নিজস্ব
প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. খন্দকার
মোশাররফ হোসেন বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা শান্তি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে একটি
সুন্দর পরিবেশ বিরাজ করছে। কিন্তু পরাজিত ফ্যাসিবাদ সরকার বিদেশে গিয়ে
নানারকম ষড়যন্ত্র করছে। অন্তর্র্বতী সরকারের দায়িত্ব হলো জনগণের অধিকার
প্রতিষ্ঠা করা। জনগণের অধিকার বলতে ভোটের অধিকারকে আমরা বুঝি। কিন্তু ভোট
নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। যাতে নির্বাচন বিলম্বে হয় সেজন্য উছিলা দেওয়া হচ্ছে।
সংস্কার নিয়ে কথা বলছে। কিন্তু সাত মাসেও তারা কোনো স্পষ্ট রূপরেখা ঘোষণা
দিতে পারেনি।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে এক ইফতার
মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। সাংবাদিকদের সম্মানে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন
করে জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল।
খন্দকার মোশাররফ
হোসেন বলেন, বিগত শেখ হাসিনার সরকার পনের বছপরে ধ্বংস করে গেছে। সেটা
মেরামতের দায়িত্ব নির্বাচিত সরকারের। সেজন্য অন্তর্র্বতী সরকারের উচিত হলো
জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা।
তিনি আরও
বলেন, অনতিবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন তারিখ ঘোষণা করা হোক।
রোডম্যাপ ঘোষণা করা হোক। জনগণের নির্বাচিত সরকার তখন পতিত সরকারের ষড়যন্ত্র
মোকাবেলা করবে। তিনি খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের
পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা জানান।
অন্তর্র্বতী সরকারের
পক্ষ থেকে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের কথা বলে জনগণের মধ্যে ধোঁয়াশা
তৈরি করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির
রিজভী। তিনি বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। এখনো কেন গড়িমসি? কদিন আগেই
না নিশ্চিত করে বললেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন হবে। যদি স্বল্প মেয়াদে
সংস্কার চান তাহলে ডিসেম্বরে আর যদি দীর্ঘ মেয়াদে সংস্কার চান তাহলে জুনে।
এই কথাগুলো বলে সরকারের পক্ষ থেকে ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে কেন জনগণের
জিজ্ঞাসা।
তিনি বলেন, সংস্কার স্বল্প মেয়াদী বা দীর্ঘমেয়াদি কী?
সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। আজকে আপনি যা সংস্কার করছেন সেটি ৫০ বছর পর
আবার সংস্কার হতে পারে। ২০ বছর পর বাতিল হতে পারে, নতুন সংস্কার আসতে পারে।
তাহলে এই প্রশ্নটা আসছে কেন যে স্বল্প মেয়াদী সংস্কার হলে ডিসেম্বর আর
দীর্ঘ মেয়াদি হলে জুন। এইকথাগুলোর মধ্য দিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হচ্ছে। ১৬ বছর
ধরে যে ভোটাররা, তাদের বঞ্চিত করার কোন নীল নকশা হচ্ছে কী না এই ধরণের
আশংকা মানুষের মধ্যে তৈরি হচ্ছে।
যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আবদুল
মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির
উদ্দিন নাছিরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- বিএনপির যুগ্ম
মহাসচিব শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল,
যুবদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ১নং যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জুয়েল, দপ্তর
সম্পাদক নুরুল ইসলাম সোহেল, সহদপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া,
স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এসএম জিলানী, সাধারণ সম্পাদক রাজীব
আহসান, সিনিয়র সহসভাপতি ইয়াছিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান,
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সাংগঠনিক সম্পাদক
আমানউল্লাহ আমান প্রমুখ।