ঈদ
যাত্রায় যানজট নিরসনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ‘ফোরলেনের ভেতরে কোন দয়া
মায়া নাই’ বলে মন্তব্য করেছেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার।
তিনি বলেছেন, চারলেন মহাসড়কে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কিংবা কৃত্তিম যানজট
সৃষ্টির চেষ্টা করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। ঈদ উপলক্ষ্যে সড়কের যাত্রী
সাধারণের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে জেলা সড়ক নিরাপত্তা কমিটির
সভায় ঈদ যাত্রায় যেন কুমিল্লা জেলার কোন মহাসড়কে ভোগান্তি সৃষ্টি না হয় সে
জন্য সকলকে সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকার আহ্বান জানান তিনি। ঈদ উল ফিতর
উপলক্ষ্যে ২৭ মার্চ থেকে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত সড়ক মনিটরিংয়ে বিশেষ জোর প্রদান
সংক্রান্ত আলোচনা করা হয়।
রবিবার বিকালে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক
কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা রিজিয়নের
হাইওয়ে পুলিশ সুপার মোঃ খাইরুল আলম, কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ
খান, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের সচিব মোহাম্মদ মামুন, বিআরটিএ কুমিল্লার
সহাকরী পরিচালক মোঃ ফারুক আলম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দ, মহাসড়ক সংলগ্ন
বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতৃবৃন্দ, জেলা রোভার
স্কাউট প্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সাংবাদিকবৃন্দ।
সভায়
জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়সার বলেন, আমরা এবারের ঈদ যাত্রায়
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, কুমিল্লা-সিলেট ও কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক
মহাসড়কে যেন কোন ধরনের যানজট ভোগান্তি তৈরী না হয় সেজন্য প্রতি উপজেলায় সড়ক
নিরাপত্তা ও পর্যবেক্ষণ টীম তৈরী করার সুপারিশ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ টীমের সমন্বয়কারী হিসেবে থাকবেন।
তিনি
বলেন, এই সমন্বিত টীমে একজন করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, পুলিশ সদস্য,
হাইওয়ে পুলিশ সদস্য, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নিযুক্ত সদস্য, বাস মালিক শ্রমিক
সমিতির সদস্য, বাজার মালিক সমিতির সদস্য ও পরিচয়ধারী একাধিক স্বেচ্ছাসেবক
থাকবেন।
জেলা প্রশাসক জানান, হাইওয়ে পুলিশ ও জেলা পুলিশের পাশাপাশি
শিক্ষার্থী ও জেলা রোভার স্কাউটের সমন্বয়ে অন্তত দু’শ স্বেচ্ছাসেবক সড়কের
শৃঙ্খলায় নিয়োজিত থাকবেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা ও সুয়াগাজী
এলাকায় রেকার, মেডিকেল টীম ও স্বেচ্ছাসেবকদের নিয়ে দুুইটি কুইক রেসপন্স টীম
থাকবে।
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মোঃ খায়রুল আলম বলেন,
হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, প্রশাসন ও স্বেচ্ছাসেবকদের সমন্বিত টীম থাকলে
মহাসড়কে কোন ভোগান্তি তৈরী হবে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যে ১২টি পয়েন্ট
হটস্পট হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে সেগুলোতে আমরা আগাম ব্যবস্থা নিবো। আশা করি
কোন যানজটের ভোগান্তি তৈরী হবে না।
জেলা পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান
বলেন, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও লাইসেন্সবিহীন চালক যানজট ও দুর্ঘটনার কারন
হতে পারে। যানজট প্রবণ এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত নজরদারি থাকবে।
সভায়
কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের কংশনগর এবং কুমিল্লা-নোয়াখালী মহাসড়কের বাগমারা
এলাকায় বিশেষ নজরদারি সিদ্ধান্ত হয়। সভা থেকে মহাসড়ক সংলগ্ন বাজারগুলোর
অবৈধ স্থাপনা মহাসড়ক থেকে অপসারনের জন্য বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রতি
আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া কুমিল্লা - সিলেট মহাসড়কের কোম্পানিগঞ্জ এলাকায়
সেতুর সংস্কার কাজ ভোগান্তি এড়ানো জন্য সময় পেছানোর আহ্বান জানানোর হয়।