আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বাংলাদেশে ফের পূর্ণমাত্রায় (১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট) বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করবে ভারতের আদানি পাওয়ার। বকেয়া জমায় গত অক্টোবরে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে কমিয়ে আনে তারা।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
তবে বাংলাদেশ ডিসকাউন্ট ও ট্যাক্স সুবিধার শর্ত দিলেও সেগুলো আদানি মানতে রাজি হয়নি বলে রয়টার্সকে জানিয়েছে দুটি সূত্র।
নাম প্রকাশ করার শর্তে একটি সূত্র বলেছেন, গ্রীষ্মকালের চাহিদার কথা চিন্তা করে আদানিকে পূর্ণমাত্রায় বিদ্যুৎ পাঠাতে আহ্বান জানায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। এতে সাড়া দিয়ে আগামী সপ্তাহের মধ্যেই ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাঠাতে রাজি হয় আদানি পাওয়ার।” ভারতের ঝাড়খণ্ডে অবস্থিত আদানির এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে শুধুমাত্র বাংলাদেশেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
বাংলাদেশ ডিসকাউন্ট চাইলেও এতে আদানি রাজি না হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে অপর সূত্রটি বলেছেন, “তারা কোনো কিছু ছাড় দিতে চায় না। এমনকি ১০ লাখ ডলারও। আমরা কোনো ধরনের ছাড় পাইনি। আমরা তাদের সঙ্গে পারস্পরিক বোঝাপড়া চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা এতে বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিটি সামনে নিয়ে আসছে।”
বিপিডিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিমের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু তিনি কোনো উত্তর দেননি। এছাড়া আদানি পাওয়ারের মুখপাত্রও এ ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করেননি।
গত ডিসেম্বরে আদানির একটি সূত্র রয়টার্সের কাছে দাবি করেছিল, বাংলাদেশের কাছে তাদের ৯০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া জমে গেছে। তবে ওই সময় বিপিডিপির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম বলেছিলেন, বাংলাদেশের কাছে ভারতীয় কোম্পানিটি ৬৫০ মিলিয়ন ডলার পাবে। বিদ্যুতের দাম কীভাবে হিসেব করা হচ্ছে, সেটির প্রেক্ষিতে মূল্য নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়।
এরআগে বিপিডিবি আদানি পাওয়ারের কাছে একটি চিঠিতে ট্যাক্স সুবিধা ও মে মাস পর্যন্ত বিদ্যুতের দামের ডিসকাউন্ট চেয়ে শর্ত দিয়েছিল। সেগুলোই মানেনি আদানি পাওয়ার।