কুমিল্লার
কাগজ রিপোর্ট: পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরকে সামনে রেখে ঘরমুখো মানুষের ভোগান্তি
লাঘব ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি
মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে সেনাবাহিনী। ২৫ মার্চ মঙ্গলবার থেকে
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও কুমিল্লা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কসহ লক্ষ্মীপুর,
চাঁদপুর ও নোয়াখালী জেলার সড়ক সমূহের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে
অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ ও সম্ভাব্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড রোধে ৩৩ পদাতিক
ডিভিশনের প্রায় তিন শতাধিক সেনাসদস্য দায়িত্বরত থাকবেন।
কুমিল্লা সেনাবাহিনীর ৩৩ পদাতিক ডিভিশন এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আবার
দুপুরে কুমিল্লার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে
সেখানে মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে দায়িত্ব পালন করছেন
সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এ সময় তারা মহাসড়কের পাশে অবাধে যাত্রী ওঠানামা,
অবৈধভাবে পার্কিং করা এবং মহাসড়কের উপর থেকে যেকোনো ধরনের অবৈধ স্থাপনা
সরিয়ে দেন। সময় মহাসড়কে যান চলাচল একেবারেই নিরবিচ্ছিন্ন থাকে।
সেনাবাহিনীর
পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিবার পরিজনের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে
নেবার লক্ষ্যে সাধারণ মানুষের এই যাত্রা যেন সুখকর হয় সে লক্ষ্যে বাংলাদেশ
সেনাবাহিনী সকল বাস মালিক সমিতি ও চালকদের ফিটনেসবিহীন গাড়ী চালনা, অধিক
গতিতে গাড়ী চালনা, যত্রতত্র গাড়ী থামিয়ে যাত্রী উঠানো, অযথা লেন পরিবর্তন,
ক্লান্তি নিয়ে গাড়ী চালানো হতে বিরত থাকার অনুরোধ করছে। এছাড়াও মহাসড়কের
দুইপাশে যাতে ভাসমান দোকান স্থাপনের মাধ্যমে রাস্তা সংকীর্ণ না করা হয় সে
বিষয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম, কুমিল্লা-সিলেট, কুমিল্লা- নোয়াখালী,
কুমিল্লা-চাঁদপুর, কুমিল্লা-লক্ষ্মীপুর সড়কের পাশে অবস্থিত সকল বাজার মালিক
সমিতিকে বিশেষ অনুরোধ জানাচ্ছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘরমুখী
মানুষের ঈদ যাত্রায় বিঘ্ন ঘটে এমন কোন কারণ প্রতিহত করার লক্ষ্যে
সেনাবাহিনী তার মেজিষ্ট্রেসী ক্ষমতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করবে। 'সমরে ও
শান্তিতে সর্বত্র দেশের তরে' এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী
অতীতে জনগনের পাশে ছিল, বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকতে বদ্ধ পরিকর।