নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুমিল্লার লালমাইয়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অনুমতিবিহীন মাটি
কেটে শিক্ষার্থীদের চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর অপরাধে আছলাম মজুমদার নামে এক
ব্যক্তিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল)
বিকেলে লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
হিমাদ্রী খীসা ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই দণ্ডাদেশ দেন।
গত
কয়েকমাস ধরে বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের উত্তর ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
সংলগ্ন কয়েকটি কৃষি জমি ও ফিসারিজের মাটি কেটে বিভিন্ন ইটভাটায় বিক্রি
করেছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে স্কুল শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়দের
মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান।
এর আগে গত ১৯ মার্চ একই অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলেন।
নাম
প্রকাশে অনিচ্ছুক, উত্তর ধনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারি
শিক্ষক বলেন, মাটি ব্যবসায়ী আছলাম মজুমদার অনেক চালাক ব্যক্তি। কৃষি জমিতে
মাটি কাটা নিষিদ্ধ হওয়ায় তিনি প্রথমে জমিগুলোর চার পাড় বেঁধে মাছ চাষের
ফিসারিজ এর মতো তৈরি করেন। তারপর ভেকু দিয়ে ভিতরে খনন করে মাটি বিক্রি
করেন। তার মালিকানাধীন ( বিদ্যালয় সংলগ্ন) কয়েকটি জমির মাটি গত ৩/৪ মাস ধরে
দিনব্যাপী ট্রাক্টরে করে বিভিন্ন ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে। মাটির ট্রাক্টরের
কারনে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে আসা যাওয়ায় দুর্ঘটনার আশংকাসহ বালুবাহি রোগ
দেখা দিচ্ছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত মাটি ব্যবসায়ী ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক
আছলাম মজুমদার বলেন, ফসল উৎপাদন কম হওয়ায় জমিগুলোতে মাছের ফিসারীজ করতে
মাটি কাটতেছি। আমি নিজের জমিতে মাটি কাটি, অন্য কারও জমিতে নয়। আজকে ইউএনও
ম্যাডাম এসেছিলেন। তবে আমাকে জরিমানা করেনি।
লালমাই উপজেলা নির্বাহী
অফিসার (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে বিনা
অনুমতিতে ভেকুসহ মাটি কাটার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার
সত্যতা পাওয়ায় বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুযায়ী আছলাম মজুমদার
নামের একজন ব্যক্তিকে ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছি। অবৈধভাবে মাটি কাটার
অপরাধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।