নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে আলোচিত গণধর্ষনের ঘটনায় জড়িত খোকন নামে
এক আসামিকে গ্ৰফতার করেছে র্যাব। ২৯ জানুয়ারি বুধবার দুপুরে কুমিল্লার
দেবীদ্বার উপজেলার ধামতী এলাকা থেকে ওই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়।
র্যাব কুমিল্লার সিপিসি-২ এর উপ পরিচালক লেঃ কমান্ডার মাহমুদুল হাসান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
র্যাব
জানায়, গত ০৯ জানুয়ারি কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার নুরপুর সেবাখোলা
বাজারের খোকন স’মিলের টিনের ঘরের ভিতর দুই নারীকে গনধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পর লাকি বেগম (৪০) নামে এক নারী বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় ৭ জনের নাম
উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে একটি গনধর্ষণ মামলা দায়ের
করে। উক্ত ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় চাঞ্চল্যের
সৃষ্টি করলে। র্যাব কুমিল্লা গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করে। এরই
ধারাবাহিকতায় প্রাপ্ত গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ২৯ জানুয়ারী
একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে কুমিল্লার দেবিদ্বারের ধামতী এলাকা থেকে
ধর্ষন মামলার এজাহারনামীয় ০৪ নং আসামী মোঃ খোকনকে গ্ৰেফতার করা হয়। খোকন
(৪২) নাঙ্গলকোট উপজেলার ভোমরা গ্ৰামের আলী মিয়ার ছেলে।
র্যাব আরও
জানায়, আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞেসাবাদে আসামি জানায়
মায়া খাতুন (২০) এর সহিত ০১ নং আসামী সহিদ (২৬) এর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
ঘটনার দিন সকালে আসামী সহিদ মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে দেখা করার জন্য
আসতে বলে। তখন ভিকটিম মায়া খাতুন তার সাথে অন্য ভিকটিম লাকি বেগম (৪০)’কে
নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজারে গেলে আসামী সহিদ ভিকটিমদ্বয়কে নিয়ে অটোরিক্সাযোগে
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাফেরা করে এবং একপর্যায়ে ভিকটিম মায়া খাতুন’কে অনৈতিক
কাজের প্রস্তাব দেয়। ভিকটিম মায়া উক্ত প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে
তর্কবিতর্ক হয়। পরবর্তীতে আসামী সহিদ সুযোগ বুঝে ভিকটিমদ্বয়কে ঘটনাস্থলে
নিয়ে যায় এবং তার পরিকল্পনা মোতাবেক সেখানে পূর্ব থেকে ৭-৮ জন অবস্থান
করছিল। ভিকটিমদ্বয়কে সেখানে নেয়ার পর আসামী সহিদসহ অন্যান্য ৭-৮ জন আসামী
মিলে ভিকটিমদ্বয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করে এবং
কাউকে কিছু না বলার ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে। পরবর্তীতে আসামীসহ অন্যান্য
আসামীরা গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়।