ঢাকা-সিলেট
সফর শেষ করে বিপিএল এখন চট্টগ্রামে। এই পর্বের প্রথম দিনেই মাঠে নেমেছে
চিটাগং কিংস। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের মুখোমুখি হয়েছে
স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে প্রত্যাশিত জয়টিও পেয়ে গেছে
ব্ন্দরনগরীর দলটি। খুলনাকে ৪৫ রানে হারিয়ে ফের টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে
উঠেছে চিটাগং।
আজ বৃহস্পতিবার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে গ্রাহাম
ক্লার্কের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ৭ উইকেটে ২০০ রান করে স্বাগতিক চিটাগং। জবাব
দিতে টানা চতুর্থ হার এড়াতে পারেনি খুলনা। মেহেদী হাসান মিরাজের দল
নির্ধারিত ২০ ওভারে তুলতে পারে ৯ উইকেটে ১৫৫ রান।
২০১ রানের লক্ষ্যে
ব্যাট করতে নেমে দুর্বল শটে শুরুতেই আউট হন খুলনার ওপেনার ডম সিবলি। ইনিংস
বড় করতে পারেননি আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও। ৭ বলে ৯ রান করে বিদায় নেন
তিনি।
অধিনায়ক মিরাজ ভালো শুরু করেছিলেন। তবে উইকেটে টিকে থাকতে
পারেননি। ৮ বলে ১৯ রান করে শরিফুল ইসলামের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ হন।
খুলনার ইনিংসের সর্বোচ্চ ৩১ বলে ৩৭ রান করেন দারউইশ রাসুলি।
মোহাম্মদ নওয়াজ ২০ বলে ২৫, আফিফ হোসেন ১৫ বলে ২০ ও মাহিদুল ইসলাম অংকন ১২ বলে ১৮ রান করেন। শেষ পর্যন্ত খুলনার ইনিংস থামে ১৫৫ রানে।
এর
আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই মারকুটে উসমান খানের উইকেট হারায়
চিটাগং। ৭ বলে ১০ রান করে সাজঘরে ফেরত যান পাকিস্তানি ডানহাতি। দ্বিতীয়
উইকেটে ৬৩ বলে ১২৮ রানের জুটিতে করেন পারভেজ হোসেন ইমন ও গ্রাহাম ক্লার্ক।
এই জুটিতেই বড় পুঁজির ইঙ্গিত দেয় স্বাগতিকরা।
২৯ বলে ৩৯ রান করে আউট হন
ইমন। দুর্দান্ত সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ফেলেন ক্লার্ক। ৪৮ বলে পূর্ণ করেন
সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৫০ বলে ১০১ রান করে সাজঘরে ফেরত যান ইংলিশ ব্যাটার।
শেষ
দিকে মারকুটে খেলে ইনিংস বড় করার চেষ্টা করেন শামীম হোসেন। যদিও আশানুরূপ
খেলাটি দেখাতে পারেননি তিনি। ১৩ বলে ১৬ রান করে ক্যাচ হন লং অনে। অধিনায়ক
মোহাম্মদ মিথুনের ১০ বলে অপরাজিত ১১ রানে ২০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করে
চিটাগং।
খুলনার হয়ে বল হাতে চমক দেখান দুই পাকিস্তানি; সালমান ইরশাদ ও
মোহাম্মদ নওয়াজ। দুজনই নেন ৩টি করে উইকেট। চিটাগংয়ের হয়ে ৩ উইকেট শিকার
করেন আরাফাত সানি।