চলে আসি।
আগেই বলেছি উদীচী
মূলত গণমানুষের কথা বলার সংগঠন। গণসংগীত হলো উদীচী’র মূল ভিত্তি। কুমিল্লায়
নাট্যসংগঠন গড়ার ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধ ফেরত উদীচীর প্রতিষ্ঠাতারা ছিলেন
অগ্রপথিক।
উদীচীর একটি শক্তিশালী গণসংগীত দল ছিল তারা ১৫/২০ মিনিটের
মধ্যে একটি গণ-সংগীতের অনুষ্ঠান আয়োজন করতে পারতো। তেমনি একটি ঘটনা এখানে
উল্লেখ করতে চাই। টাউন হলে বাদল সরকারের ‘যাত্রাবদল’ নাটক মঞ্চায়নের কালে
কুমিল্লা পুলিশ প্রশাসন এসে নাটক বন্ধ করে দেয় তখন উদীচীর প্রাণপুরুষ
সাধারণ সম্পাদক এসহসানুর রহমান উদীচীর কর্মীদের নিয়ে ১৫ মিনিটের মধ্যে
গণসংগীতের আয়োজন করে।
কুমিল্লা উদীচীর ১৪ সদস্যের একটি গণসংগীত বিগ্রেড
ছিলো যার দায়িত্বে ছিলেন অমল সিনহা (মিন্টু সিনহা)। আমরা মাঝে মাঝে
হারমোনিয়াম তবলা নিয়ে গ্রামে গ্রামে গণসংগীত পরিবেশন করতাম। সেখানে প্রধান
গান ছিলো, ‘হেই সামালো ধান হো’-সহ আরও গণজাগরণের গান। গ্রামের কৃষকরা
আমাদের পরম যত্নে খাবার ও রাতে থাকার ব্যবস্থা করে দিতেন।
১৯৯০ সালের
স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কুমিল্লা উদীচীর বলিষ্ঠ ভূমিকা ছিল। এ সময় শেখ
ফরিদের (বর্তমান সভাপতি) মতো ছেলেমেয়েরা উদীচীতে আসতে শুরু করে।
প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্যরা প্রয়াত হতে থাকেন। নতুন প্রজন্ম উদীচীকে সামনের
দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মূলত প্রগতিশীল রাজনৈতিক সংগঠন ছাত্র ইউনিয়ন,
ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টি ও শহরের বুদ্ধিজীবী লোকজন উদীচীর চালিকাশক্তি।
কুমিল্লা উদীচী ৫০ বছর পেরিয়ে ৫১ বছরে পা রেখেছে। এই দিনে উদীচী’র সকলের প্রতি রইল সংগ্রামী অভিনন্দন।
লেখক : প্রাক্তন আহ্বায়ক, নাট্যবিভাগ, উদীচী কুমিল্লা।