মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ভাষা শহীদদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগকে স্মরণ করে জাতি ২১ ফেব্রুয়ারি ‘অমর একুশে’, শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করে। ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দিবসটি পালিত হয়।
সারাদেশের ন্যায় কুমিল্লাতেও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হয়েছে। একুশের প্রথম প্রহরে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন সকল শ্রেণী পেশার মানুষ।
শুরুতেই শ্রদ্ধা নিবেদন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার, পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, স্থানীয় সরকার কুমিল্লার উপ -পরিচালক এস এম গোলাম কিবরিয়া, বিএনপির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক হাজী আমিনুর রশিদ ইয়াছিনসহ প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তিবর্গ।
শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির পক্ষে যুগ্ম আহবায়ক আমিরুজ্জামান আমির, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, কুমিল্লা মহানগর বিএনপি'র পক্ষে আহবায়ক উতবাতুল বারী আবু ও সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
প্রথম প্রহরেই শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগর আহ্বায়ক আবু রায়হান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা জেলা শাখার সদস্য সচিব জিয়াউদ্দিন মুহাম্মদ রুবেল, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মাহীর তাজওয়ার ওহী, জাতীয় নাগরিক কমিটির নেত্রী হাফসা জাহানসহ অন্যান্যরা।
পরে একুশে ফেব্রুয়ারি ভোরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিগণ, অন্যান্য রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকেও ফুলেল শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করা হয়।
এবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কুমিল্লা জেলা স্কুল প্রাঙ্গণে সাত দিনব্যাপী বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে। এডভোকেট একুশে ফেব্রুয়ারি বইমেলার উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার।
এছাড়াও বিভিন্ন উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস পালিত হয়েছে।