বুধবার ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
৩০ মাঘ ১৪৩১
গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন ষড়যন্ত্র
গাজীউল হাসান খান
প্রকাশ: সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ১:৪২ এএম আপডেট: ১০.০২.২০২৫ ২:১৯ এএম |


 গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন ষড়যন্ত্র দ্বতীয়বারের মতো নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের বেপরোয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজার মালিকানা নিয়ে নিতে চান। সম্প্রসারণবাদী ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল ও মুক্তিকামী গাজার যোদ্ধাদের বিগত ১৫ মাসের সংঘর্ষের পর ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছেন ট্রাম্প। প্রায় ৫০ হাজার নিরীহ গাজাবাসীকে হত্যা ও লক্ষাধিক মানুষকে আহত করা এবং লাখ লাখ মানুষকে নিজ নিজ বাসস্থান থেকে বিতাড়িত করার পর এবার তাদের চিরতরে উচ্ছেদের জন্য শুরু হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল নামক দুই অপশক্তির মারাত্মক ষড়যন্ত্র। ইসরায়েলের নতুন পৃষ্ঠপোষক ট্রাম্প গাজাকে ‘বিধ্বস্ত এলাকা’ বলে আখ্যায়িত করে তাদের প্রতিবেশী জর্দান, মিসরসহ আরব দেশগুলোতে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসন করা উচিত বলে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেছেন, গাজায় ব্যাপক আকারে অর্থনৈতিক উন্নয়ন করা হবে। কিন্তু সম্প্রতি কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক জরুরি সভায় ট্রাম্পের সেই প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনের গাজার মানুষকে তাদের নিজ ভূখণ্ড থেকে উচ্ছেদ করার আইনি অধিকার বা ক্ষমতা কারো নেই। কারণ তারা আরব ভূখণ্ডে কিংবা ফিলিস্তিনে নতুন ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠারও হাজার হাজার বছর আগে থেকে সেখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে।
এখন সেখানে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের শলাপরামর্শে ট্রাম্প ভূমধ্যসাগরের তীরবর্তী গাজা ভূখণ্ডে বা উপত্যকায় আকর্ষণীয় রিসোর্টসহ একটি স্মার্ট সিটি গড়ে তুলতে চান রিয়েল স্টেট ব্যবসায়ী ট্রাম্প ও তাঁর ইহুদি জামাতা জ্যারেড কুশনার। এসব ঘোষণা ও কর্মকাণ্ডে হতবাক গাজাসহ সমগ্র ফিলিস্তিনবাসী। এ ঘটনায় সমগ্র বিশ্ব এখন অবাক বিস্ময়ে অপেক্ষা করছে আরেকটি মারাত্মক সংঘর্ষের জন্য। কারণ সশস্ত্র যুদ্ধ কিংবা সংঘাত ছাড়া ইহুদি সম্প্রসারণবাদী কিংবা মার্কিন সাম্রাজ্যবাদীদের পরাস্ত করা যাবে না।
এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব নিন্দিত হয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজার প্রতিবেশী কোনো রাষ্ট্র বা জনপদ নয়। আরব ভূখণ্ড থেকে হাজার হাজার মাইল দূরের কোনো রাষ্ট্র কিভাবে গাজার দখল নিতে চায়? তাহলে কি ইহুদিপ্রেম বা জোটের স্বার্থ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অন্ধ করে দিয়েছে?
গাজা নিয়ে ট্রাম্পের নতুন ষড়যন্ত্রডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার আগে বারবার বলেছিলেন, তিনি ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যার একটি স্থায়ী ও শান্তিপূর্ণ সমাধান চান। সুতরাং প্রথমেই তাদের মধ্যে চলমান সশস্ত্র সংঘর্ষ বন্ধ করতে হবে। গাজাসহ বিভিন্ন যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চল পুনর্গঠিত করে মানুষের বাসোপযোগী করতে হবে।
তখন তিনি ঘুণাক্ষরেও কোথাও বলেননি যে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের নিরাপত্তার স্বার্থে গাজাবাসীকে তাদের ভূখণ্ড থেকে উচ্ছেদ করা হবে। প্রতিবেশী অন্যান্য আরব রাষ্ট্রে তাদের পুনর্বাসিত করা হবে। গাজার দখল নেবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ইসরায়েলের ইহুদি সম্প্রসারণবাদীরা। ইহুদি রাষ্ট্রের বর্তমান কুখ্যাত প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তাঁর কট্টর দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক জোটের সদস্যরা প্রকাশ্যেই বলেছেন, তাঁরা সে অঞ্চলে কোনো স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র দেখতে চান না। তাঁরা সেখানে একটি বৃহত্তর ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল গড়ে তুলতে আগ্রহী।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সমস্যার একটি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান চেয়েছিলেন। বাইডেনসহ যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের বেশির ভাগ শান্তিকামী মানুষ মনে করে, বর্তমান ইসরায়েল রাষ্ট্রের পাশে ফিলিস্তিনিদের জন্য নির্ধারিত ভূখণ্ডে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হলে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ নির্বিবাদে বসবাস করতে পারবে। কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর সঙ্গে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বোঝাপড়া। তাই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েই ট্রাম্প দ্রুত সরে যাচ্ছেন তাঁর আগের অবস্থান বা বক্তব্য থেকে। প্রয়োজন হলে ট্রাম্প দখল করে নেবেন গাজা উপত্যকা এবং ইসরায়েলের সঙ্গে ভাগাভাগি করবেন তাঁদের ‘লুটের মাল’। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জেফ্রি স্যাকস বলেছেন, ট্রাম্প বুঝতে পারছেন না তিনি কী সব আবোলতাবোল বকছেন। সশস্ত্র সংঘর্ষকালে কোনো অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দাদের বলপূর্বক অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যায় না, সেটি সম্পূর্ণ বেআইনি। জেনেভা কনভেনশনের ১২৯ বিধি অনুযায়ী সেটি একটি অপরাধ। গাজাসহ ফিলিস্তিনবাসী তাদের পূর্বপুরুষের কিংবা আদি ভিটামাটিতেই বাস করার পূর্ণ অধিকার রাখে। কেউ তার ব্যত্যয় ঘটাতে গেলে সেটি হবে বেআইনি, অপরাধ।
ইহুদি সম্প্রসারণবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল ও তার সাম্রাজ্যবাদী মিত্র রাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সে সমস্ত আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত আইনকানুনের তোয়াক্কা করেন না। তাঁরা তাঁদের গায়ের জোরে সব কিছু করে নিতে চান। এই বিষয়টি নিয়ে আরব লীগ, গালফ সহযোগিতা কাউন্সিল (জিসিসি) ও ইসলামিক রাষ্ট্রগুলোর সম্মিলিত কাউন্সিল (ওআইসি) ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছে। সমগ্র বিশ্ব এ ব্যাপারে একমত পোষণ করে। এর অন্যথা হলে অর্থাৎ জাতিসংঘ ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার বাইরে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে গেলে একটি দীর্ঘস্থায়ী সংঘর্ষ বা যুদ্ধ অবধারিত হয়ে পড়তে পারে।
বর্তমান বিশ্বের সামগ্রিক রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও অন্যান্য কারণে মধ্যপ্রাচ্যে কোনো যুদ্ধবিগ্রহের সূচনা হলে বিশ্বব্যাপী তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কেউ তা থামাতে পারবে না এবং তাতে সমগ্র বিশ্ব ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে। মধ্যপ্রাচ্যে নেতানিয়াহু কিংবা ডোনাল্ড ট্রাম্প সৃষ্ট বর্তমান অসন্তোষ কিংবা নতুন পর্যায়ের সংঘর্ষ শেষ পর্যন্ত সমগ্র বিশ্বকে একটি পারমাণবিক ধ্বংসযজ্ঞের কেন্দ্রস্থলে পরিণত করতে পারে। ফিলিস্তিনের প্রতিবেশী ইরান, তুরস্ক কিংবা মিসর আগের মতো আর নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করবে না। কারণ তারা এখন সামরিক শক্তিতে যথেষ্ট অগ্রসর হয়েছে। তা ছাড়া চীন কিংবা রাশিয়াও এ ব্যাপারে কোনোমতেই নীরব থাকতে পারে না। মধ্যপ্রাচ্যে একটি স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে তারা সবাই এখন একমত। সে ক্ষেত্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের যেকোনো অপরিণামদর্শী পদক্ষেপ কিংবা ইসরায়েলের যেকোনো আগ্রাসী কর্মকাণ্ড বিনা চ্যালেঞ্জে যেতে দেওয়া হবে না।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বিভিন্ন ব্যাপারে যত পাগলামিই করুন না কেন, তিনি একজন ‘হুঁশের পাগল’। শেষ পর্যন্ত তাঁর নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে এমন কোনো কাজে তিনি অগ্রসর হবেন বলে মনে হয় না। কারণ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প প্রথম দফায় ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরকে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত করার পদক্ষেপে সমর্থন দিয়েছিলেন। অগ্রসরও হয়েছিলেন খানিকটা, কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের মুখে ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত পিছু হটে গিয়েছিলেন। এর পরিবর্তে তিনি আরব রাষ্ট্রগুলোর সঙ্গে ‘আব্রাহাম অ্যাকর্ড’ নামে ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েলের জন্য একটি বহুমুখী চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এতে সৌদি আরবের মতো শক্তিশালী রাষ্ট্র কোনোমতে এগিয়ে না এলেও সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাইরাইন, মরক্কো এবং এমনকি সুদানকেও রাজি করিয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু ট্রাম্পের ক্ষমতা হারানোর পরপরই সেই চুক্তি বিভিন্ন কারণে ফিকে হয়ে পড়ে। তার তেমন কোনো কার্যকারিতা থাকেনি।
ট্রাম্পের গাজাসংক্রান্ত নতুন প্রস্তাবে মিসর ও জর্দান এবং এমনকি সৌদি আরব তাৎক্ষণিকভাবে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। তারা সম্মিলিতভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে ট্রাম্পের সেই অবাস্তব ও অপরিণামদর্শী প্রস্তাব। এর পরই যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ছুটে গিয়েছেন ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েলের আগ্রাসনবাদী প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু। তিনি তাঁর সফরকালে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে গোপন শলাপরামর্শ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী ইহুদি ধনকুবের এবং আমেরিকা-ইসরায়েল সহযোগিতা পরামর্শক লবির নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বলে জানা গেছে। এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সমস্যার দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানে বিশ্বাসী যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শান্তিকামী মানুষের উচিত হবে সোচ্চার হয়ে এগিয়ে আসা; নতুন পর্যায়ে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহুর নিত্যনতুন ষড়যন্ত্রমূলক পদক্ষেপ বন্ধ করা। নতুবা ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর গাজায় ছয় সপ্তাহের যে যুদ্ধবিরতি হয়েছে, তাতে কোনো স্থায়ী সমাধান আসবে না। এতে গাজায় নিহত প্রায় ৫০ হাজার মানুষ এবং ২০ লাখ বিপর্যস্ত গাজাবাসীর চরম ত্যাগ-তিতিক্ষা কোনো প্রতিকার বা ফল বয়ে আনবে না। গাজাকে কেন্দ্র করে আরেকটি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শিগগিরই শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে, যা কোনো পক্ষের জন্যই কল্যাণকর হবে না। তা ছাড়া অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তি হলেও ইসরায়েলের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে কোনো দৃশ্যমান পরিবর্তন আসছে বলে মনে হচ্ছে না। ইসরায়েল রাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে যে সমস্ত দুর্নীতির মামলা রয়েছে, তা-ও সম্পূর্ণভাবে ঝুলে রয়েছে। এ অবস্থায় শান্তিকামী ইহুদিদেরও দেশে এবং বহির্বিশ্বে একটি শক্তিশালী আন্দোলন গড়ে তোলা আবশ্যক হয়ে পড়েছে, যাতে নেতানিয়াহুকে ক্ষমতা থেকে সরানো যায় এবং ট্রাম্পের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা যায়। এ ক্ষেত্রে জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেরও তৎপর হয়ে ওঠা আবশ্যক বলে তথ্যাভিজ্ঞ মহল মনে করে।
সামনে ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হওয়ার ও কাজ করার একটি অপূর্ব সুযোগ আসছে বলে জানিয়েছেন চিন্তাবিদ জেফ্রি স্যাকস। জেফ্রি দীর্ঘদিন কাজ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান, বান কি মুন ও আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে তাঁদের বিশেষ উপদেষ্টা হিসেবে। তিনি বলেছেন, আগামী জুনে জাতিসংঘের ৮০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপিত হতে যাচ্ছে। এতে ফিলিস্তিন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের সদস্যদের সমর্থনে তখন ফিলিস্তিনকে ১৯৪তম সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া সম্ভব হতে পারে। এতে একদিকে যেমন ইসরায়েল ও ফিলিস্তিন সমস্যার একটি দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে, তেমনি এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের অতীতের অন্যান্য প্রেসিডেন্টের শান্তি প্রচেষ্টার উদ্যোগও কার্যকর হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিন-ইসরায়েল কেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানে ১৯৭০ সাল থেকে কাজ করে যাচ্ছে। ১৯৭৮ সালে অনুষ্ঠিত ক্যাম্প ডেভিড অ্যাকর্ড, ১৯৯৩-১৯৯৫ অসলো অ্যাকর্ড এবং তারপর ২০০০ সালে আবার ক্যাম্প ডেভিড শীর্ষ সম্মেলনসহ এর মধ্যে আরো অনেক আলোচনা ও সম্মেলন হয়েছে। সে সম্মেলন ও চুক্তিগুলো অনেক দূর এগিয়েও শেষ পর্যন্ত ফলপ্রসূ হলো না। সে হিসেবে একটি চূড়ান্ত বাস্তবতার দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আগামী জুনে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের ৮০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উদযাপন উপলক্ষে একটি কূটনৈতিক ও রাজনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে। এবং এই বিষয়টি কিভাবে কার্যকর করা যাবে, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট মহলকে এখন থেকেই তৎপর হতে হবে। এতে হয়তো বা বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক পথ খুলে যেতে পারে, যা শান্তিকামী মানুষকে সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিতে পারে। গাজাসহ ফিলিস্তিন মুক্ত হতে পারে।
লেখক : বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) সাবেক প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক












সর্বশেষ সংবাদ
ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন
কুমিল্লায় তিন দিনে গ্রেপ্তার ১৯ জন
অপারেশন ডেভিল হান্টে সারাদেশে গ্রেফতার আরও ৬০৭ জন
কুমিল্লার আদালতে এক যুবকের বিরুদ্ধে ৫ মামলা
নগরীর ২৪নং ওয়ার্ডে কৃতি শিক্ষার্থী সংবর্ধনা ও সম্মাননা ক্রেষ্ট বিতরণ
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
অপারেশন ডেভিল হান্ট : কুমিল্লায় গ্রেপ্তার ১৩ জন
কুমিল্লায় ১৮০০ ফুট অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
কুমিল্লায় তিন দিনে গ্রেপ্তার ১৯ জন
কুমিল্লায় দুই ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা পানি ঢেলে নিভিয়ে দেওয়া হলো চুল্লির আগুন
কুমিল্লায় দেড় কোটি টাকার ভারতীয় মোবাইল ফেলে পালিয়েছে মালিক
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২