স্টাফ
রিপোর্টার।। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ (ডিগ্রি শাখা) জামে মসজিদের
ইমাম ও খতিব, কুমিল্লা জেলা আহলে সুন্নাত আল জামাত ইমাম পরিষদের প্রশিক্ষণ
সম্পাদক বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা মারুফ বিল্লাহ”কে ক্ষমতার অপব্যবহার
করে চাকরিচ্যুত করার প্রতিবাদে শনিবার সংবাদ সম্মেলন করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ
আবুল বাশার ভুঁইয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ইমাম
পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কুমিল্লা জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত ইমাম
পরিষদ সভাপতি মাওলানা খলিলুর রহমান কাসেমী বলেন- ক্ষমতার অপব্যবহার করে
সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দিয়েছে, যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত,
প্রতিহিংসা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বহির্প্রকাশ করেছেন। কলেজের অধ্যক্ষ আবুল
বাশার ভূইয়া ক্ষমতার অপব্যবহার করে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে অব্যাহতি দিয়েছে,
যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত, প্রতিহিংসা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বহির্প্রকাশ।
ইমাম
পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুস সালাম শরাফতি বলেন- ২০১৭ সাল থেকে
প্রতি সোমবার বাদ এশা ইমামকে হাদিস ও তাফসিরের তালিম দিয়ে থাকেন। এতে
কলেজের ছাত্র ও এলাকার সকল শ্রেণির দ্বীনদার মুসল্লিগণের উৎসবমুখর উপস্থিতি
পরিলক্ষিত হয়, ফলে বহু ছাত্র নামাজি ও দ্বীনদার হয়েছে। কিন্তু ২০ জানুয়ারি
২০২৫ইং থেকে কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক নিষেধাজ্ঞার পরিপ্রেক্ষিতে ইমাম সাহেব
কিতাবী তালিম বন্ধ রাখেন। এতে ছাত্র-জনতা ও মুসল্লীগন ফুঁসে উঠেন এবং
স্থানীয় মুসল্লীরা তালিম শুরু করতে চাইলে অধ্যক্ষ কর্তৃক ইমাম সাহেবের
বাসায় পুলিশ পাঠিয়ে তাকে নানাভাবে হেনস্থা করা সহ হুমকি-ধামকি অপমান করেন।
কোন বিধি-বহিরভুত ভাবে তাকে ইমামতি ও খতিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান
করেন। ছাত্র-জনতা ও আলেম উলামার রক্তে অর্জিত দ্বিতীয় স্বাধীনতার পর মসজিদে
ইসলামি আলোচনা ও কিতাবী তালিম বন্ধ এবং অন্যায় ভাবে একজন ইমামকে হেনস্তা ও
জোরপূর্বক অব্যাহতি করায় কুমিল্লা জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ইমাম
পরিষদ কোন ভাবেই বরদাশত করবে না। কুমিল্লা জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত
ইমাম পরিষদ ভিক্টোরিয়া কলেজ অধ্যক্ষের এমন নির্লজ্জ আচরণের তীব্র নিন্দা ও
প্রতিবাদ জানিয়ে উক্ত ঈমামকে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে চার দফা দাবি
প্রধান করেন।
উক্ত সভায় আরও উপস্থিত ইমাম পরিষদের উপদেষ্টা মুফতী
শামছুল ইসলাম জিলানী, মাও. খলীলুর রহমান, সাদেকুর রহমান, মাওঃ মাহফুজুল
ইসলাম মাও. আবুল বাশার, নোমান অর্থ সম্পাদক মাও. কামরুল হাসান, মাও. আনোয়ার
হুসাইন প্রমুখ।