আমরা যা কিছু করি সব নিজের মন মতো করার চেষ্টা করি। প্রত্যাশা থাকে কাজটি যেন পছন্দ মতো হয়। তবে সবসময় সব কিছু পছন্দ মতো হয় না। মনের বিপরীত কিছুও ঘটে। এমন কিছু ঘটলে স্বভাবতই মন খারাপ হয়। সময়ের ব্যবধানে তা ঠিকও হয়ে যায়। তবে তাৎক্ষণিক কোনো কিছুই ভালো লাগে না।
এমন পরিস্থিতিতে অন্য কিছুতে মনোযোগী হওয়া উচিত। এমন কিছু করা উচিত যা সহজেই অপছন্দের বিষয়টি ভুলিয়ে দেবে। একইসঙ্গে একজন মুসলিম হিসেবে আল্লাহ তায়ালার ওপর ভরসা করা উচিত। এবং বিশ্বাস করা উচিত যে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই এর বিনিময়ে ভালো কিছু দান করবেন। অন্য কিছুর মাধ্যমে সন্তুষ্ট করবেন।
বারবার চেষ্টার পরেও কোনো কিছুতে সফল হতে না পারলে মনে এই ধারণা রাখতে হবে যে, এই কাজে হয়তো তেমন কোনো কল্যাণ ছিল না। তাই আল্লাহ তায়ালা সফলতা রাখেননি। আমার জন্য হয়তো এমন কিছু অপেক্ষা করছে, যা এর থেকেও উত্তম।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা মুমিনের সান্ত্বনার জন্য এমন কিছুরই ইঙ্গিত দিয়েছেন। বর্ণিত হয়েছেÍ
এবং হতে পারে কোন বিষয় তোমরা অপছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না। (সূরা বাকারা, আয়াত: ২১৬)
এই আয়াতে মানুষের জন্য অনেক হিকমত, রহস্য ও কল্যাণ আলোচনা করা হয়েছে। কেননা মানুষ যখন জানবে যে, কিছু অকল্যাণ কল্যাণের বেশে আসে, আবার কিছু কল্যাণ অকল্যাণের সাথে আসে, সে খুশির সময় অনিষ্ট থেকে যেমন নিরাপদ নয় তেমনি অকল্যাণের সময় কল্যাণকর কিছু আসতে পারে বলে সে নিরাশও নয়; কেননা সে শেষ পরিণতি সম্পর্কে অজ্ঞ। আল্লাহ যা জানেন বান্দা তা জানে না।
তাই মনের বিপরীতে কিছু ঘটলে আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে তার প্রশংসা করা উচিত। এতেই একজন মুসলিম ও মুমিনের জীবনের জন্য কল্যাণ রয়েছে।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন কোন অপছন্দনীয় বিষয় দেখতেন তখন নিচে বর্ণিত এই দোয়াটি পড়তেন।
উচ্চারণ : আলহামদুলিল্লাহি আ’লা কুল্লি হাল
অর্থ: সর্বাবস্থায় আল্লাহর জন্য সকল প্রশংসা। (ইবনে মাজাহ, হাদিস: ৩৮০৩)
আরেকটি দোয়া পড়তে পারি। দোয়াটি হলোÍ
উচ্চারণ : আল্লা-হুম্মা লা ত্বাইরা ইল্লা ত্বাইরুকা ওয়ালা খাইরা ইল্লা খাইরুকা ওয়ালা ইলা-হা গাইরুকা
হে আল্লাহ! আপনার পক্ষ থেকে অশুভ মঞ্জুর না হলে অশুভ বলে কিছু নেই। আপনার কল্যাণ ছাড়া কোনো কল্যাণ নেই। আর আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই। ( আহমাদ ২/২২০, ৭০৪৫)