জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানতম যে দলটি গড়ে উঠবে সেটি হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি। এবং আপনাদের সহযোগিতায় আমরা সেটি করতে চাই। কুমিল্লার যতগুলি আসন রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য যে আসনটি দেবিদ্বার। আমরা প্রত্যাশা করবো সে আসনটি খুব শীঘ্রই এনসিপির আসন হিসেবে বিবেচিত হবে।সেজন্য আপনাদের সহায়তা চাই।
বুধবার (২৬ মার্চ) বিকালে কুমিল্লার দেবিদ্বার সুজাত আলী সরকারী কলেজ মাঠে জাতীয় নাগরিক পার্টি আয়োজিত হিফজুল কোরআন প্রতিযোগীতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তবে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গত দেড় দশক ধরে দেশে ইসলামিক পড়াশোনার ওপর নজরদারী করে রাখা হয়েছিল। মাদ্রাসা গুলোকে দ্বিতীয় গ্রেডের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে রাখা হয়েছে। আলেম-ওলামাদেরকে সব সময় বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে। তারা বিভিন্ন রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে জেলে যেতে হয়েছে। আমরা এ থেকে মুক্ত হয়েছি। আলেম ওলামারা বাক স্বাধীনতা পেয়েছেন
হাসনাত আবদুল্লাহ আরও বলেন, আমরা ৫ ই অগাস্ট পরবর্তী বাংলাদেশটাকে একটা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির, উদাহরণ হিসেবে তৈরি করতে পেরেছি। দেশে এখনো দেশী-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে, এরপরও আমরা যারা ধর্মপ্রাণ মুসলিম আমরা ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছি। সাম্প্রদায়িক উস্কানি সবসময় আমাদেরকে দেওয়া হয়েছে। আপনারা দেখেছেন সিলেটে আমাদের এক ভাইকে, সাম্প্রদায়িক উস্কানির মধ্য দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। ভবিষ্যতের জন্য আপনাদের সবাইকে সতর্ক করে দিচ্ছি, বিভিন্নভাবে আপনাদেরকে ব্যবহার করা হতে পারে, আমরা অতীতে যেভাবে পরাম সহিষ্ণুতার পরিচয় দিয়েছি, আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে পরিচয় দিয়েছি, আমরা ভবিষ্যতেও এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পরিচয় অব্যাহত রাখবো।
দেবিদ্বারের উপস্থিত মানুষকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমাদের দেবিদ্বারে বিভিন্ন ধর্মের মানুষ আছেন, আমরা যুগের পর যুগ শতাব্দীর পর শতাব্দী দল-মত নির্বিশেষে, বিভিন্ন ধর্মমত নির্বিশেষে, আমরা সম্প্রীতির মধ্য দিয়ে দেবিদ্বারে বসবাস করে আসছি। আমি প্রত্যাশা করব আমরা এই সম্প্রীতি যেন ধরে রাখতে পারি। সারা বাংলাদেশে যে প্রধানতম দলটি গড়ে উঠবে, সেটি হচ্ছে জাতীয় নাগরিক পার্টি, এনসিপি। কুমিল্লার যতগুলো আসন রয়েছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য আসনটি হচ্ছে দেবিদ্বার। আমরা প্রত্যাশা করব, সে আসনটি, খুব শীঘ্রই এনসিপির আসন হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেটির জন্য আপনাদের সহায়তা চাই। এখানে শিক্ষক রয়েছেন, আলেম ওলামা রয়েছেন, খেটে খাওয়া মানুষ রয়েছেন, সিএনজি চালকরা রয়েছেন, কামার-কুমার, তাঁতি, রাজমিস্ত্রিরা রয়েছেন, আমরা আপনাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিতে চাই, আমরা আপনাদেরকে সাথে নিয়ে, পরবর্তী বাংলাদেশ বিনির্মাণ করব।
এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রামপুর জামিয়া ইসলামিয়া কাসেমুল উলূম এর মুহতামিম হাফেজ মাওলানা লোকমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা নাজির মাহমুদ, তাহফিজুল কোরআন ওয়াসসুন্নাহ মাদ্রাসার মুহতামিম হাফেজ ক্বারি নাজমুল হাসানসহ দেবিদ্বারের সর্বস্তরের মানুষ।