বুধবার ২ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১
প্রবীণদের কথা কে ভাববে?
মোহাম্মদ মাসুদ রানা চৌধুরী
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ১:৫৪ এএম আপডেট: ২০.০৩.২০২৫ ২:২৫ এএম |



 প্রবীণদের কথা কে ভাববে? জীবন বহতা নদীর মতো বয়ে যায়। তাকে আটকে দেয়ার সুযোগ নেই। আনন্দময় কান্নার শব্দে যে শিশুটি আজ জন্ম নিল, সময়ের পরিক্রমায় সে একদিন কিশোর, যুবক, প্রাপ্তবয়স্কের ধাপগুলো পেরিয়ে বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছে যায়। বার্ধক্য জীবনের এক চরম সত্য। এই সময়টা আসলে মানব জীবনের শেষ অধ্যায়। অকালমৃত্যু না হলে বেঁচে থাকলে বার্ধক্যের স্বাদ সবাইকে গ্রহণ করতে হবে। আজ যারা নবীন, তারাই হবেন প্রবীণ। কিন্তু এ বাস্তবতাকে অনেকেই স্বীকার করেন না বা মেনে নিতে চান না। জীবনের প্রতিটি ধাপেরই আলাদা সৌন্দর্য আছে, সেই সাথে থাকে ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ। যে সমাজ বা রাষ্ট্র এর প্রতিটি স্তরের জনসংখ্যাকে সুচিন্তিত ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে কাজে লাগাতে পারে সে সমাজ বা রাষ্ট্র তার সুবিধা পুরোপুরি ভোগ করতে পারে। সে দেশের উন্নয়ন যাত্রা টেকসই হয়।
জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)’র ১৭টি অভীষ্টের মধ্যে ৩ নম্বর অভীষ্টটি হচ্ছে ‘সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ’। এখানে সব বয়সী জনগোষ্ঠীর সুস্থ্য জীবন ও সামাজিক কল্যাণ নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশের ষাট বছরের বেশি বয়সীদের প্রবীণের তালিকায় ফেলা হয়। উন্নত দেশ গুলোতে এর চেয়ে বেশী বয়সীরা প্রবীণ হিসেবে চিহ্নিত হন। দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়নের ফলে মানুষের গড় আয়ু বাড়ছে, একই সাথে বাড়ছে প্রবীণ নারী-পুরুষের সংখ্যাও। পরিসংখ্যান মতে বাংলাদেশে প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ এর মতো মানুষ প্রবীণ। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৯.২৮ ভাগ হচ্ছে প্রবীণ। ধারণা করা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে পৃথিবীতে ১৫০ কোটিরও বেশি মানুষ প্রবীণ হবে এবং তাদের ৮০ শতাংশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে বাস করবে। 
জনসংখ্যা আমাদের জন্য সম্পদ। জনসংখ্যার বিবেচনায় বাংলাদেশে এ মুহুর্তে ১৫ হতে ৫৯ বছর বয়সি ৬৮ শতাংশ জনগোষ্ঠী উৎপাদনশীল, কর্মমুখী ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য সক্রিয় এবং কর্মক্ষম। জনমিতির পরিভাষায় এটা হলো একটি দেশের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতিক লভ্যাংশ। এ জনমিতিক সুবর্ণকাল এর সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের উন্নয়ন যাত্রা টেকসই করা সম্ভব হবে। বাংলাদেশের নাগরিকদেরও গড় আয়ু বাড়ার এ ধারাবাহিকতায় প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সংখ্যাও বাড়ছে। এক সময় কর্মক্ষম জনসংখ্যার চেয়ে নির্ভরশীল জনসংখ্যা বাড়তে থাকবে। প্রবীণদের সংখ্যা আরও বেড়ে গেলে দেশের সার্বিক মোট জাতীয় উৎপাদনে একটি বড়ো ধরণের চাপ তৈরী হবে। উৎপাদনের চেয়ে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ঘাটতি তৈরী হবে। তাই খুবই পরিকল্পনা মাফিক ভাবে প্রবীণদের সমাজের বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্যে কার্যকরভাবে সমন্বিত করতে হবে যাতে করে প্রবীণ জনগোষ্ঠী সমাজের জন্য বোঝা না হয়। 
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনায় দেখা যায় আমাদের সমাজে প্রবীণের মানসিক সংকট তৈরি হয় নানা কারণে। যেমন অর্থনৈতিক সংকট, স্বাস্থগত ও মানসিক চাপ, চাহিদা মেটাতে না পারা, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া, নিঃসঙ্গতা, পরিবারে যথাযথ গুরুত্ব না পাওয়া ইত্যাদি কারণে। আমাদের দেশে মধ্যবিত্ত পরিবার কাঠামোর বাবা-মায়েরা তাদের পুরো জীবনটাই সন্তানের জন্য উৎসর্গ করেন। ছেলে বড় হয়ে ভাল চাকুরী করবে, মেয়েকে ভাল ঘরে বিয়ে দিতে হবে এই আশায় বাবা-মা নিজেদের উজাড় করে দেন। তবে বাস্তবতা অনেক সময় তাদের কল্পনার সাথে মেলে না। ছেলে কর্মজীবনে যা আয় করেন তা দিয়ে স্ত্রী-সন্তানের লালনপালন করার পর পিতা মাতার ভরণ পোষণ ও চিকিৎসা ব্যয় ইত্যাদি মেটাতে ছেলেকে হিমশিম খেতে হয়। এতে করে প্রবীণ বাবা-মা অবহেলিত থেকে যান। বাংলাদেশে অনেক পরিবারের পুত্র-কন্যারা বিদেশে গিয়ে পড়ালেখা করে স্থায়ী হয়ে যান। তাদের বাবা-মা’রা দেশে থেকে যান। দেশে বাবা-মা’কে দেখার কেউ থাকেনা। আবার ছেলে মেয়ে চাইলেও অনেক সময় বাবা-মা বিদেশে স্থায়ী হতে চান না। এসব ক্ষেত্রে একটা চ্যালেঞ্জ তৈরী হয়। আবার এখনকার ডিজিটাল সময়ে প্রযুক্তির অতিমাত্রায় ব্যবহারে আসক্ত হয়ে পড়ার কারণে অনেক পরিবারেই বয়স্ক সদস্যদের যথাযথ সময় দেয়া হয় না বা পারা যায় না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যস্ত থাকার কারণে আমাদের অনেক মানবিক অনুভূতি দিন দিন ভোঁতা হয়ে যাচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই আমাদের শেখানো হয় কিভাবে পড়াশোনা করে বড় হয়ে একটা ভালো চাকুরি পেয়ে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়া যায়। এক ধরনের প্রতিযোগিতার/ প্রতিদ্বন্ধিতার মানসিকতা নিয়ে আমাদের বাচ্চারা বড় হয়। পৃথিবীটা যে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সহযোগিতারও সেটি আমরা গুরুত্ব দিয়ে উপলব্ধি করছি না। ফলে নতুন প্রজন্মের মধ্যে মানবিক মূল্যবোধ, নীতি-নৈতিকতা, শিষ্টাচার, ন্যায়-অন্যায় বোধ, ধর্মীয় অনুভূতি-এসবের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। নবীণ ও প্রবীনের মধ্যে এক ধরণের সাংস্কৃতিক দূরত্ব তৈরী হচ্ছে। 
প্রবীণের চাহিদার বেশির ভাগই হচ্ছে সুস্থতা কেন্দ্রিক। তাদের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা থাকে কিভাবে শরীরকে চালিয়ে নেয়া যায় সে উপায় খোঁজা। কেউ কেউ জিনগত কারণে বা জীবনাচারনের কারণে অন্যদের চেয়ে শরীরিকভাবে সক্ষম থাকেন। তবে এ সংখ্যা খুবই কম। এক গবেষণায় দেখা গেছে, দেশে এক চতুর্থাংশ প্রবীণ অপুষ্টিতে ভুগছেন এবং অর্ধেকেরও বেশি রয়েছেন পুষ্টিহীনতায়। আবার শহর এবং গ্রামের প্রবীণদের চ্যালেঞ্জের মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। শহরে প্রবীণরা অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল থাকলেও নিঃসঙ্গতা সমস্যায় ভোগেন। অন্যদিকে গ্রাম্য এলাকায় প্রবীণদের মূল সমস্য হলো আর্থিক অসচ্ছলতা। আর্থিক দৈন্যেতার কারণে সেখানকার প্রবীণরা চিকিৎসা ও পুষ্টিকর খাওয়া যোগাতে সক্ষম হন না। 
বার্ধক্য জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় এবং জনমিতিক কারণেই প্রবীণদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে এবং আরো বাড়বে। বার্ধক্যকে সমস্যা হিসেবে না নিয়ে একে জীবনচক্রের একটি ধাপ হিসেবে নিয়ে এর চ্যালেঞ্জগুলো স্বাভাবিক ভাবেই মোকাবেলা করা উচিত। বৃদ্ধ বয়সে অন্যের উপর যেন শতভাগ নির্ভরশীল হয়ে পড়তে না হয় তার জন্য কর্মক্ষম থাকা অবস্থাতেই অবসর নেওয়ার পর বা বৃদ্ধকালে জীবনকে এগিয়ে নেয়ার একটা পরিকল্পনা করা প্রয়োজন। ভবিষ্যতের জন্য কিছু সঞ্চয় করার ব্যবস্থা করতে হবে। 
প্রবীণের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। প্রবীণ মাত্রই সব কিছু শেষ তা নয়। দীর্ঘ জীবনে নানা সংকট মোকাবেলা করে, জীবনযুদ্ধে নানা ঘাত-প্রতিঘাত উত্তরিয়ে প্রবীণরা অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। প্রবীণদের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগাতে পারলে সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার সুযোগ রয়েছে। বলা হয়ে থাকে এক একজন প্রবীণ ব্যক্তি এক একটি লাইব্রেরীর ন্যায়। তাদের ভান্ডারে জমা থাকে অনেক তথ্য, অনেক অভিজ্ঞতা। যেগুলো আমাদের ভবিষ্যতের পথে এগিয়ে যেতে কাজে লাগে। প্রবীণ জনগোষ্ঠিও তাদের অভিজ্ঞতাগুলো সুযোগ ও সহায়তা পেলে নানাভাবে সেগুলোকে ব্যবহার করে সমাজ ও জাতীর উন্নয়নে অবদান রাখতে পারেন। গ্রামের একজন প্রবীণ কৃষকের কৃষি কাজ করার অভিজ্ঞতা কৃষির সার্বিক উন্নয়নে কাজে লাগতে পারে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে যা দুই পক্ষের জন্যই লাভজনক হবে। 
প্রবীণদের শারিরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ্ রাখার লক্ষ্যে পাড়া বা মহল্লায় প্রবীণ পার্ক, বিনোদনের ব্যবস্থা, উন্মুক্ত লাইব্রেরীর ব্যবস্থা করা যেতে পারে। প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় প্রবীণরা একত্রিত হয়ে সংগঠন করতে পারেন। প্রবীণদের জন্য পরিবারের অন্য সদস্যদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের প্রবীণদের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। প্রবীণদের সংঙ্গ দিতে হবে, তাদের ইচ্ছা আকাঙ্খাকে প্রধান্য দিতে হবে এবং আচার অনুষ্ঠানে তাদের প্রতি নমনীয়তা দেখাতে হবে। প্রবীণরা যাতে এককীত্বে না ভোগেন সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। উন্নত দেশসমূহ যেমন সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, জার্মানী, কানাডা, নেদারল্যান্ড, আইমল্যান্ড, জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য প্রবীণদের স্বাস্থ্য, উপার্জন, সামাজিক সংযোগ এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে ও কার্যক্রম পরিচালনা করে। পেনশন সুবিধা, গণপরিবহন ব্যবহারের সুবিধা, বিনোদনের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য বীমা প্রচলন ইত্যাদি উদ্যোগ গ্রহণের ফলে এসব দেশের প্রবীণরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করেন এবং ৬০ বছরের একজন প্রবীণ গড়ে আরো ২৫ বছর বেঁচে থাকার প্রত্যাশা করেন। 
পরিশেষে বলা যায়, প্রবীণরা আমাদের সম্পদ। প্রবীণ বা বয়স্ক ব্যক্তিরা সম্মানিত। প্রবীণদের সমস্যাগুলো সমাধানে প্রবীণ ব্যক্তির পরিবারসহ সকলকেই এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের মনে রাখা উচিত, আজ যারা প্রবীণ তারাও অতীতে তার পরিবার, সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যাণে অনেকেই অনেক কিছু করে গেছেন। তাদের যেন কোন রকম অবহেলা করা না হয়। প্রবীণ বয়োজ্যেষ্ঠরা আমাদের পরিবারেরই অংশ। আমাদের নৈতিক দায়িত্ব হওয়া উচিত সবসময় প্রবীণদের প্রতি মায়া মমতা, ভালবাসা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা। বিভিন্ন সামাজিক, পারিবারিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যথাসম্ভব প্রবীণদের গুরুত্ব দিয়ে আমন্ত্রণ জানানো উচিত। আমাদের হাসপাতাল, চিকিৎসা ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট চলাচল ইত্যাদিকে প্রবীণবান্ধব করা খুবই জরুরী। প্রবীণরা যেন কোন অবস্থাতেই নিজেদের অপ্রয়োজনীয় ও অবহেলিত মনে না করেন। আমাদের প্রবীণদের জীবন যেন সত্যিকার অর্থেই আনন্দময়, শান্তিময়, মধুর স্মৃতিময় হয় তার জন্য সকলকে সচেষ্ট থাকতে হবে এবং প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
লেখকঃ বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে কর্মরত।












সর্বশেষ সংবাদ
নির্বাচনের আগেই জুলাইয়ে গণহত্যার বিচার চান কুমিল্লার তিন শহীদ পরিবার
কুমিল্লায় ঘাস নিয়ে নদীতে নিখোঁজ কৃষক, চার ঘন্টা পর উদ্ধার হলো মরদেহ
কুমিল্লায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুমিল্লার চান্দিনায় বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ৩ জন নিহত
মুসল্লিদের ঢল নেমেছিল কুমিল্লা কেন্দ্রীয় ঈদগাহে। স্বস্তির ঈদ জামাত
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লা জিলা স্কুলে গ্র্যান্ড ইফতার মাহফিল
কুমিল্লায় আইনজীবী আবুল কালাম হত্যা মামলার আসামি গ্রেফতার
কুমিল্লায় ঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৮টায়
কুমিল্লার ৩৮পরিবারে ‘বিষাদের ঈদ’
হরিশ্চর ইউনিয়ন হাই স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ পুনর্মিলনী
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২