কুমিল্লা
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে তালা দিয়েছেন
বিক্ষুব্ধছাত্র-জনতা। বৃহস্পতিবার(৬ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে কুমিল্লা
জেলা আইনজীবীর সভাপতি এডভোকেট মো. মোস্তাফিজুর রহমান লিটন ও সাধারণ
সম্পাদক এডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়ার কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন
তাঁরা।
পরে আদালত চত্বরে পতিত আওয়ামী সরকারের সহযোগী ছাত্র আন্দোলনে
হামলকারীদের মামলা থেকে বাঁচানোর ‘ইন্দনদাতা’ হিসেবে চিহ্নিত করে ২০
আইনজীবীর ছবি সম্মিলিত ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়।
জানা গেছে, বৈষম্য
বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরীর আহবায়ক আবু রায়হান এবং সদস্য সচিব
রাশেদুল হাসান বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কুমিল্লার আদালত
প্রাঙ্গণে স্থাপিত শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এরপর
তারা নগরউদ্যানের সামনে গিয়ে সেখানে থাকা শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল
গুঁড়িয়ে দেন। সন্ধ্যায় নগর উদ্যানের সামনে থেকে তারা পুনরায় আদালত
প্রাঙ্গনে আসেন। তাদের সাথে কর্মসূচিতে যোগ দেন জাতীয় নাগরিক কমিটি
কুমিল্লা মহানগর শাখা নেতৃবৃন্দ। পরে তারা জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও
সাধারণ সম্পাদকের রুমে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এসময় কুমিল্লা মহানগর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের আহবায়ক মু.আবু রায়হান বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার
হাসিনা পালানোর পর তাদের স্মৃতিচিহ্ন বিভিন্ন জায়গায় রয়ে গেছে। কুমিল্লার
আদালতে আওয়ামী আইনজীবীরা বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের হত্যাকারীদের
বাঁচাতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করছে। তাদের এই দুঃসাহস কিভাবে হলো? আমরা আদালতে
আসার পর তারা পালিয়ে গেছেন। যেহেতু তারা পালিয়ে গেছেন তাদের আর আদালতে আসা
দরকার নেই। তাই জেলা আইনজীবি সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের কক্ষে তালা
দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কুমিল্লা আদালতে ২০চিহ্নিত আওয়ামী আইনজীবীর ছবিসহ
ব্যানার টাঙানো হয়েছে। পুরো ফেব্রুয়ারি মাস জুড়ে কুমিল্লায় আওয়ামী
ফ্যাসিবাদের মূল উৎপাটন কর্মসূচী পালন করা হবে।
ব্যানারে ছবি সাঁটানো
‘চিহ্নিত’ ২০ আইনজীবী হলেন- মো.ইউনুস ভূইয়া, মো. মোস্তাফিজুর রহমান লিটন,
আব্দুল মমিন ফেরদৌস, মো.আমজাদ হোসেন, মো.আনিসুর রহমান মিঠু, মাসুদ
সালাউদ্দিন, মো. গোলাম ফারুক, আতিকুর রহমান আব্বাসী, মো. খোরশেদ আলম,
মো.জিয়াউল হাসান চৌধুরী, মো. জহিরুল ইসলাম সেলিম, মো. জাহাঙ্গীর আলম
ভূঁইয়া, মো. আমিনুল ইসলাম টুটুল, মো.মজিবুর রহমান, মো.মাহবুবুর রহমান,
মো.রেজাউল করিম, সৈয়দ নুরুর রহমান, মো. কামরুজ্জামান বাবুল, মো.রফিকুল
ইসলাম হিরা।