শনিবার ১৯ এপ্রিল ২০২৫
৬ বৈশাখ ১৪৩২
ভারত থেকে বেড়েছে বিদ্যুৎ আমদানি
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ১:২৪ এএম আপডেট: ১০.০৪.২০২৫ ১:৫৭ এএম |

  ভারত থেকে  বেড়েছে বিদ্যুৎ আমদানি
চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি বেড়েছে। এখন বাংলাদেশে উৎপাদিত মোট বিদ্যুতের ১৭ দশমিক ১৩ ভাগ ভারত থেকে আসছে। ভারত-বাংলাদেশ টানাপড়েনের মধ্যেই এই উৎপাদন বৃদ্ধির ঘটনা ঘটেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে ভারতের সঙ্গে নানা টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। ভারতের মিডিয়াগুলো ‘বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারছে না’ বলেও সংবাদ প্রকাশ করে। বিশেষ করে আদানি তাদের ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনে। তবে এরপর সরকারের তরফ থেকে বিল পরিশোধের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনার বিষয়ে জানতে চাইলে পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘এপ্রিল ও মে মাস গ্রীষ্ম এবং সেচের মৌসুম হওয়ায় এই সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সম্ভাব্য সব জায়গা থেকেই আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করি। ভারত থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বৃদ্ধির কারণও একই। চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বেড়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত থেকে বিদ্যুৎ আনার বিষয়টি নির্ভর করে চুক্তির ওপর। আমরা আর কোনও কিছুই এক্ষেত্রে বিবেচনা করি না। চুক্তির মধ্যে যতখানি বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব আমাদের প্রয়োজন হলে আমরা সেটি চাইবো। এর বাইরেও বেশ কিছু কেন্দ্রের উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা আছে।’
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)-এর ওয়েবসাইটে দেখা যায়, গত সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১টায় ভারত থেকে আদানির ১৩০৩ মেগাওয়াট, ভেড়ামারা এইচডিভিসি ৯০৭ মেগাওয়াট এবং ত্রিপুরা দিয়ে ৪২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে এসেছে।’
তবে রাতে সর্বোচ্চ চাহিদার সময় বিদ্যুৎ আসার পরিমাণ আরও বাড়ে। এদিন পিকআওয়ার বা সন্ধ্যায় আদানি থেকে ঘণ্টাপ্রতি ১৩৬০ থেকে ১৩৬৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ এসেছে। এইচভিডিসি সাবস্টেশন দিয়ে এসেছে ৯১৫ মেগাওয়াট। তাছাড়া ত্রিপুরা থেকেও বিদ্যুৎ আসার পরিমাণ ২ থেকে ৪ মেগাওয়াট বৃদ্ধি পায়।
ভারত থেকে বর্তমানে বাংলাদেশে মোট বিদ্যুৎ আমদানির ক্ষমতা আছে ২৫৬০ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুৎ আসছে ২২৫২ মেগাওয়াট। এখন যে বিদ্যুৎ আসছে তা ইতিহাসের সর্বোচ্চ বলে জানা গেছে।
ভারতের এইচভিডিসি সাবস্টেশন দিয়ে দৈনিক ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসার ক্ষমতা থাকলেও কখনও ৯৬০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ আসে না। এজন্য এই লাইন দিয়ে নেপাল থেকে ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আনার চুক্তি করেছে সরকার।
গ্রীষ্মে এখন সর্বোচ্চ চাহিদা ১৬ থেকে ১৬ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট। কিন্তু এখন ১৫ হাজার ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। তবে গ্রীষ্মে গরম বেড়ে গেলে বিদ্যুতের ভোগান্তি কতটা বাড়ে সেটিই দেখার বিষয়।
যদিও এখনও তাপমাত্রা অনেকটা সহনীয় থাকায় পূর্ণমাত্রায় শীতলীকরণ যন্ত্র চালাতে হচ্ছে না। বিশেষ করে বাসাবাড়ির শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র না চলায় চাহিদা এখনও পুরোদমে বাড়েনি।
সাধারণত গ্রীষ্ম বলতে এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে জুন পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। সেই হিসেবে সাত থেকে ১০ দিন পর তাপমাত্রা বাড়লে চাহিদা বাড়বে। তবে বৃষ্টি হলে চাহিদা কমতে পারে। সেক্ষেত্রে বিদ্যুতের ভোগান্তি খুব একটা বাড়বে না।
















সর্বশেষ সংবাদ
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আ.লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের ৬ সদস্য গ্রেপ্তার
এলডিপিতে যোগ দিলেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী
এনসিপির জেলা-উপজেলা কমিটির আহ্বায়কের ন্যূনতম বয়স হতে হবে ৪০
কুমিল্লায় বাসচাপায় অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত
ঘোষিত ডেট লাইনের মধ্যেই সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে
আরো খবর ⇒
সর্বাধিক পঠিত
কুমিল্লায় বাসচাপায় অন্তঃসত্ত্বা নারী নিহত
সাবেক গাড়ি চালককে হত্যার হুমকি দিলেন সূচি
কুমিল্লার ৪ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল জামায়াত
কুমিল্লায় ২২ পরীক্ষার্থী বহিষ্কার; দুই পরিদর্শককে অব্যাহতি
আজ লাকসামে জামায়াতের কর্মী সম্মেলন
Follow Us
সম্পাদক ও প্রকাশক : মোহাম্মদ আবুল কাশেম হৃদয় (আবুল কাশেম হৃদয়)
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ১২২ অধ্যক্ষ আবদুর রউফ ভবন, কুমিল্লা টাউন হল গেইটের বিপরিতে, কান্দিরপাড়, কুমিল্লা ৩৫০০। বাংলাদেশ।
ফোন +৮৮ ০৮১ ৬৭১১৯, +৮৮০ ১৭১১ ১৫২ ৪৪৩, +৮৮ ০১৭১১ ৯৯৭৯৬৯, +৮৮ ০১৯৭৯ ১৫২৪৪৩, ই মেইল: [email protected]
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত, কুমিল্লার কাগজ ২০০৪ - ২০২২