নিজস্ব
প্রতিবেদক: কুমিল্লায় সাম্প্রতিক সময়ে বহুক আলোচিত ঘটনা যুবদল নেতা
তৌহিদুল ইসলামে হত্যাকাণ্ডের মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার ভোরে কুমিল্লার ইপিজেড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ও
সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম সাইদুল হাসান (৪৫)। তিনি কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ইটাল্লা গ্রামের বাসিন্দা। নিহত তৌহিদের প্রতিবেশী।
কোতোয়ালি
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিনুল ইসলাম জানান, মামলার পর থেকে
সাইদুল আত্মগোপনে ছিলেন। এ মামলার অন্য আসামিরাও পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারে
চেষ্টা চলছে। সাইদুলের দুই ভাইও এ মামলার আসামি। ঘটনার পর ৫ ফেব্রুয়ারি ৬
জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত তৌহিদের স্ত্রী।
তৌহিদের বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের তৎপরতা কম। আমরা সব আসামির দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।
তৌহিদুল
ইসলাম কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুপি ইউনিয়নের ইটাল্লা গ্রামের
বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক ছিলেন। ৩১ জানুয়ারি তৌহিদের
বাবার কুলখানি ছিল। পরিবারের দাবি, ওই আয়োজন চলাকালে আগের ৩০ জানুয়ারি
দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে তাঁকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যান আইনশৃঙ্খলা
রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। পরদিন দুপুরে খোঁজ মেলে , কুমিল্লা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে তৌহিদের মরদেহ পড়ে আছে। সেখানে গিয়ে তাঁরা দেখেন, তৌহিদের
শরীরে অসংখ্য জখম-নির্যাতনের চিহ্ন।
পুলিশ জানায়, ৩১ জানুয়ারি বেলা
১১টার দিকে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোতয়ালি থানা পুলিশকে জানানো হয় তৌহিদকে
নেওয়ার জন্য। পুলিশের কাছে হস্তান্তরের সময় তৌহিদ অচেতন অবস্থায় ছিলেন। পরে
হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।