ড.
আবুল বাসার'র গল্পগ্রন্থ পাণ্ডব কলোনি'র পাঠ-মূল্যায়ন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইন্সটিটিউটে মিলনায়তনে
এ আয়োজন করা হয়। দু'ঘণ্টার বেশী সময় নিয়ে ১৩টি গল্প নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা
করেন বোদ্ধা পাঠকগণ। জোড়া শালিক প্রকাশিত পাণ্ডব কলোনি'র পাঠ-মূল্যায়ন
অনুষ্ঠান আয়োজন সহযোগী ছিলেন সংস্কৃতি সংসদ, কুমিল্লা।
পাঠক স্বর্ণকমল
নন্দী পলাশ আলোচনা করেন মা গল্প নিয়ে, মো. হুমায়ুন কবীর আলোচনা করেন মানুষ ও
কুকুরনামা। এ বইয়ের প্রচ্ছদ শিল্পী রানা হাসান কথা বলেন অভিমান নিয়ে। ড.
উত্তম কুমার মজুমদার জারন গল্পের সাথে রবীন্দ্রনাথের গল্পের তুলনা করেন।
শাহীন শাহ তুলেধরেছেন পত্র লেখক গল্পের কথা।
কবি
ও শিক্ষক রোখসানা ইয়াসমিন মণি 'খাড়ু' গল্পের সংক্ষেপ তুলো ধরেছেন। সরদার
মোজাম্মেল আলোচনা করেছেন পাদপ্রদীপ, রীতা সরকার মূল্যায়ন করেছেন ভাই
গল্পের। শেখ আবদুল মান্নান বলেছেন ভেঙে যায় মহাপ্রাচীর গল্প নিয়ে।
রতন
ভৌমিক প্রণয় বর্ণনা করেছেন রূপোপজীবিনী গল্পের কথা, আবৃত্তি শিল্পী খলিলুর
রাহমান শুভ্র বিশ্লেষণ করেছেন কবিতার কাছে ঋণ, সর্বশেষ লোকমান ফরাজী
মূল্যায়ন করেছেন সাদা মাছি গল্পের। কবি ও নজরুল গবেষক ড. আলী হোসেন চৌধুরী
পাণ্ডবের কলোনিতে গল্পটি।
সার্বিক আলোচনায় প্রফেসর ড. আনোয়ারুল হক গল্পের জীবন ও প্রেক্ষাপট আলোচনা করেছেন।
আলোচনায়
বক্তারা বলেন, পাণ্ডব কলোনি'র গল্পসমূহ জীবন্ত। মানুষকে নিয়ে। এবং সমাজের
বাস্তবতা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। একই সাথে জীবন সংকটের চিত্র তুলেধরেছেন ড.
আবুল বাসার।
বইটির গ্রন্থস্বত্ব ফারিয়া অরুনি বাসার টাপুর। টাপুরকে লেখক বইটি উৎসর্গ করেছেন।
অনুষ্ঠানের
শুরুতে সঞ্চালক হালিম আব্দুল্লাহ লেখক ড. আবুল বাসার'র সংক্ষিপ্ত পরিচয়ে
বলেন, তিনি নগরীর দিশাবন্দ গ্রামের সন্তান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
অর্থনীতি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। পিএইচডি করেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। লেখকের
আরো গ্রন্থ হলো উপন্যাস জলের দেয়াল, প্রত্যাবর্তন। কাব্য গ্রন্থ লিখেছেন
কনফুসিয়াসের মাহফিল নামে। অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন মুঠো মুঠো জীবন শিরোনামে।