কুমিল্লা প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার
আদর্শ সদর উপজেলার জগন্নাথপুরে অবৈধভাবে করা শতবর্ষে একটি পুকুর আবারো খনন
করে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত । জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তর পুকুরটি
পুনোরুদ্ধারে অভিযান পরিচালনা করে ভরাটের উত্তোলিত বালু প্রকাশ্য নিলামের
ঘোষণা দিয়েছে। এই প্রেক্ষিতে স্থানীয় মসজিদের মাইকে নিলাম বিজ্ঞপ্তি আহবান
করা হয়।
সোমবার (৭এপ্রিল) দুপরে পুকুর ভরাটের উত্তোলিত বালু প্রকাশ্যে
নিলামে তুলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট ও আদর্শ সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা
তানজিনা জাহান।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার আদর্শ সদর
উপজেলার জগন্নাথপুরে শত বছরের বালুতোপা পুকুর (স্থানীয় নাম কারকুইন্না
পুকুর) ভরাট করা হচ্ছে স্থানীয়রা এমন অভিযোগ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে। এ
অভিযোগের পেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মোঃ আমিরুল কায়ছার উপজেলা প্রশাসনকে এ
বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলে। এরই পেক্ষিতে আদর্শ সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা
তানজিনা জাহান ২৫ মার্চ সরোজমিনে পরিদর্শনে যান এবং পুকুর ভরাট বন্ধ করতে
নির্দেশ প্রদান করেন। এরপর ২৬ মার্চ প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে তারা
আবারো পুকুর ভরাট শুরু করেন। পূনরায় অভিযোগ পেয়ে ২৭ মার্চ আদর্শ সদর উপজেলা
ভূমি কর্মকর্তা তানজিনা জাহান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক খন্দকার
পাশাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পুকুর ভরাটের অভিযোগে
পরিবেশ অধিদপ্তর বাদী হয়ে ইয়াছিন মজুমদার গংদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা
করেন। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার (৭ এপ্রিল)
অবৈধভাবে পুকুর ভরাটের উত্তেলিত আনুমানিক এক লাখ ২০ হাজার গনফুট বালু
নিলামে বিক্রি করা হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা জানে আলম জানান, এ পুকুরটি
আমাদের দাদার ছিলো। মাছ চাষের জন্য পুকুরটি আমাদের কাছ থেকে কিনে নেওয়া হয়।
পরে দেখি রাতারাতি এটি বালু দিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়। এখন প্রশাসন ও পরিবেশ
অধিদপ্তর এটি উদ্ধার করে খনন করে দেয়। ফলে এলাকাবাসী অনেক উপকৃত হবে।
মফিজুল
ইসলাম নামে আরেক বাসিন্দা বলেন, এ পুকুরটি শত বছরের পুরোনো। স্থানীয়রা
পানির প্রয়োজনে এটি ব্যবহার করতো। কারো বাড়িতে আগুন লাগলে এ এলাকার আশে
পাশে কোন পুকুর নাই। হঠাৎ দেখি এটি ভরাট হয়ে যায়। এখন প্রশাসন এটি উদ্ধার
করছে। আমরা তাদের ধন্যবাদ জানাই।
আদর্শ সদর উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা
তানজিনা জাহান বলেন, শত বছরের ঐতিহ্যবাহী পুকুর বালুতোপা পুকুর ভরাটের
অীভযোগ পেয়ে আমরা কয়েকদফা অভিযান পরিচালনা করি। পরে পরিবেশ অধিদপ্তরের
নিয়মিত মামলাও হয়। এরই পেক্ষিতে আজ আমরা পুকুরটি পুনুরুদ্ধারের বেআইনীভাবে
ভরাটের উত্তেলিত বালু প্রকাশ্যে নিলামে বিক্রি করা হয়। পকুরটি খনন করে আগের
অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে। আমরা বলতে চাই বেআইনীভাবে পুকুর ভরাট করে কেউ পার
পাবেনা। পরিবেশ সংরক্ষনের আইন অনেক কঠোর। এ আইনে আওতায় আমাদের অভিযানগুলো
চলতে থাকবে।