নিজস্ব প্রতিবেদক: কুমিল্লা-ভারত সীমান্তের ১২৫ কিলোমিটার এলাকায় কোন উত্তেজনা নেই। উত্তেজনা না থাকার কারণ হচ্ছে, সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ যেভাবে কাটাতারের বেড়া তুলছেন এটা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের কাছ থেকে সম্মতি পেয়েই। মঙ্গলবার কুমিল্লা-১০ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ কথা বলেন।
তিনি বলেন, একইভাবে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি অর্থাৎ বাংলাদেশও দেড়শ গজের ভিতরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আরেকটি কাজে সম্মতি পেয়েছে ভারতের কাছ থেকে। অর্থাৎ বিনিময়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ একটি সম্মতি পাওয়ায় বিএসএফকে এই সম্মতি দিয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তি দু'দেশের মধ্যে এভাবে হয়েছিল। চুক্তিতে যেহেতু আছে চুক্তি অনুযায়ী সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে কাজ করছে। আমরা সীমান্তের টহল বাড়িয়েছি এবং তদারকি করছি তারা চুক্তি অনুযায়ী কাজ করছে কিনা। যখন চুক্তির বাহিরে কোন কিছু করার চেষ্টা করবেন আমরা কাজ বন্ধ করে দেবো।
তিনি আরো বলেন, উত্তেজনার কোন পরিবেশ নেই, তবে টহল জোরদার করা হয়েছে। সীমান্তের সীমানা পিলার আছে কাঁটাতারের বেড়া নেই। তাই যেকোনো সময় একটা দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। যার কারণে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের আসা-যাওয়া সীমিতকরণ এবং চেকপোস্টে তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা সীমান্তে ৫৪ বছর একটি সম্প্রীতির পুকুরে কাঁটাতারের বেড়া নির্মান করছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। পুকুরটি দুই দেশের সীমান্ত রেখার মাঝখানে হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে উভয় দেশের বাসিন্দারা এ পুকুরে গোসলসহ প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করতেন।
এদিকে টহল জোরদারসহ পুকুরটির কাছেই সার্বক্ষনিক বিজিবির সশস্ত্র সদস্যরা সতর্ক প্রহরায় রয়েছেন। অপরদিকে ভারতীয় অংশে টহল বাড়িয়েছে বিএসএফ।
কুমিল্লা ১০ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ এম জাহিদ পারভেজ বলেন, নকশা অনুসারে কাজের কোনো হেরফের হলে সঙ্গে সঙ্গে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা আমাদের এক ইঞ্চি মাটিও তাদের দখলে যেতে দেব না।