দীর্ঘ
৩ মাসের প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফেরার পর কুমিল্লার লালমাই উপজেলা যুবদলের
যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ মিয়াকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপি, যুবদল,
স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে
উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের গৈয়ারভাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এই ফুলেল
শুভেচ্ছা দেওয়া হয়। এর আগে তিন শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে তাকে পদুয়ার বাজার
বিশ্বরোড থেকে মোটর শোভাযাত্রা শোডাউন করে গৈয়ারভাঙ্গা নিয়ে আসেন দলের
নেতাকর্মীরা।
গত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে নির্যাতিত এই যুবদল নেতাকে
ফুলেল শুভেচ্ছা জানাতে স্থানীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি ছুটে আসেন কুমিল্লা
সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
ফুলেল
শুভেচ্ছা শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে যুবদল নেতা ফিরোজ বলেন, গত ২৩ সালের
আগস্ট মাসে আওয়ামী লীগ পরিকল্পতভাবে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে, গুলি
কী বাঁচার জন্য করে নাকি মারার জন্য? আজকে যে আমার প্রতি ভালোবাসা
দেখাইছেন আমি যদি না থাকতাম আমার কবরের বয়স হতো দেড় বছর। আমার নেতা মনিরুল
হক চৌধুরীকে আপনাদের মাধ্যমে অনুরোধ জানাবো, আজকে যাদের আপনার সেলফির
ব্যাকগ্রাউন্ডে দেখি হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়, ত্যাগী কর্মী যারা গত ১৫ বছর
আপনার পাশে ছিল আছে তাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এগুলো কারা করে?
এতো বড়
একটা নারকীয় ঘটনা, এতো বড় একটা অন্যায় আমার সাথে হয়েছে, আমি ইলিগ্যাল কিছু
চাচ্ছি, দেশের প্রচলিত আইনে এ ঘটনার বিচার হউক। দুইটা মামলা হয়েছে, আপনারা
অবাক হয়ে যাবেন গত ৫ আগস্টের পরে এ মামলার ১,২,৩ ও ৪নং আসামী মামলা থেকে
উধাও হয়ে গেছে। এ কোন অদৃশ্য শক্তি!
কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি বলেন, যার
যায় সে বুঝে! এ শীতে আপনারা সবাই কম্বল মুড়িয়ে ঘুমান, বিশ্বাস করেন আমি এ
শীতে শান্তিতে ঘুমাতে পারি না, পায়ের নিচে বালিশ দিয়ে শুইতে হয়, পাটা বরফ
হয়ে আসে। আল্লাহ তৌফিক দিছে, ভাইদের চেষ্টায়, ভারত গিয়ে সর্বোচ্চ চিকিৎসা
নিচ্ছি কিন্তু এ কষ্ট যখন হয় আল্লাহর নালত আসে তাদের উপরে। তিনি উপস্থিত
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মনিরুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে আমরা ঐক্যবদ্ধ
থাকবো। আগামী নির্বাচনে জয়ী করে সংসদে পাঠালে এলাকার উন্নয়ন হবে বলে জানান।