কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। পাশাপাশি এসব সংযোগে ব্যবহৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ ফুট পাইপ উত্তোলন করে জব্দ করা হয়। উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম। এতে বাখরাবাদ গ্যাস ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষ থেকে প্রায় ৭/৮ জন শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন।
আজ সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লার দেবিদ্বার পৌরসভার এলাকার বড় আলমপুর গ্রামে এই উচ্ছেদ অভিযান চলে। তবে সংযোগ বিচ্ছিন্নের ফলে সাধারণ গ্রাহকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও হতাশা লক্ষ্য করা গেছে। তবে কোন অপ্রতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
কুমিল্লা বাখরাবাদের উপব্যবস্থাপক (ভিজিলেন্স) মো. জাহাঙ্গীর বাদশা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১৪টি পরিবার গত কয়েক বছর ধরে একটি অসাধু চক্র এই অবৈধ উপায়ে গ্যাসলাইন টেনেছে। এসব অবৈধ লাইন উচ্ছেদ করা হয়েছে। ১৪টি লাইনের ১ হাজার ৮০০ ফুট পাইপ জব্দ করা হয়েছে।
উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা বাখরাবাদের ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপক কিরণ শংকর পাল (ইএস), ব্যবস্থাপক (ভিজিলেন্স) মো. সেলিম খান, উপ ব্যবস্থাপক (রাজস্ব) আনিছুর রহমান, দেবিদ্বার বাখরাবাদের ডিস্ট্রিবিউশনের ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান, দেবিদ্বার থানার এএসআই বাকেরসহ একদল পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় লোকজন।
অবৈধ গ্যাস সংযোগের গ্রাহকরা বলেন, অফিসের কিছু লোকদের সাথে যোগাযোগ করে গ্যাস লাইনের সংযোগ পাই, কিছুদিন বিলও পরিশোধ করেছি। অনলাইনে আমাদের নামও রয়েছে। তাহলে গ্যাস ডিসট্রিবিউশন কোম্পানি কীভাবে অনলাইনে আমাদের নাম তুলল কেন ? আমাদের কে বিল বই দিল? গত এক বছর আগে অফিস থেকে বলা হয়েছে আর যেন বিল না দেই। এরপর থেকে আর বিল দেওয়া হয়নি। আমাদের আমাদের ব্যক্তিগত প্রায় ২ লক্ষ টাকায় কেনা পাইপ নিয়ে গেছে। আমরা বৈধ উপায়ে গ্যাস সংযোগ চাই।
এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, সুনিদিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে ১৪টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এক শ্রেণীর কথিত ঠিকাদার অবৈধভাবে গ্রাহকদের গ্যাস লাইন সংযোগ দিয়ে গ্রাহকদের সাথে প্রতারণা করছেন।