৭২
কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার ৬৫৩ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে
কুমিল্লা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও তার স্ত্রী
মেহেরুন্নেছাকে আসামি করে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একই
অভিযোগে আসামি করা হয়েছে বাহারের মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র
তাহসীন বাহারকে। এই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করা
হয়েছে।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন
ঢাকার সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
তিনি
বলেন, সাবেক এমপি বাহার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬৭ কোটি ৪৩
লাখ ১৩ হাজার ৮৩৬ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন। এছাড়া তার ২৯টি ব্যাংক হিসাবে
২৫৮ কোটি ৬৮ লাখ ৬৩ হাজার ৯০৫ টাকার লেনদেন করেছেন। প্রথম মামলায় বাহারের
বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭ এর ৫
এর (২) ধারা ও মানিলন্ডারিং আইন ২০১২ এর ৪ (২) ও ৪ (৩) ধারায় মামলা হয়েছে।
অন্যদিকে,
দ্বিতীয় মামলায় মেয়র তাহসীন বাহারকে আসামি করা হয়েছে। তার জ্ঞাত আয়ের
উৎসের অসঙ্গতিপূর্ণ ৩ কোটি ৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৭০ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য
পাওয়া গেছে। আর তার ১৬টি ব্যাংক হিসাবে ৪২ কোটি ৫৮ লাখ ৭৩ হাজার ১৯৩ টাকা
লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তৃতীয় মামলায় আসামি হয়েছেন সাবেক এমপি
বাহাউদ্দীন বাহার ও তার স্ত্রী মেহেরুন্নেসা। একজন গৃহিনী হয়ে তার স্বামীর
অবৈধ সম্পদ বৈধ করার চেষ্টার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। তার
বিরুদ্ধে ২ কোটি ৩৭ লাখ ৪৯ হাজার ৪৭ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা
হয়েছে।
এছাড়া আসামি বাহাউদ্দিনের দুই মেয়ে যথাক্রমে আয়মান বাহারে
বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪৭ লাখ ৮৫ হাজার টাকার জ্ঞাত আয়ের উৎসের অসংগতিপূর্ণ সম্পদ
অর্জন ও আজিজা বাহারের বিরুদ্ধে ৬৫ লাখ ৫৫ হাজার ২২২ টাকার জ্ঞাত আয়ের
উৎসের অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুদক। তথ্যের সঠিকতা বা
যথার্থতা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে নিরুপণের নিমিত্ত তাদের প্রতি দুর্নীতি দমন
কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা মোতাবেক পৃথক পৃথক সম্পদ বিবরণী নোটিশ জারি
করেছে দুদক।
ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর আত্মগোপনে আছে বাহার পরিবার।
বৈষম্যবিরোধী
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কুমিল্লার সাবেক সংসদ
সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন ওরফে বাহারকে প্রধান আসামি করে আদালতে বেশ কয়েকটি
মামলা হয়েছে।