তানভীর
দিপু: ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে কুমিল্লায় প্রতিবাদ
কর্মসূচি পালন করেছে দক্ষিণ জেলা ও মহানগর ছাত্রদল। মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল)
দুপুরে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর পূবালী চত্বরে এবং লিবার্টি
মোড়ে পৃথক দুটি বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা।
কর্মসূচি থেকে ইসরাইলি গণহত্যার প্রতিবাদে জাতিসংঘকে সোচ্চার হওয়ার
পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সকল ধরনের ইসরাইলি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানায়
ছাত্রদল। তবে যারা ইসরাইলি পণ্য বয়কটের নামে বিভিন্ন ব্যবসার প্রতিষ্ঠানে
হামলা ও লুটপাট করছে তাদেরকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার আহবান জানান তারা।
দুপুর
১২ টায় কুমিল্লার পূবালী চত্বর থেকে ইসরাইল গণহত্যার প্রতিবাদে একটি
বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলটি
পূবালী চত্বর থেকে বাদুরতলায় গিয়ে শেষ হয়। এর আগে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও
মহানগর ছাত্রদলের অধীনস্থ সকল কলেজ সমূহে মুখে কালো কাপড় বেঁধে অবস্থান
কর্মসূচি পালন করে স্ব স্ব ইউনিটের নেতা-কর্মীরা।
কুমিল্লার পূবালী
চত্বরের বিক্ষোভ সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা দক্ষিণ
জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাদিমুর রহমান শিশির, সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ ,
মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মহানগর ছাত্রদলের ফখরুল ইসলাম মিঠু, সাধারণ
সম্পাদক আক্তার হোসেন, ছাত্রদল নেতা সোলেমান মুন্সী।
কুমিল্লা দক্ষিণ
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী
ছাত্রদল ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলি আগ্রাসনের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা
জানাই। তবে এই প্রতিবাদের সময় যারা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও
লুটপাট তারা একটি নিষিদ্ধ সংগঠনের বলে আমরা জানতে পেরেছি। লুটপাটকারীরা যে
দলেরই হোক আমরা তাদের বিচার চাই।
কুমিল্লা মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি
ফখরুল ইসলাম মিঠু বলেন, ফিলিস্তিনে হামলার প্রতিবাদে আমরা সকল ধরনের
ইসরাইলি পণ্য বয়কট করছি। তবে বয়কটের নামে যারা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও
লুটপাট চালাচ্ছে তাদের পরিচয় পেলে পুলিশে ধরিয়ে দিন। তারা দেশের সুনাম নষ্ট
করছে।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নাদিমুর রহমান শিশির
বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও কুমিল্লা
মহানগর ছাত্রদল সহ বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ফিলিস্তিনের
ইসরাইলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে কর্মসূচি পালন করছেন। আমরা জাতিসংঘের প্রতি
আহ্বান জানাই তারা যেন এই বর্বরোচিত গণহত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন।
বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রতিও আহবান তিনিও যেন কূটনৈতিকভাবে
ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ান।