‘আপনি
কি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতবে?’ প্রশ্নটি শুনে যেন
একটু অপ্রস্তুতই হলেন ফিল সিমন্স। পরমুহূর্তে অবশ্য জোর দিয়ে বললেন,
বিশ্বাস না থাকলে এই চেয়ারেই থাকতেন না তিনি। একইসঙ্গে জানালেন, সেরাটা
খেলতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ভালো সুযোগ আছে বাংলাদেশের।
সংযুক্ত আরব
আমিরাত ও পাকিস্তানে আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স
ট্রফির নতুন আসর। দুবাইয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিন ভারতের মুখোমুখি হবে
বাংলাদেশ। পরে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউ জিল্যান্ড ও স্বাগতিক পাকিস্তানের
বিপক্ষে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের বাকি দুই ম্যাচ খেলবে তারা।
শক্তি-সামর্থ্য
বিবেচনায় গ্রুপের তিন দলই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যাচ
অনুশীলনেও পিছিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের
ওয়ানডে সিরিজ খেলছে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ও নিউ জিল্যান্ডের সঙ্গে মিলে
ত্রিদেশীয় সিরিজে ব্যস্ত পাকিস্তান।
বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা সবশেষ
ওয়ানডে খেলেছে প্রায় দুই মাস আগে। পরে বিপিএলে টি-টোয়েন্টি খেলে কেটেছে
তাদের সময়। প্রস্তুতির দিক থেকে পিছিয়ে থাকলেও বিশ্বাসে কমতি নেই বাংলাদেশ
কোচের।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবারের অনুশীলন
শুরুর আগে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বললেন, যতটা সম্ভব প্রস্তুতি নিয়ে সেরাটা
খেলার চেষ্টা করবে তার দল।
“(চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জেতার) বিশ্বাস না থাকলে
তো আমি এখানে থাকতামই না। আমার মতে, কোনো টুর্নামেন্টে যাওয়ার আগে যতটা
সম্ভব সেরা প্রস্তুতি নেওয়ার চেষ্টা করতে হবে এবং নির্দিষ্ট দিনে নিজের
সেরাটা খেলার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি উপলক্ষে আমিও দলকে সেই জায়গায় নিয়ে
যেতে চাই।”
গত ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ
হয়েছিল বাংলাদেশ। তবে এরপর টি-টোয়েন্টিতে আবার ক্যারিবিয়ানদের তিন ম্যাচেই
হারিয়েছিল তারা। ওই মোমেন্টাম সামনের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ধরে রাখার আশা
সিমন্সের।
“আমার মনে হয় সফরের হিসেব করলে, ক্যারিবিয়ানে আমরা বেশ সামনে
এগিয়েছি। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু সফরে আমরা ক্যারিবিয়ানের শেষ দিকের
মতো ভালো করতে পারিনি। তাই আমরা যদি নিজেদের সেরা মানের ক্রিকেটটা খেলতে
পারি, তাহলে আমাদের খুব ভালো সুযোগ আছে।”