নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার
আড়াইওড়া এলাকায় সিএনজি যোগে কলেজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় দেহ থেকে হাত
বিছিন্ন হওয়ার এক বছর ২৩ দিন পর মারা গেলেন ভিক্টোরিয়া কলেজের অনার্স ২য়
বর্ষের ছাত্র জুলফিকার নাঈম। তিনি ১৫ মার্চ রোববার রাতে সেহেরী খেয়ে ঘুমিয়ে
ছিলেন। সকালে তার মা ডেকে উঠাতে গিয়ে দেখেন সে মারা গেছে। দুর্ঘটনায় একটি
হাত হারানোর পর ধারাবাহিকভাবে উচ্চমাত্রার অতিরিক্ত ওষুধ সেবনের ধকল সইতে
না পেরেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নাঈম কুমিল্লার
ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের জিরুইন গ্রামের বিল্লাল হোসেনের
(লিটন) পুত্র। দীর্ঘদিন ধরেই তারা বুড়িচং সদর এলাকায় স্বপরিবারে বসবাস
করেন। সেখানেই ঘুমের মধ্যে শেষ নি:শ^াস ত্যাগ করেন নাঈম।
নাঈমের চাচা
অধ্যাপক শাহীন শাহ্ জানান, ‘আমার ভাই বিল্লাল হোসেন লিটন বুড়িচং উপজেলা
সদরে স্ত্রী-কন্যা পুত্রকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। ছেলেটি কুমিল্লা
ভিক্টোরিয়া কলেজে ব্যবস্থাপনা বিভাগে অনার্সে ভর্তি হওয়ার পর গত বছর ২০
ফেব্রুয়ারি সিএনজি অটোরিকশা দুর্ঘটনায় তার ডান হাত দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে
পড়ে। এরপর থেকেই তার চিকিৎসা চলছিলো। এরই মাঝে রোববার রাতে সেহেরী খেয়ে
বাসায় ঘুমিয়ে পড়ে। পরদিন বেলা ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যরা তাকে ঘুম থেকে
জেগে উঠাতে গিয়ে দেখেন নাঈম অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে তাকে বুড়িচং
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’
এদিকে
নাঈমের মৃত্যুর খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে পড়ে। রোববার
সন্ধ্যা ৭টায় বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মসজিদের সামনে প্রথম
জানাজা এবং জিরুইন গ্রামে ২য় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা
হয়।